ইতিহাসের রোমাঞ্চকর ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস এর জন্য বিখ্যাত লেখক হিসেবে আমরা যাকে চিনি সে আর কেউ নয়, তিনি হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। ইংরেজি সাহিত্যের একজন নামকরা লেখকদের মধ্যে একজন। যিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে ছোট থেকে বড় সব পাঠকদের চিন্তাভাবনাকে একই সুতোয় বেঁধে রেখেছে। তার লেখনীতে আমরা অনেক রকমের সাহিত্যিক স্বাদ একসাথে পেয়ে যায়। তার লেখার প্লট গুলো অসাধারণ ভাবে তিনি সিলেকশন করেন। তার অসাধারন কিছু উপন্যাসের মধ্যে “আ্যলান অ্যান্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার” একটি অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস।
হেনরি রাইডার একসময় তার ভাইয়ের সাথে বাজি ধরে সাহিত্য লেখা শুরু করেন। তারপর তিনি এমন কিছু উপন্যাস পাঠকদের সামনে এনেছেন যেটা রাতারাতি তাকে বিখ্যাত করে দিয়েছে। ইতিহাসে বিখ্যাত লেখকদের মধ্যে একজন করে তুলেছেন। তাঁর রচনার গুলোতে আমরা সহজ সরল ও সাবলীল ভাষার ব্যবহার দেখতে পাই। তিনি অনেক দেশ ভ্রমণ করার সুবাদে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং সেই গানেরি প্রতিরূপ তাঁর উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন।
“আ্যলান অ্যান্ড দ্য হোলি ফ্লাওয়ার” হেনরি রাইডার এর একটি জনপ্রিয় অনুবাদ উপন্যাস। উপন্যাসটি বাংলায় অনুবাদ করেন কাজী মায়মুর হোসেন। বইটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটি প্রকাশিত হয় 2015 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 413 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মূল্য হল 12২ টাকা। আপনারা এই বইটি খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকেবিনামূল্যে পড়ে নিতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
হেনরি রাইডার এর অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর একটি বই এটি। বইটির কাহিনী যাদেরকে কেন্দ্র করে হয়েছে তারা হল একজন দুর্ধর্ষ শিকারি আ্যলান, অর্কিড প্রেমিক স্টিফেন এবং ডাক্তার জন। অনেকদিন আগে আ্যলান, স্ক্রুপ নামের এক ভদ্রলোক তার বাগদত্তা প্রেমিকা মিস মার্গারেট ম্যানার্স এর সাথে মনোমালিন্য করে ইংল্যান্ড থেকে হাতি শিকার এর জন্য আফ্রিকাতে গিয়েছিলেন।
সেখানে হাতি শিকার এর সময় অনেক ভয়ঙ্কর চিতাবাঘের আক্রমণের সম্মুখীন হয়। সেখানে আ্যলানকে বাঁচানোর জন্য স্ক্রুপ ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং চিতা বাঘের আক্রমণে সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। যখন কোন ভাবেই আ্যলান স্ক্রুপের বাঁচার কোন আশা পাচ্ছিল না তখন আফ্রিকার একজন খ্যাত পাগল ডাক্তার জন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। সে স্ক্রুপকে বাঁচানোর জন্য নিয়ে আসে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও সেরা ফুল অর্কিড।
ডাক্তার জনকে দেখে অ্যালানের মনে হয়েছিল তিনি একজন খুবই রহস্যময় মানুষ। তার ঝুলিতে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে। আ্যলান জনের কাছ থেকে জানতে পায় পঙ্গো নামের এক নরখাদক গোষ্ঠীর কথা। যারা সাদা দেব-দেবীর পূজা করে। এবং তাদের কাছেই আছে অদ্ভুত অর্কিডের রহস্য। শেষ পর্যন্ত কি তারা এই রহস্য ভেদ করতে পারে? জানতে হলে পুরো বইটা পড়তে হবে।
এই বইটি তাদের কাছে ভালো লাগবে যারা অ্যাডভেঞ্চার মূলক বই পড়তে অনেক পছন্দ করে। কারণ আমরা জানি আফ্রিকা হলো অ্যাডভেঞ্চারের জায়গা। এছাড়াও লেখক এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। সে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো দাস প্রথা। তখনকার সময়ে আফ্রিকাতে এই দাসপ্রথা নিয়ে অনেক বিপ্লব হয়েছিল। লেখক মূলত সেখানেই আঘাত করেছেন। সেই সময়ে কিভাবে নিগ্রোদের সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো তারি এক দৃষ্টান্ত এই উপন্যাস লেখক তুলে ধরেছেন। তাই বলব এই শিক্ষামূলক বইটি একবার হলেও সবার পড়া উচিত।