Site icon Book PDF Down.com

সপ্তরিপু PDF Download রবিন জামান খান

সপ্তরিপু PDF Download রবিন জামান খান

থ্রিলার পড়তে ভালোবাসে অথচ রবিন জামান খান’ কে চিনে না এমন মানুষ কমই আছে। থ্রিলার লিখতে তার জুড়ি নেই! বিশেষ করে ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার। এ পর্যন্ত এরকম বেশ কয়েকটা বই লিখেছেন তিনি। স্বনামধন্য এই লেখকের আরও একটি অসাধার ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার এটি। সাধারণত মানুষের ছয়টা রিপু, তাহলে এই সপ্তরিপু টা কি? কি আছে এর ভিতর? জানতে হলে ৪২৮ পৃষ্ঠার দীর্ঘ কলেবরের এই বইটি পড়তে হবে।

কাহিনী সংক্ষেপ

গল্পটা কোন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নয়, কিংবা ইতিহাসের বুকে লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর কোন সত্যেরও নয়-যা প্রকাশ পেলে পাল্টে যাবে ইতিহাসের গতিপথ। বরং গল্পটা অতীত আর বর্তমানের। একজন পুলিশ অফিসার, যে কি-না কিছুদিন আগেই ডিমোশন পেয়ে বদলি হয়ে আসে ময়মনসিংহ শহরে, ক্যারিয়ারের অবস্থা বারোটা! ময়মনসিংহ শহরে এসে আবার কাজ করতে হয় তারই ব্যাচমেট ওসি মল্লিকের আন্ডারে। হতাশায় যখন নিমজ্জিত, তখনই সে পায় এক অভাবনীয় কেস! যা সমাধান করতে গিয়ে জড়িয়ে পরে অনেকের সাথে, উঠে আসতে থাকে অনেক তথ্য!

কি ধরনের কেস পায় সে? কি-বা হয় সে কেসের, কোনো সুরাহা কি ডিমোশন পাওয়া সেই ইন্সপেক্টর করতে পারে? কাহিনী শুরুটা হয় অতীত থেকে, ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ। ফোর্ট উইলিয়াম। হেনরি স্মিলম্যানের হাত ধরে। বর্তমানের কাহিনীতে দেখার যায়, ডিমোশন প্রাপ্ত একজন পুলিশ অফিসার ইন্সপেক্টর আহমেদ বাশার। যে কি-না পারিবারিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তারও জন্ম এই ময়মনসিংহ শহরে কিন্তু এই শহরে সে ফিরে আসতে চাই নি। অন্তত এইভাবে নয়। কিন্তু ভাগ্য তাকে নিয়ে আসে! আর আসার কিছুদিন পরেই হাতে পায় এক অভাবনীয়, প্রায় অসম্ভব এক কেস!

ময়মনসিংহ শহরের শানকিপাড়া’র একটা অপরিত্যাক্ত পুকুর সেচের সময় সেখান থেকে উঠে আসে, একটা গাড়ি! তবে শুধু গাড়ি হলে ভালোই ছিল। কিন্তু গাড়ির ভিতরের পাওয়া যায় একটা কঙ্কাল! তাও সাধারণ কোনো কঙ্কাল নয়! জানা যায় সেটি একজন বিদেশির কঙ্কাল! তাও প্রায় ১১ বছর আগের। এখন প্রশ্ন হলো প্রায় ১১ বছর আগে একজন বিদেশি এখানে কি জন্য এসেছিল? আসলে কি হয়েছিল ঐ সময়টা তে? তদন্ত নেমে ইন্সপেক্টর বাশার মুখোমুখি হয় একের পর এক অভাবনীয় সত্যের!

কাহিনী আবার চলে যায় অতীতে, ১৮২৮ সালে, ক্যাপ্টেন ম্যাকফিসহ আরও ২ জনকে পাঠানো হল তখনকার ময়মনসিংহ এর মুক্তগাছা গ্রামে, সেখান থেকে নাকি একদল ইংরেজি সৈন্য গায়েব হয়ে গেছে। আর কোনো হদিসই পাওয়া যায়নি তাদের, কি ঘটেছিল তাদের ভাগ্যে? কেউ জানে না! জমা হতে থাকে অনেক প্রশ্ন! লেখক অসাধারণ দুইটা কাহিনী একসাথে চালিয়ে নিয়ে গেছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

প্লটঃ কাহিনী দুটোরই প্লট ময়মনসিংহ শহর। পার্থক্য অতীত আর বর্তমানের। সুতরাং প্লট নিয়ে বিস্তারিত বলার কিছু নেই।

চরিত্রঃ কাহিনী যেহেতু দুটো তাই সময়তেই বেশ কিছু প্রধান চরিত্র আছে। বর্তমান সময়ে রয়েছে, ইন্সপেক্টর আহমেদ বাশার, সাংবাদিক জয়া, রমিজ দারোগা, ড্রাইভার আব্দুল্লাহ ইত্যাদি। আর অতীতে রয়েছে, ক্যাপ্টেন ম্যাকফি, জোনাথন, বীরসিংহ, ডুম্বুর, শঙ্কর সহ আরো অনেকে।

সব থ্রিলার গল্পের শেষেই টুইস্ট থাকে এটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। একেবারে শেষের দিকে এমন টুইস্ট আছে, যা কেউ কল্পনা করতে পারবে নাহ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পাঠক শেষের দিকটা বুঝে যায়, কিন্তু এটার ক্ষেত্রে এমন ঘটায় কোনো চান্স নেই। থ্রিলার পাঠকদের জন্য অবশ্যই পড়ার মত একটা বই।

Exit mobile version