Site icon Book PDF Down.com

দ্য পোয়েট মাইকেল কনেলি অনুবাদ সালমান হক PDF download (থ্রিলার)

দ্য পোয়েট মাইকেল কনেলি অনুবাদ সালমান হক PDF download

মাইকেল কনেলি, থ্রিলার পাঠকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং পরিচিত নাম। পশ্চাত্য এই সাহিত্যিক ইতোমধ্যে দারুণ সব থ্রিলার লিখে বেস্ট সেলার লেখক ট্যাগটা লাগিয়ে ফেলেছে। তার কাহিনীগুলো এতটাই দারুণ। লেখকের অনেক বই-ই নানা ভাষায় অনুদিত হয়েছে। বাংলাতেও হয়েছে কয়েকটা। তারমধ্যে অন্যতম হল ‘দ্য পোয়েট’। আর অনুবাদ করেছেন সময়কার জনপ্রিয় অনুবাদক সালমান হক। সে যাই হোক, বইটা যারা পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপঃ ক্রাইম রিপোর্টার জ্যাক ম্যাকেভয়ের যমজ ভাই শন ম্যাকেভয় আত্মহত্যা করেন৷ যিনি ডেনভার পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একজন অফিসার। শনের মৃত্যুর খবর জনের বুকের ভেতর প্রবলভাবে নাড়া দেয়। ভাইয়ের আত্মহত্যার পেছনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আরও অনেক রহস্য, যেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের আত্মহত্যার ঘটনার মিল পাওয়া যায়! সবগুলো কেসেই সুইসাইড নোট হিসেবে এডগার অ্যালান পোয়ের কবিতার পঙক্তি লেখা। তাহলেই কি সবগুলো ঘটনার পেছনে একজন সিরিয়াল কিলার জড়িত, যে বেছে বেছে পুলিশ অফিসারদের খুন করে যাচ্ছে?

ভাইয়ের খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে একপর্যায়ে জ্যাক ম্যাকেভয় পুরোপুরি তদন্ত কাজের সাথে জড়িয়ে যায়। বেরিয়ে আসে খুনির খুন করার ধরণ দেহ দ্বিখণ্ডিত করা, হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলা ইত্যাদি। কী নৃশংস। শেষ পর্যন্ত বিকৃত মস্তিষ্কের সেই খুনিকে এফবিআই ধরতে পারবে নাকি এর ভেতর লুকিয়ে আছে আরও একটি অন্ধকার জগতের গল্প?

একটু রয়েসয়ে পড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু প্রথম পৃষ্ঠা পড়ার পর সেই গতি আর ধীর থাকল না। এমন অবস্থা হয়েছে, একমুহূর্তের জন্যেও বইয়ের পাতা থেকে অন্যদিকে চোখ ঘুরানোর উপায় ছিল না। টানা ২ দিন পড়ে সমাপ্তি পর্যন্ত পৌঁছে সবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি। কিছু কিছু বই আছে, যে বইগুলোর কাহিনী এমনভাবে ঘোর লাগিয়ে দেয়, যে ঘোরের মধ্যে থাকতে অন্যরকম তৃপ্তি কাজ করে। ঠিক তেমনই বই এটি।

সাধারণত ঢাউস সাইজের বইগুলোর কাহিনী শুরুতে ধীরগতিতে এগোয়, সেদিক থেকে বলতে গেলে এ বই শুরু থেকেই পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখার মতো। কাহিনীর গতি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে উত্তেজনাও টগবগ করে বেড়ে গিয়েছিল। মূলত তদন্তে কাজে এফবিআই যুক্ত হওয়ার পর কাহিনীর গতি বেড়ে যায়। বইয়ের শেষের দিকের লোম খাড়া টুইস্টগুলো পুরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মতো। জ্যাক ম্যাকেভয়ের সাথে সাথে নিজেও চেয়েছিলাম যেন তার সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হোক। সন্দেহ যেন অবিশ্বাসে রূপান্তরিত হোক। বইয়ের ভেতর এতটাই মজে গিয়েছিলাম যে, মানসপটে ভেসে উঠছিল গল্পের একেকটা দৃশ্য। যে দৃশ্যগুলো একেক সময় একেকরকম অনুভূতিতে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল আমায়।

পোয়েট নিজেকে এডগার অ্যালান পোয়ের একটা কবিতার যে পঙক্তি দিয়ে সম্বোধন করে-

‘নির্জনতায় আবাস আমার,
কোলাহলে পূর্ণ ধরণী সবার।
আমার আত্মা যেন স্তব্ধ স্রোত।’

এই বইয়ের পোয়েট হচ্ছে সেই কিলার যে সুইসাইড নোট হিসেবে এডগার অ্যালান পোয়ের কবিতার পঙক্তি ব্যবহার করে খুনগুলো করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পোয়েট কে সেটা পাঠক আগে থেকে জানতে পারে। তবুও এক অজানা কারণে খুনি নিজেকে রহস্যের যে চাদরে মুড়িয়ে রেখেছেন সেটা ভেদ করতে চান। যেখানে গেলে উন্মোচিত হবে এক অন্ধকার জগতের।

যে এলিমেন্টসগুলো কাহিনীতে অন্যমাত্রা যোগ করে দিয়েছে তা হলো এডগার অ্যালান পোয়ের কবিতার পঙক্তি আর স্তবকগুলো। পঙক্তি আর স্তবকগুলোর মধ্যে এক অদ্ভুত প্রাণশক্তি ছিল যা পড়ার সময় মেরুদণ্ডের মাঝ বরাবর এক শীতল অনুভূতি বেয়ে গিয়েছিল! না পড়লে এসব অনুভূতি বলে বুঝানো সম্ভব না!

এবার অনুবাদ নিয়ে কিছু বলি। বইটার অনুবাদ করেছেন সালমান হক। বর্তমানের সেরা অনুবাদকদের একজন হিসেবে যাকে অনায়াসে চিহ্নিত করা যায়। এর আগেও প্রায় ৩০ এর অধিক অনুবাদ গ্রন্থ আছে তার। তার অনুবাদ নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। যারা তার অনুবাদের সাথে পরিচিত তারা ভালোভাবেই জানেন সেটা।

 

সবশেষে বলবো, অসাধারণ একটা থ্রিলার। থ্রিলার প্রেমিদের না পড়লে মিস!

Exit mobile version