আপনারা যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের সমুদ্র বিলাস বইটি ডাউনলোড করতে যাচ্ছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে সমুদ্র বিলাস বইটির পিডিএফ ফাইল দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই পড়তে ভালবাসেন তারা এই বইটি পড়লে মধ্যবিত্ত পরিবারের দ্বন্দ, অতীত স্মৃতি, সম্পর্কের টানাপোড়েন, মধ্যবিত্ত পরিবারের বউ শাশুড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব ইত্যাদি বিষয়ে আপনারা দেখতে পাবেন।
তাছাড়া সমুদ্র বিলাস বইটি এক কথায় অসাধারন এবং অনবদ্য একটি বই। তাই যারা এখনও সমুদ্র বিলাস বইটি পড়েননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির সফট কপি বা পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই বইটি আপনাদের অবসর সময়কে করে তুলবে চমৎকার উপভোগ্য।
সমুদ্র বিলাস বইটি কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে 1990 খ্রিস্টাব্দে। তবে বর্তমান বাজারে সমুদ্র বিলাস বইটির মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে 120 টাকা এবং এই বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে ৮০ । সমকালীন এই উপন্যাসটি পড়লে আপনারা মধ্যবিত্ত পরিবারের বিভিন্ন গল্পের সমাহার পাবেন।
সমুদ্র বিলাস বইটির কাহিনী সংক্ষেপ
রিমি এবং তৌহিদ দুইজনে স্বামী-স্ত্রী। তবে তৌহিদ সব সময় চুপচাপ ধরনের একজন মানুষ। সে চাকরি করে সরকারি একটি স্কুলের সহকারি প্রধান পদে। তার বৌ তার স্বামীর এই চাকরি পছন্দ করে না এবং ভাবতে থাকে তার অতীত সম্পর্কে ফিরে গেলে সে হয়তো ভালো থাকতে পারতো। তবে তৌহিদ রিমির অতীত সম্পর্ক সম্পর্কে সবই জানে। তবে সে কখনোই মুখ ফুটে কিছু বলে না এবং স্বীকার করে যে রিমি ছোট ছিল বলে এ ধরনের ভুল হয়ে গিয়েছে।
রিমি শ্রেনী ক্লাস টেনে থাকতে ফরহাদ নামের একটি ছেলের সঙ্গে হঠাৎ করে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে তার চাচা পুলিশের সহায়তায় খুঁজতে খুঁজতে তাকে একটি হোটেল থেকে ফরহাদের সঙ্গে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ফরহাদকে বিদায় করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিয়ে দেওয়া হয় তৌহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে। তবে তৌহিদ রিমির অতীত এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে সবই জানে এবং সে জেনে শুনেই তাকে বিয়ে করেছে। তবে তার স্ত্রী রিমির এই অপরাধে সে তখন তাকে কখনো খারাপ কথা কিছু বলেনি। তবে মেয়ে মানুষ হল এমন এক ধরনের যাত্রা ভুল ধরলেই দোষ ধরে এবং ভুল না ধরলেও দোষ ধরে।
রিমির কোন এক চাচা একদিন ফরহাদের চাকরির বিসয়ে কথা তুলে এবং রিমিকে ছোটলোক বলে অপমান করে। এই নিয়ে রিমি তার স্বামীর সঙ্গে এসে ঝগড়া শুরু করে দেয় এবং জানাতে থাকে যে, তার যদি ফরহাদের সঙ্গে বিয়ে হত তাহলে তাদের সুখের সংসার হতো। তবে তৌহিদ কখনো এ বিষয়ে তার সঙ্গে আর কথায় জড়ায়নি। বইটির নাম সমুদ্র বিলাস কেন নামকরণ করা হয়েছে তা বুঝতে পারবেন তারা সমুদ্রে বেড়াতে গেলে।
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে সাধারণত যে ধরনের ঘটনা ঘটে এই বইটি তেওতা গোছালোভাবে উঠে এসেছে লেখোকের কলমের মাধ্যমে। মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মানবিক দ্বন্দ্বের ভেতর দিয়ে গল্পটি এগিয়েছে। মূলত তৌহিদ সবকিছু জেনেও কোন কিছু বলে না এবং সে সবসময় চুপচাপ থেকে নিজে নিজে চিন্তিত হয়ে যায়। বইটিকে আপাতদৃষ্টিতে মনস্তাত্ত্বিক বই বললেও ভুল হবে না। তাই যারা বইটি পড়েননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটি সংগ্রহ করে পড়ে নিন অথবা হার্ডকপি কিনে বইটি পড়ে ফেলুন।