অ্যাবসেন্টিয়া PDF Download এম. জে. বাবু

বর্তমানের কমবয়সী একজন জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক হিসেবে পরিচিত এম. জে. বাবু। এখনও ছাত্র তিনি। এই নিয়ে বেড়িয়েছে মোট ৪ টা থ্রিলার বই। সবগুলোই সমান তালে জনপ্রিয়। তেমনই একটা জনপ্রিয় থ্রিলার হলো অ্যাবসেন্টিয়া। এম. জে. বাবুর ২য় বই এটা। প্রথম বই দিমেন্তিয়ার সিক্যুয়েল বলা যায়। তবে কাহিনির দিক দিয়ে না, ওই বইয়ের কয়েকটা পরিচিত চরিত্র আছে এটাতে। যাই হোক দারুন এই বইটা অনেক দিন থেকেই প্রিন্ট আউট। আপনারা যারা বইটা পড়তে পারেন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল পড়ে ফেলতে পারেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

একজন ক্রিমিনাল সাইকোলজিস্ট আব্দুল মান্নান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তিনি। দেড় মাস পর বিদেশ থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রতিষ্ঠিত অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের দায়িত্ব নেন তিনি। প্রথন দিন ছাত্রদের ক্লাস করিয়ে ফিরে আসতেই একটা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন আব্দুল মান্নান সাহেব।

তাঁর বিভাগের একজন সিনিয়র মনোবিদ মোস্তফা জামান খান তাঁর নিজের অফিসরুমে আত্নহত্যা করেছে! একজন মনোবিদ কেন এমন করবে? সাধারণত বিষন্নতা আর ডিপ্রেশন থেকেই আত্নহত্যার পসিবিলিটি জাগে। একজন মনোবিদ বরং সেটা দূর করবেন সেটা না, তিনি নিজেই আত্নহত্যা করে বসে আছেন! আব্দুল মান্নানের সন্দেহ হয়। তাছাড়া মোস্তফা জামান এমন মানুষ ছিলেন না মোটেও।

তাই আব্দুল মান্নান নিজ থেকেই একটু তদন্ত করার চেষ্টা করেন। পরের দিনই শুনতে পান, তিনি যে দেড় মাস ছিলেন না সে সময় আরও একজন আত্নহত্যা করেছে। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ দিদারুল ইসলাম। মান্নান সাহেব আর দেরি না করে শুরু করে তদন্ত, ঘাটাঘাটি করে বের করে, শুধু এই দু জনই নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকা মেডিকেলের আরও কয়েক জন আত্নহত্যা করেছে। এই খেলা শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। এসব কি নিছক কোনো আত্নহত্যা? না তার পিছনে জড়িয়ে আছে কোনো গূঢ় রহস্য? অথচ পুলিশ আত্নহত্যা ছাড়া অন্যকিছুর প্রমান পায়নি!

মান্নান সাহেব তাঁর পরিচিত একজন অফিসার দানিয়াল কে একটু খোঁজ নিতে বলে। দানিয়াল খোঁজ নিতেই বেড়িয়ে আসে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য, যারা আত্নহত্যা করেছে আত্নহত্যার আগে তাদের চরিত্র কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল! পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পাওয়া যায় এক বিশেষ ড্রাগ। এছাড়াও প্রত্যেকটা আত্নহত্যার স্পট থেকে উদ্ধার করা হয় একটা ফিনিক্স পাখির পেপারওয়েট! এগুলো কিসের আলামত? তাছাড়া শুধু মনোবিদরাই কেন আত্নহত্যা করছে? এইসব রহস্যের সমাধান পেতে পড়তে হবে বইটি।

বইটা খুনাখুনির হলেও এখানে তেমনভাবে রক্তপাত জড়িয়ে নেই। পুরোটা জুড়ে আছে মস্তিষ্কের খেলা! আমার মনে হয়েছে বইটা একটা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। বইটা ভালো লাগার মূল কারন বইটা তথ্য আর ব্যাখ্যা! উঠে এসেছে মনের নানা দিক। সাথে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে হিপনোটিজম সহ আরও অনেক কিছুর ব্যাখ্যা।

প্রথম দিকে বইটা একটু স্লো। তেমন একটা গতি প্রথম থেকে নেই। তাই যারা ধৈর্য্য ধরে অন্তত একশ পেইজ পড়তে পারবে না, তারা বঞ্চিত হবে এক রোমাঞ্চকর অভিযাত্রা থেকে। তারপর থেকে কাহিনী রোলার কোস্টারের মতো এগিয়ে গেছে। কে খুনি কিংবা এইসব আত্নহত্যা কিনা তা জানার জন্য পাঠক হন্যে হয়ে পরবে!

বইয়ের সব থেকে দারুন জিনিসটা হলো এর এন্ডিং। দারুন একটা এন্ডিং দিয়েছেন লেখক আর এখানেই সব থেকে বড় টুইস্ট দেন তিনি। অবশ্য লেখকের স্বভাবই এরকম, শেষে এসে পাঠকের কল্পনাকে একেবারে চুরমার করে দিবে। এখানেই লেখকের সার্থকতা। সাথে রেখে দয়েছেন রহস্যময়তার একটা আবেশ!

সবশেষে বলবো, দারুন একটা বই এটি। না পড়লে মিস বলা যায়। তাই সাজেস্ট থাকবে বইটা পড়ার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top