বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন লেখক হলেন রবিন জামান খান। তিনি বাংলাদেশের পাঠকের কাছে ইতিমধ্যেই খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তার রচিত মৌলিক থ্রিলারের জন্য। “শব্দজাল” তার একটি জনপ্রিয় মৌলিক থ্রিলার। লেখক রবিন জামান খান বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে বেশ পরিচিত। তার এই অসাধারণ একটি বই “শব্দজাল”এর হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করতে পারেননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি ডাউনলোড দিয়ে পড়ে নিতে পারেন।
“শব্দজাল”তার একটি অসাধারণ সাইকোলজিকাল থ্রিলার। যারা থ্রিলার ধরনের বই পছন্দ করেন তারা এই বইটি মিস করবেন না। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালের সেপ্টেম্বর মাসে। বইটি প্রকাশ করেছে নালন্দা প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শেখ মাহমুদ হোসেন মিজু। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 160 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 255 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ
নতুন বছর শুরুর প্রথম রাত থেকে গল্পটি শুরু হয়েছে। বছরের শেষ রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে কুখ্যাত অপরাধী। যার নাম হল ফাত্তাহ্ ওরফে আলবার্ট ফাত্তাহ্। তাকে সবাই আরেকটি নামেও চেনে ডেমোলিশন এক্সপার্ট বা মাস্টার ডি।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই উদ্বোধন হওয়ার কথা টাকা সিটি রেল প্রকল্প। যেখানে তিনটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান গন উপস্থিত থাকবে। ঠিক সেই সময় ফাত্তাহ্ পুলিশ ব্যুরো অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশনকে জানায় যে,সে ঢাকার দুইটি জায়গায় ভয়াবহ বোমা ফিট করে রেখেছে।
এই কথা শুনে পুলিশ বুরো অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন খুবই চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়। পিবিএসআই প্রধান আতিকুল আলম এই কাজের জন্য সাহায্য চান তার বন্ধু প্রফেসর জাকারিয়া আহমেদের কাছে। জাকারিয়া আহমেদ কে বাইরের জগতে তাকে সবাই প্রফেসর জ্যাক নামেই চেনে। তার বুদ্ধি এবং কথার জাল এর মাধ্যমেই ক্রিমিনালরা সব কথা স্বীকার করতে বাধ্য।
প্রফেসর জাকারিয়া অনেকটাই অবাক হয়ে যায়,কারণ কোনো অপরাধী নিজের মুখেই কেন শিকার করবে তার অপরাধের কথা? তিনি মুখোমুখি হন আলবার্ট এর সাথে। তাকে কোনো অস্ত্র দ্বারা নয় কথার মাধ্যমেই বোম ব্লাস্টের আসল কারণটা উদ্ধার করতে চান প্রফেসর। ফাত্তাহ্ অনেক নির্ভীক এবং সাহসী তার কাছ থেকে কি উপায়ে প্রফেসর তথ্য বের করে আনবে?কীভাবে বাঁচাবে তার প্রিয় শহর ঢাকাকে আর ঢাকার অগণিত মানুষকে? জানতে হলে পাঠকদের পুরো বইটা শেষ করতে হবে।
শব্দজাল কথার মাধ্যমে লেখক এখানে বোঝাতে চেয়েছেন কোন অস্ত্রের দ্বারা নয় শব্দ বা কথার জাল বিস্তার করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে কীভাবে তার গোপন কথা বের করে আনা যায়। কথা আর শব্দের মারপ্যাঁচেই উপন্যাসটা শেষ হয়েছে। এই উপন্যাসে প্রফেসরের চরিত্রটা অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তার অভিব্যক্তি,ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধি সবকিছু সুন্দরভাবে বলেছেন লেখক। প্রফেসর আর ফাত্তাহ্ এর মধ্যে কথাবার্তা এতটাই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক, যে পাঠকরা বইটি শেষ না করে উঠতেই পারবেন না।
অন্যান্য থ্রিলার এর মত ইনভেস্টিগেশনে এখানে কোন মারপিট বা অস্ত্রের কথা তুলে ধরেননি এখানে আসল যে অস্ত্রের কথালেখক বলেছেন,সেটা হলো কথা। কথা দিয়েই মানুষকে যে ঘায়েল করা যায়, সেটাই এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন। বইটিতে যেমন টানটান উত্তেজনা আছে তেমনি সাইকোলজিকাল কিছু জিনিস ও তুলে ধরেছেন লেখক যা পাঠক কে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হল বইটি যারা এখনো পড়েনি আর দেরি না করে পড়ে ফেলুন। পড়তে লাগলে বইটি ছেড়ে উঠে আসতে পারবেন না।