শ্বাপদ সনে PDF Download নাবিল মুহতাসিম

বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক নাবিল মুহতাসিম এর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস হল “শ্বাপদ সনে”। থ্রিলার উপন্যাস এর জগতে নাবিল মুহতাসিম এর নাম ও অনেক বিখ্যাত। লেখক নাবিল এর আগে কয়েকটি অনুবাদের কাজ করেছেন “শ্বাপদ সনে” প্রথম তার মৌলিক উপন্যাস। তার প্রথম উপন্যাস হিসেবে উপন্যাসটি সবার কাছে সমাদৃত হয়েছে। তিনি গল্পের বিষয়বস্তু, ভাষা ও প্লট অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন সবার সামনে।

“শ্বাপদ সনে” নাবিল মুহতাসিমের থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2016 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। এই বইয়ে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 201 টি। বাজারে বইটির বর্তমানে মুদ্রিত মূল্য হল 140 টাকা। অসাধারণ এই উপন্যাসটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটি লেখক নাবিলের প্রথম উপন্যাস। তিনি গল্পের প্লট দারুণভাবে নির্বাচন করেছে। উপন্যাসটি এর ভেতরের গল্প অনেক আকর্ষণীয় ছিল যেটা পাঠকদের বইয়ে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করেছে। এই গল্পে অনেক সুপার ন্যাচারাল দিকে পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ধনী ব্যক্তির ছেলেই হলো এই গল্পের নায়ক। জামশেদের বাবার নাম হল আব্বাস রহমান খান। ছেলেটির নাম জামশেদ। জামশেদ প্রচন্ড রাগী, একরোখা ও বদমেজাজি। জামশেদের বাবা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে সে আরো উচ্ছন্নে যায়। ছোটবেলা থেকেই অভাব জিনিসটা কি সেটা বুঝতে পারেনি।

জামশেদ গেমস একজন দক্ষ শুটার। তিনি অনেক সোনাও জিতেছেন। 1988 সালের সাফ গেমসে তিনি সোনা জেতেন। জামশেদের এরপরের লক্ষ্য ছিল অলিম্পিকে জেতা। জামশেদ শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্নের কাছে গিয়েও স্বপ্নটা ছুঁতে পারেনি। একটা দুর্ঘটনায় তার স্বপ্ন চাপা পড়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে জামশেদ হতাশ হয়ে পড়েন। তার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার জন্য সে অনেক হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকে। এরপর আর একটা দুর্ঘটনা তার জীবনকে উল্টে পাল্টে দেয়। হঠাৎ তার বাবার মৃত্যুর পরে সে আরো ভেঙে পড়ে।

বাবার মৃত্যুর পরে সমস্ত কিছুর দায়িত্ব তার ওপর এসে পড়ে। জামশেদ এসব কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। সে মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার শরীরটাও আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। তিনি কোন কাজে মন বসাতে পারতো না। তিনি একজন সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছে পরামর্শ নেন, যে এখন কি করা উচিত? সাইক্রিয়াটিস্ট তাকে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসার কথা বলে।

জামশেদের বন্ধু একজন সাংবাদিক ও প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর। শিপলু বরাবরই অতিপ্রাকৃত ঘটনার খোঁজে ছুটে বেড়ায়। যেখানে মানুষ যেতে ভয় পায় সেখানেই শিপলুর আগ্রহ বেশি। অনেকবার জামশেদ ও শিপলুর অভিযানে সঙ্গী হয়েছে। শিপলু এবার যখন জামশেদকে তার অভিযানের সঙ্গী হওয়ার কথা বলে তখন জামশেদ ওর কথা উড়িয়ে দেয়।

একজন মন্ত্রীর মেয়ে আইরিনের সাথে জামশেদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্কের ভেতরে আইরিনের এক্স-বয়ফ্রেন্ড রাশেদ ঢুকে পড়ে। তারপর তাদের প্রেমে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায়। এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য জামশেদ শেষপর্যন্ত শিপলুর অভিযানে যোগ দেয়।

শিপলু এবার তার ইনভেস্টিগেশনে যায় জগদানন্দপুরে। অভিযানে এবার তার সঙ্গী হয়েছে জামশেদ ও জামশেদের চাচাতো ভাই সামাদ। সেই গ্রামে গিয়ে সে জানতে পারে এক রহস্যময় প্রাণীর আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেই গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের অনেক প্রাণী ও জলজ্যান্ত মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই পিশাচ।

সে রহস্য ময় প্রাণের খোঁজ করতে শিপলু চলে যায় এক গভীর বনে। যে প্রাণীর হুংকারে সারা গ্রাম স্তম্ভিত হয়ে থাকতো। এই তিন যুবক নিজের প্রাণ হাতে নিয়ে গ্রামবাসীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। প্রাণীটির নাম তারা শ্বাপদ নামে অভিহিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত শিপলুরা কি গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে পারে? ওই প্রাণীটির কি কোন খোঁজ পাওয়া যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। আমার কাছে বইটি অসাধারণ লেগেছে। আপনারা ও বইটি পড়ুন। আশা করি ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top