ইংরেজি সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় মুখ হলো হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। কারণ তার লেখাগুলো পাঠকদের কাছে এতটাই পছন্দের যে কারণে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার লেখা সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। তাঁর উপন্যাসে বাস্তব ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। যার কারণে পাঠকদের ভালোভাবে বোধগম্য হয়। তার বিখ্যাত সব উপন্যাসের মধ্যে “দ্য ওয়ে অফ দ্য স্পিরিট” অন্যতম।
তিনি মূলত তার ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। পরবর্তীতে দুঃসাহসীক ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠেন। তিনি খুব ছোট বয়সে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদান করার জন্য তাকে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে হয়। সবগুলো দেশের মধ্যে তিনি আফ্রিকা মহাদেশে বেশি দিন অবস্থান করেছিলেন। এজন্য তার বেশিরভাগ উপন্যাসে আফ্রিকা মহাদেশের অনেক তথ্য জানতে পারা যায়। এবং তার উপন্যাসগুলো আফ্রিকা মহাদেশ কেন্দ্রিক হয়ে থাকে।
“দ্য ওয়ে অফ দ্য স্পিরিট” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি জনপ্রিয় রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটি কে বাংলায় অনুবাদ করে সাইফুল আরেফিন অপু। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 236 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 83 টাকা। আপনারা যারা এই লেখকের বই পড়তে আগ্রহী তারা আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।
কাহিনী সংক্ষেপ
এই উপন্যাসটির নায়ক হলেন রূপার্ট ঊলারুশ। সে পেশায় হলো লেফটেন্যান্ট কর্নেল। পেশাগত কাজের জন্য 11 বছর ধরে সে বাইরে বাইরে অবস্থান করছে। হঠাৎ তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে দিতে বাধ্য হয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। বাড়ি ফিরে এলো রুপার্ট। বাড়ি এসে তার সুন্দরী কাজিন এডিথের প্রেমে পড়ে। একসময় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
বিয়ের মাত্র তিন ঘন্টা পরেই তাকে তার অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর রুপার্ট বাধ্য হয় গোপন মিশন নিয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হতে। যেতে যেতে পথে দেখা হয় বিপদগ্রস্ত মরুসুন্দরী মিয়ার সাথে। বিপদ থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে মিয়াকে আশ্রয় দেয় রূপার্ট এবং তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। রুপার্টের এই ধরনের সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখে মিয়া তার প্রতি দুর্বল হয়ে যায়।
এদিকে রুপার্টকে হুমকি দেয় স্থানীয় গোত্রপতি শেখ ইব্রাহিম। মিয়ার উপর কুনজর দেয় তারা। পূর্ব শত্রুতা এবং মিয়াকে পালাতে সাহায্য করায় ক্ষুব্ধ ইব্রাহিম রুপার্ট এর প্রতি। ইব্রাহিম প্রতিশোধের নেশায় পাগলের মত হয়ে যায়। কিভাবে রূর্পাটের ওপর প্রতিশোধ নিবে সেটার চিন্তা করতে থাকে। শুরু হয় যুদ্ধ।
শেষ পর্যন্ত কি হয় কর্নেল রূর্পাটের ভাগ্যে? রুপার্ট কি পারবে ইব্রাহিম কে পরাজিত করতে? জানতে হলে পুরো গল্পটা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এই উপন্যাসটিতে একসাথে প্রেম, যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র সবকিছুই উপভোগ করতে পারবে। আমি এই লেখকের এর যতগুলো বই পড়েছি তার মধ্যে এটি অন্যতম ছিল। তাই আমার মনে হয় যারা এখনো পড়েনি তাদের একবার হলেও বইটা পড়া উচিত। আশা করি কিছুটা সময় বইয়ের এক অন্য ভুবনে বিরাজ করবেন। কিছুটা সময় নিঃসন্দেহে অনেক ভালো কাটবে। কারন আমরা সবাই জানি বই পড়লে মন ভালো থাকে।