Site icon Book PDF Down.com

তেইল্যা চোরা PDF Download ওবায়েদ হক

তেইল্যা চোরা PDF Download ওবায়েদ হক

তেইল্যা চোরা ‘তেইল্যা চোরা’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘ওবায়েদ হক’। ওভায়েদ হকের লেখা প্রাঞ্জল ও সহজপাঠ্য। তার লেখা যেকোনো উপন্যাস পড়লেই যেন মনে হয় চরিত্রগুলো পরিচিত; একান্তই কাছের কারও প্রতিফলন যেন খুঁজে পাওয়া যায় তার চরিত্রগুলোর মাঝে। লেখকের চরিত্রায়নগুলো আসলেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

লেখকের উপন্যাসগুলোর অন্যতম বিষয় হলো সাদামাটাভাব, কোন ধরণের অতিরঞ্জিত করার কোন চেষ্টা নেই, কোন ধরণের অতিরিক্ত বর্ণনা দিয়ে ঘটনাকে দীর্ঘায়িত করার মনবাসনা নেই। আর এসব কারণেই ওবায়েদ হককে আজ অনেকের সবচেয়ে প্রিয় লেখকের মধ্যে একজন।

মানুষের জীবনের এক সার্বিক চিত্র ওবায়েদ হকের লেখায় চিত্রিত হয়ে আসছে সব সময়। তেইল্যা চোরা উপন্যাসটি বর্তমানে প্রকাশিত ‘আদী প্রকাশনী ‘ হতে। তবে বইটি প্রথম ২০১৭ সালে ‘বিদ্যানন্দ প্রকাশনী’ হতে প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস এর আগে আরও অনেক সাহিত্যিক রচনা করে থাকলেও ওবায়েদ হক এখানেও বৈচিত্র্যময়তা দেখিয়েছেন তিনি একজন চোরের জীবনকে চিত্রিত করেছেন যুদ্ধের সময়কালকে কেন্দ্র করে। উপন্যাসটির মূল চরিত্র হলো ফজর আলী পেশায় সে একজন চোর।

চুরি পেশাটি সে পেয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে তার বাবা কসর আলীও ছিলেন একজন চোর। ফজর আলী চুরির আগে শরীরে তেল মেখে নিত তাই লোকজন তার নাম দিয়েছে তেইল্যা চোর। উপন্যাসের আরও কিছু চরিত্র হলো ফজর আলীর স্ত্রী আমেনা ও তার একমাত্র সন্তান মজিদ।

স্ত্রী আমেনা ফজর আলীকে তেমন একটা সম্মান দেখায় না, চোরের স্ত্রীর অপবাদ শুনতে শুনতে তার কান ঝালাপালা। আবার ফজরের বাবা কসর আলী চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে গণপিটুনিতে মারা যায়। এসব কিছু চিন্তা করে ফজর আলী তার পেশা পরিবর্তন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এমনকি সে তার সন্তান মজিদের কসম খেয়ে বলে সে আর চুরি করবে না।

কিন্তু, সমাজ কোন কিছুই ভুলে না চুরি ছেড়ে সৎ পথে কাজ করতে শুরু করলেও সকলেই ফজর আলীকে তাচ্ছিল্য করতো, চোর বলে খ্যাপাতো। জোয়ারদার বাড়িতে কামলা হিসেবে কাজ করছিলো ফজর। এমন একদিন হঠাৎ করেই জোয়ারদার বাড়ির ছোট বউয়ের বালা চুরি হয়ে গেলে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ফজরকে।

এর ফলে তার জেলও হয়। জেলে গিয়ে কোনভাবেই ফজর আমেনা ও মজিদের কথা ভুলতে পারে না, সবসময় শুধু তাদের দু’জনের কথাই সে ভাবতে থাকে। এর মাঝেই আবার ফজরের অন্যান্য বেশ কয়েদিদের সাথে পরিচয় হয় সুজন মাস্টার, ইউসুফ মুন্সী, পাগলা প্রফেসর ও বাচ্চুর সাথে।

এদের সবার সাথে পরিচয় হবার পর ফজর দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য পায়। দেশে নাকি যুদ্ধ হবে, মুক্তি বাহিনী, পাক হানাদার নামে দুটো বাহিনী আছে। বাংলাদেশের মুক্তির নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নামও ফজরের এদের কাছেই প্রথম শোনে।

তারপর একদিন তারা সবাই মিলে পরিকল্পনা করে জেল থেকে পালাবে এবং কেউ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিবে কেউ বা আবার পাকবাহিনীতে। আসলেও কী তারা পালাতে পেরেছিল আর পালাবার পরই বা কী করেছিল এই যুদ্ধের দেশে? এসব জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। অসাধারণ একটি উপন্যাস। পাঠক পড়তে শুরু করলে শেষ না করে ওঠা সম্ভব না।

Exit mobile version