বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়। তিনি তার প্রতিভা ও কাজের ধরন দিয়ে সবার হৃদয় স্পর্শ করেছেন খুব সহজ উপায়ে। তার লেখার বিষয়বস্তু গুলো খুব হৃদয়স্পর্শী। তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন তাঁর লেখার স্নিগ্ধতা দিয়ে। তার রচিত সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে প্রশংসার দাবিদার। সব গুলোর চেয়ে “শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: খুলি বাবা”অন্যতম উপন্যাস।
মানুষের প্রতিভা মানুষকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যায়। আলাদা একটা পরিচিতি লাভ করায়। মানুষ তার কর্ম দিয়েই সবার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকেন। লেখক মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তার প্রতিভা দিয়ে সবার কাছে বেশি পরিচিতি লাভ করেছেন। তাকে তার এই উন্নত প্রতিভার জন্য পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি সবার কাছে এক নামে পরিচিত। তার রচিত কিশোর উপন্যাস, প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস ও সায়েন্স ফিকশন বই গুলো অধিক জনপ্রিয়।
“শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: খুলিবাবা” মোশতাক আহমেদের একটি অন্যতম শিশু কিশোর, রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 120 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 150 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
লেখক মোশতাক আহমেদ সব সময় পাঠকদের মন জুগিয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন। তিনি যেমন বড়দের জন্য বই লিখেছেন তেমনি ছোটদের মন রক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক ভালো ভালো উপন্যাস সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে এই উপন্যাসটি অন্যতম। শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা সিরিজের সবগুলো উপন্যাস অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
শিশির নামের একজন ছেলে শিক্ষা সফরে এসেছে। লালপুর গ্রামে এসেছে তারা। এখানে এসে জানতে পারে জব্বার নামের একটি মামা নিখোঁজ। জব্বার মামার একটি পালিত ভাগ্নে আছে। যার নাম বাবুল। মামার খোঁজে তার ভাগ্নে পাগলের মত অবস্থা। শিশির মামাকে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারে খুলি বাবার কথা।
সে জানতে পারে খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে। সে নাকি যে কোনো অসুখ সারিয়ে দিতে পারে। খুলি বাবা বাস করে টিলার উপর। খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতার উৎস জানার জন্য শিশির আগ্রহী হয়ে ওঠে। সে যে করেই হোক এটার রহস্য উদঘাটন করবেই। এই মিশনে যোগ দেয় লেলিন।
লেলিন ও শিশির নামে গোপন অভিযানে। অভিযানে নেমে তারা বুঝতে পারে রহস্যময় কিছু মানুষ আসে খুলি বাবার টিলায়। তারা আসে বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে। রাতের অন্ধকারেই চলে যায়। এই মানুষগুলো খুব ভয়ঙ্কর হয়। কারণ বেশিরভাগ সবার কাছেই অস্ত্র থাকে। এই মানুষগুলো সম্পর্কে রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে শিশির লেলিন আটক হয় সেই মানুষগুলোর কাছে।
ভয়ঙ্কর মানুষগুলো সিদ্ধান্ত নেয় তারা শিশির লেলিনকে হত্যা করবে। তারা এটাও সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা তাদের কে খুন করে বস্তায় করে খালে ফেলে দিবে। শেষ পর্যন্ত শিশির ও লেলিনকে বাঁচানোর জন্য কেউ কি এসেছিল? আর কী বা ছিল খুলি বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতার উৎস? আর কী কারনে বা নিখোঁজ হয়েছিল জব্বার মামা? এইসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে বইয়ের প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত। তাই আর দেরি না করে চমৎকার রহস্য মূলক গল্প টি যারা এখনো পড়েন নি তারা আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন।