Site icon Book PDF Down.com

দ্য হিউম্যান কাইমেরা বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন PDF Download মুহম্মদ আলমগীর তৈমুর

দ্য হিউম্যান কাইমেরা PDF Download মুহম্মদ আলমগীর তৈমুর

এই সময়ের একজন জনপ্রিয় আন্ডাররেটেদ লেখক হলেন মোহাম্মদ আলমগীর তৈমুর স্যার। আন্ডাররেটেড বলার কারন তিনি সেরকম কোনো সোস্যাল মিডিয়ায় নেই। কিন্তু তাঁর লেখা তাঁকে ভালোই জনপ্রিয় করেছে। তিনি অনেক অতিপ্রাকৃত, ফ্যন্টাসি ছোট বড় গল্প, গল্পগ্রন্থ লিখেছেন কিন্তু তার সব থেকে বেশি জনপ্রিয় উপন্যাস হলো ‘দ্য হিউম্যান কাইমেরা– বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন’।

এটার পিছিনেও অবশ্য একটা বড়া গল্প আছে। ঐ গল্পটার নামও ‘বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন’। বেশ কয়েক বছর আগে সেবা’র রহস্য পত্রিকায় বের হয়। ওটা থেকেই মূলত এই উপন্যাস ‘দ্য হিউম্যান কাইমেরা’ উপন্যাস। এটি প্রকাশিত হয় বিবলিওফাইল প্রকাশনী থেকে।

তবে ঐ গল্পটা না পড়লে যে এটা আপনি উপভোগ করতে পারবেন না মোটেও তা নয়। বরং আরও ভালোই লাগবে। সুতরাং এই আন্ডাররেটেড লেখকের জনপ্রিয় উপন্যাসটি যারা মিস করে গেছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়তে পারেন অনায়েসে।

কাহিনী সংক্ষেপ

একটা প্রচীন কোদাল, একটা কালো পাথর আর একটা প্রায় অমূল্য কয়েন। এইসবের ভিতর লুকিয়ে আছে হাজার হাজার বছরের ইতিহাস।
কোদালটাও এন্টিক। এই জিনিস পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না বললেও চলে। তবে খান মোহাম্মদ ফারাবি’র কাছে সেটা আছে। তিনি সেটা কোথায় পেলেন সেটা ঐ বজ্রযোগীর প্রত্যাবর্তন গল্পে বর্ণনা আছে। তবে ওটা না জানলেও চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফারাবি। শুধু ফারাবী নয়, খান মোহাম্মদ ফারাবি। প্রাচীন মুদ্রা নিয়ে যার অনেক আগ্রহ। তিনি একজন সাধারণ মানুষ হলেও তার ভিতর কিছু অসাধারণত্ব আছে।

মাঝে মাঝেই তার হঠাৎ করে অদ্ভুত সব হ্যালুশোলেসন হচ্ছে। একেবারে দিনে দুপুরে। হঠাৎ হঠাৎ তিনি নানা বিষয় সম্পর্কে জেনে যাচ্ছেন যা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব না! এসবের সাথেক ঐ পুরোনো কোদালের কোনো সম্পর্ক আছে? যেটা পেয়েছিলেন এক রহস্যময় মানুষের কাছ থেকে।

এই সময় তার সাথে পরিচয় হয় ঢাকা জাদুঘরের কিউরেটর এর আমেরিকা ফেরত বোনের সাথে। তার নামটা বলবো না। ওটা পড়লেই জানতে পারবেন। ফারবি কে শুনায় এক অসাধারণ রহস্যের ইতিহাস। আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে বখতিয়ার খলজি, নানা ফারাওয়ের কাহিনী, প্রাচীন ডেজার্ট; সব আছে এই ইতিহাসে! এই ইতিহাসের গল্প শেষ হলে তারা বেড়িয়ে পরে অভিযানে।

বইটার ভূমিকাতেই লেখক সতর্কবানী দিয়েছেন। যারা প্রথম থেকেই থ্রিল অনুভব করতে চায় এবং হিস্টোরি পছন্দ করে না তারা যেন বইটা না কিনে। আসলে বইটাতে ইতিহাসই বেশি, তবে সেসব নিছক ইতিহাস নয়। রোমাঞ্চকর কিছু অভিযানের বর্ণনা। লেখক অবশ্য বলেছেন অনেকটাই কাল্পনিক তবে, একটু কল্পনা না মিশালে তো ওটা কাঠখোট্টা ইতিহাস বই হয়ে যায়। এর প্লট বিস্তৃত দীর্ঘ ইতিহাসের পাতায়। বইয়ের এক তৃতীয়াংশই সে সব রোমাঞ্চকর ইতিহাস বর্ণনা করে হয়েছে। তবে এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই কারণ লেখকের বর্ণনা ভঙ্গী এমন দারুণ যে, মনে হবে সব চোক্ষের সামনে দেখছেন। আর তার লেখাই নিজস্বতাও আছে।

বইটার সব টুইস্ট শেষে। ইন্ডিংটা লেখক এতো চমৎকার ভাবে করতে পেরেছেন, যা একজন পাঠককে ভাবিয়ে তুলবে, আসলেই কি এমন হয় কিংবা এরকম কিছু হতে পারে? পুরো বইটাই উপভোগ্য। যারা হিস্টোরক্যাল বা তথাকথিত থ্রিলার পড়তে পড়তে বোর তারা এই বইটা পড়ে আলাদা একটা স্বাস পাবেন। আর যারা আলমগীর তৈমুর স্যারের লেখা পড়েন নি তারা যদি খালি এই বইটা পড়েন তাহলে আমি নিশ্চিত ভক্ত হয়ে যাবেন! আরেকটা কথা বইটাতে হররের ছোঁয়াও আছে!

সবশেষে বলবো, বইটা একদমই মিস করার মতো নয়।

Exit mobile version