দ্য গডফাদার PDF Download মারিও পুজো

“দ্য গডফাদার” উপন্যাসটির রচয়িতা ইতালীয়-মার্কিন লেখক মারিও পুজো। নিউইয়র্ক সিটির কাল্পনিক এক মাফিয়া ফ্যামিলিকে নিয়ে গড়ে ওঠা এই উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। উপন্যাসটির মূল প্রকাশক ছিল ‘জি পি পটনাম সানস’।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী আমেরিকা তথা ১৯৪৫ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সময়কাল স্থান পেয়েছে উপন্যাসটিতে। বইটি ইংরেজিতে প্রকাশিত হলেও কালক্রমে পাঠকদের অতি আগ্রহের ফলে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয় উপন্যাসটি। পৃথিবীতে এই পর্যন্ত যতগুলো উপন্যাস সব চেয়ে বেশি পঠিত হয়েছে গডফাদার সেসবের মধ্যে অন্যতম।

গডফাদার উপন্যাসটির নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে এমন কোন এক ভাবগাম্ভীর্য সম্পন্ন ব্যক্তির চিত্র, যে কিনা লোকচক্ষুর অন্তরালে সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কলকাঠি নেড়ে থাকেন।
গডফাদার নামক ব্যক্তিটি সর্বদাই সাধারণ মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন, তাই সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সবসময়ই আগ্রহের এক কেন্দ্রবিন্দু। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কেন জানি কোন এক অদৃশ্য কারণে এই প্রভূত ক্ষমতার অধিকারীকে ঘাটাতে সাহস করে না।

রাষ্ট্র যখন নাগরিক বা সমাজের বিপদের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়,কিংবা ন্যায়বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হয়। সাধারণ মানুষ তখন একটা আশ্র‍য়স্থল খোঁজে, তাদের স্বার্থ কেউ রক্ষা করবে এমন কাউকে খোঁজে, আর এমনই একটা সংকীর্ণ সময়ে রাষ্ট্রের ভেতর আরেক অঘোষিত রাষ্ট্র গড়ে তোলে গডফাদার। যেখানে সকল ক্ষমতার উৎস একমাত্র তিনিই।

উপন্যাসটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কর্লিয়নি পরিবার। গডফাদার হলেন কর্লিয়নি পরিবারের কর্তা ভিটো কর্লিয়নি। তাকে ঘিরেই উপন্যাসের প্রথম অংশটুকু গড়ে উঠেছে। উপন্যাসটির কাহিনী এতটাই জীবন্ত যে, পড়তে শুরু করলে মনে হয় লেখক যেন নিজে নিউইয়র্কের রাস্তায় হাঁটছেন আর যা কিছু অবলোকন করছেন, তার সবকিছুই লিপিবদ্ধ করছেন।

উপন্যাসটি শুরু হয় ভিটো কর্লিয়নির মেয়ে কনির বিয়ের অনুষ্ঠানের বর্ণনার মধ্য দিয়ে। ধীরে ধীরে গল্প এগিয়ে যায় ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুমুল লড়াই থেকে শুরু করে কীভাবে, ক্ষমতার রদবদল হয়ে এক সময়ে ভিটোর ছোট সন্তান মাইকেল শক্ত হাতে ক্ষমতাকে আকড়ে ধরে।

ডন ভিটো কর্লিয়নির পূর্ব জীবনের কিছু চিত্র ও ফুটে ওঠে গল্পের স্বার্থকতা বৃদ্ধি করতে। কীভাবে একজন দরিদ্র,সহায়-সম্বলহীন ব্যক্তি অদৈব এক ক্ষমতার উৎসে পরিণত হন তা সত্যি আশ্চর্যজনক।

মারিও পুজো যে একজন অতি উচ্চ মানের লেখক তা সবসময়ই তার লেখায় প্রকাশ পেয়েছে। সুস্পষ্ট বর্ণনা, সঠিক শব্দ চয়ন, এসব তার সাহিত্যকে করেছে অনবদ্য। কোন ধরণের ভাবাবেগ বা গোয়ার্তুমির আশ্রয় না নিয়ে লেখক তার উপন্যাসটিকে রচনা করেছেন যুক্তি ও বাস্তবতার আলোকে যা অবশ্যই প্রসংশার যোগ্য। অপরাধ জগতের লোমহর্ষক নৃশংসতা ও অন্ধকার জগতের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে এই উপন্যাসটি পাঠ করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top