Site icon Book PDF Down.com

দ্য পিলগ্রিমেজ PDF Download পাওলো কোয়েলহো

দ্য পিলগ্রিমেজ PDF Download পাওলো কোয়েলহো

‘দ্য পিলগ্রিমেজ’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন পাওলো কোয়েলহো। উপন্যাস না বলে এটিকে তার নিজের তীর্থযাত্রার সত্য কাহিনী হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। গল্পটির ভিত্তি গড়ে উঠেছে ১৯৮৬ সালে পাওলো একটি তীর্থযাত্রা করেছিলেন সেটিকে নিয়েই।

গল্পটি বাস্তব জীবনের হলেও পাওলো এমনভাবে গল্পটিকে উপস্থাপন করেছিলেন যেন মনে হয় কাল্পনিক কোন জগতের এক অতিবাস্তবিক কাহিনী বলা হয়েছে বইটিতে। পাওলো বরাবরই একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, তার পাঠেকরা সেটা খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারে তার লেখায়।

আর এই লেখায় তার রহস্যময় এই যাত্রায় তার পথপ্রদর্শক হিসেবে রয়েছেন পেট্রাস নামক এক গুরু। এই তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল একটি তরবারি উদ্ধার করে আনা, যার জন্য পাওলোকে ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি যাত্রা অংশ নিতে হবে। যাত্রার শুরুর স্থান ছিল ফ্রান্সের একটি ছোট শহরে এবং সেটি শেষ হবে স্পেনের সানতিয়াগো ডে কম্পোস্টেলায়।

এই যাত্রার মাঝে লেখক পাড়ি দিতে দেখা যায় দূর্গম পাইরেনিস পর্বতের মাঝ দিয়ে। যাত্রা শুরু হলে লেখক ও তার পথপ্রদর্শক পেট্রাস বিভিন্ন ঘটনা অবলোকন করেন ও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। যা তাদেরকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা দিয়ে দীক্ষিত করে।

এই তীর্থযাত্রাটি মানসিক,শারীরিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে খুবই কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার ছিল। যাত্রাটির অন্যতম দিক ছিল কীভাবে সাধারণ একজন মানুষ হয়েও অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। আর এই অসাধারণ হয়ে ওঠার বিভিন্ন শিক্ষা গুরু পেট্রাস ধীরে ধীরে পথে শেখাতে থাকেন লেখককে।

এই যাত্রার সরাসরি প্রভাব লক্ষ্য করা যায় লেখকের অন্যসব উপন্যাসগুলোতেও, বিশেষত ‘দ্য আলকেমিস্ট’ এ। পথের মাঝেই অনেকবার পাওলো তার যাত্রা থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, কিন্তু পথে চলাকালীন সময়ে তিনি যেসব বার্তা পাচ্ছিলেন সেসবই তাকে তার যাত্রায় অটল রাখতে সাহায্য করে।

পাওলোর যেকোন বইয়েই জীবনে সফল হওয়ার, জীবনকে অর্থবহ করে তোলার যেই বার্তাগুলো পাওয়া যায় এই বইয়েও সেসব রয়েছে। বাস্তব এক কাহিনীর সাথে অবাস্তবের যে মিশ্রণ গল্পটিতে দেয়া হয়েছে তা পাওলো ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।

বইটিতে শেষ পর্যন্ত কী হয়, লেখক কী তার যাত্রা শেষ করতে পারেন?? এসব জানতে হলে বইটি পড়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। পাওলোর অন্য সকল বইয়ের মত এটিও পাঠক সমাজে সাড়া ফেলে দিলে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়। বাংলা ভাষাও বইটি অনূদিত হয়েছে। আমাদের দেশে এর প্রকাশক হলো ‘আদী প্রকাশনী’ আর অনুবাদ করেছেন ‘সেঁজুতি রোশনাই’। বইটি যে কোন পাঠককে মনোমুগ্ধ করতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Exit mobile version