শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: লাল গ্যাং PDF Download মোশতাক আহমেদ

বাংলাদেশের অতি পরিচিত ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের এমন কোন পাঠক নাই যে তার লেখা পড়ে নাই। তিনি বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি তার লেখার কারুকার্য ও সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য জগতে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর অসাধারণ কিছু উপন্যাস এর মধ্যে “শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা: লাল গ্যাং” অন্যতম।
লেখক মোশতাক আহমেদের ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি প্রচুর আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়। তিনি তারাই পড়ার আগ্রহ থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। তার লেখালেখি পাঠকদের এতটাই আকৃষ্ট করেছে যে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। তিনি তার লেখালেখির জন্য বাংলাদেশের এক আলাদা স্থান তৈরি করেছেন। অনেকেই তার লেখাকে হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখার সাথে তুলনা করেছেন।
“শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা : লাল গ্যাং”লেখক মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2018 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে কথা প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 143 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য 113 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
লেখক মোশতাক আহমেদের এই উপন্যাস “লাল গ্যাং”শিশিলিন কিশোর গোয়েন্দা সিরিজের দ্বিতীয় বই। এই উপন্যাসটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। লেখক মোশতাক আহমেদ তিনি অনেক ঘরানার বই লিখেছেন। সেগুলোর মধ্যে সাইন্স ফিকশন বই গুলো বেশি রচনা করেছেন। তার লেখা সব বই ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকরাই পড়তে পারে।
এই উপন্যাসে শিশির আর লেলিন সম্পর্কে দুই ভাই। দুজনেই স্কুল ছাত্র এবং দারুণ রহস্যপ্রিয় ধরনের। তারা দুই ভাই মিলে একটি রহস্য সংস্থা খুলেছে। যার নাম হল ‘শিশিলিন’। এ সংস্থার কাজ হলো নানারকম রহস্যময় ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা। এই সংস্থার কাজের জন্য তারা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রহস্যের সন্ধানে অনেক দূর- দূরান্তে পথে-প্রান্তরে ও গ্রামে-গঞ্জে ছুটে যায়।
কখনো তারা অভিযাত্রী, কখনো তারা গোয়েন্দা, আবার কখনো নিজেরাই রহস্যময় মানুষ। একদিন পরীক্ষা শেষ করে বাসায় ফিরছিল লেলিন। মনটা তার খুব ভাল ছিল সেদিন। কারণ তার পরীক্ষা আপাতত শেষ। এই উপলক্ষে তার স্কুলটা ও কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। আগামীর ছুটির দিনগুলো সে কিভাবে কাটাবে এটাই ভাবছিল আসতে আসতে।
রাস্তার মোড়ে আসতেই তার ভাবনায় বাধা পড়লো এক যুবক বয়সী ট্যাক্সি ড্রাইভার এর কান্নায়। বড় একজন মানুষকে এভাবে কাঁদতে দেখে সে খুবই চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। তারপর কাছে গিয়ে লোকটির কাছ থেকে কান্নার কারন জানতে চায়। সে সেখানে গিয়ে জানতে পারে কিছুক্ষণ আগেই ছিনতাই হয়ে গেছে ট্যাক্সি ড্রাইভারের ট্যাক্সিটি।
ওই ড্রাইভারটি বলে সে তার গ্রামের জমিজমা বিক্রি করে আর ব্যাংকে লোন করে ট্র্যাক্সিটি কিনেছিল। এখন এই ট্যাক্সি হারিয়ে যাওয়ার পরে তার পাগলের মত অবস্থা হয়ে গেছে। লেলিন সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নেয় সে সাহায্য করবে ট্যাক্সি ড্রাইভার কে। তখনই সে ফোন করে তার বড় ভাই শিশিরকে। এই কথা শুনে শিশির রাজি হয় লেলিনের প্রস্তাবে। তারা নেমে পড়ে অভিযানে। ট্যাক্সি উদ্ধার করার জন্য তারা যখন অভিযানের নামে তখন তারা এক ভয়ঙ্কর সত্যের মুখোমুখি হয়। তারা জানতে পারে ট্যাক্সিটি পড়েছে ভয়ঙ্কর লাল গ্যাংয়ের হাতে।
তারা জানে যে এই ভয়ঙ্কর গ্যাংয়ের সাথে যুদ্ধ করা আর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা একই বিষয়। তাও তারা সবকিছু জানার পরেও পিছিয়ে যায় না। শেষপর্যন্ত তারা দুই ভাই কী পেরেছিল ট্যাক্সিটি উদ্ধার করতে? জানতে হলে পুরো বইটি পড়তে হবে।