Site icon Book PDF Down.com

দ্য লিংকন লয়্যার PDF Download মাইকেল কনেলি

দ্য লিংকন লয়্যার PDF Download মাইকেল কনেলি

পাঠক মহলে ‘মাইকেল কনেলি’ একজন পরিচিত নাম। অসংখ্য বেস্টসেলার বই তাঁর লেখা। তকমাও পেয়েছেন অনেক। তাঁর বেশ কিছু বই অনুদিত হয়েছে বাংলায়। এর মধ্যে রিসেন্টলি একটা হয়েছে। ‘দ্য লিংকন লয়্যার’। এটি একটি লিগ্যাল থ্রিলার। বাংলাদেশে মৌলিক লিগ্যাল থ্রিলার নাই বললেই চলে। তবে এই অনুবাদ তার আক্ষেপ কিছুটা লাঘব করেছে। বইটার অনুবাদ করেছে টিম ট্রান্সেলটর। তাদের বেশ কিছু অনুবাদ ভালো কিছু খারাপ। এই বইটা তার মধ্যে ভালোর কাতারেই থাকবে। বইটার পিডিএফ পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ

মাইকেল হলার, একজন ডিফেন্স অ্যাটর্নি, আইনের ফাঁক-ফোকর গলিয়ে আর কথার মারপ্যাঁচে প্রসিকিউটরকে পরাজিত করে নিজের দোষী বা নির্দোষ মক্কেলকে জেল থেকে বের করে আনা বা মক্কেলের শাস্তি কমানোই যার কাজ। তিনি নির্দোষ মক্কেলকে ভীষণ ভয় পান! যদি মক্কেল নির্দোষ হয় আর তিনি তাকে বাঁচাতে না পারেন, তবে সেটা তাকে প্রতিনিয়ত পীড়া দেবে।

প্রতিদিনের কাজের মধ্যেই হলার একটি কেস পান লুইস রুলের এবং সাথে প্রচুর টাকার অফার। মজার ব্যাপার হচ্ছে, লুইস রুলে, অর্থাৎ মক্কেল নিজেই খুঁজে নিয়েছে তার ডিফেন্স অ্যাটর্নিকে এবং অনেকটা জোর করেই বলা চলে। লুইস রুলের সাথে কথা বলার পর হলারের মনে হতে থাকে তার জীবনের নির্দোষ মক্কেল বোধ হয় চলেই এসেছে। আর সেই ব্যক্তি লুইস রুলে।

রাউল লেভিন, হলারের সহযোগী এবং বন্ধু, বিভিন্ন কেসে সে হলারকে তদন্তের কাজে সহায়তা করে। লুইস রুলের কেসের তদন্তের ভারও হলার লেভিনকেই দেয়। কিন্তু রুলের কেস স্টাডি করতে গিয়ে হলার এই কেসটির সাথে তার দুই বছর আগে তার পাওয়া অন্য একটি কেসের সাদৃশ্য লক্ষ্য করে। হলারের মনে হতে থাকে, দুই বছর আগে তার মক্কেল মেনেন্ডেজ নির্দোষ ছিল।

কিন্তু তাহলে আসল দোষী কে? লুইস রুলে বা মেনেন্ডেজ কেউই দোষী না হলে কি তবে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি প্রকৃত দোষী? হলার লেভিনকেও তার ধারণা সম্পর্কে বলে এবং সেই অনুযায়ী তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু তদন্তের মাঝেই রাউল লেভিন খুন হয়। হলার সহযোগী এবং বন্ধুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও সিদ্ধান্ত নেয় বাকিকেসটুকু নিজেই সমাধান করবেন এবং প্রকৃত দোষীকেও খুঁজে বের করবেন। সেটা কি সম্ভব হয়েছিল?

বইটা পড়তে পড়তে মনে হলো, বাংলাদেশে কি এরকম হতে পারে?
যে উত্তরটা মনে আসলো সেটা হলো- এটা নিয়ে কোনো কেসই হতো না, মক্কেল যেখানে লুইস রুলের মতো অঢেল টাকার মালিক! সেসব যাক! কিন্তু প্রথমে কাহিনিটাকে বেশ সাদাসিধা মনে হলেও পরবর্তীতে তা বেশ জটিল রূপ ধারণ করে।
এটা সত্যি, প্রথমে কাহিনি খুব সোজা আর সাধারণ লাগলেও, বইয়ের অর্ধাংশের পর থেকে চমকগুলো দারুণ লেগেছে। প্রথমদিকে পড়তে বেশ সময় লাগলেও শেষ অর্ধাংশ পড়েছি টানা।

কোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা সবসময় চাই বিচার হোক সত্যের পক্ষে। আমাদের চাওয়া থাকে বিচারকের নিকট- উকিল যা ই বলুক, বিচারক সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। যদিও পুরোটাই আমাদের আবেগ। বইটা পড়লে বোঝা যায়, বিচারকক্ষে বিচারকের কাজ থাকে অল্পই। বিচারকের রায় কার পক্ষে যাবে সেটা নির্ভর করে প্রসিকিউটর বা অ্যাটর্নির যুক্তি-তর্ক এবং তাদের যুক্তিগুলো প্রমাণ করার ওপর। সেখানে রায় হতে পারে যে কারোর পক্ষে, রায় হতে পারে সত্যি বা মিথ্যা যে কারোর পক্ষে।

অনুবাদ নিয়ে যদি কিছু বলি, তাহলে বলতে হয়, ভালো। এর বেশি কিছু বলা যাবে না। প্রথম ৪০/৫০ পৃষ্ঠা পড়তে একটু বেগ পেতে হবে কিন্তু তারপরই কাহিনীর ভিতরে ঢুকে যেতে পারবেন। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

সবশেষে বলবো, এই বইটা অন্যরকম। এমন বই হয়তো এর আগে বাংলায় কেউ পড়েন নি তা নির্দ্বিধায় বইটা পড়তে পারেন। আশাহত হবেন না।

Exit mobile version