অ্যালান কোয়াটারমেইন PDF Download হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

আমরা যারা বই পড়তে পছন্দ করি তাদের মধ্যে খুব কম জনই আছে যারা হেনরি রাইডার সম্পর্কে জানেন না। ইংরেজি সাহিত্যে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের লেখক হলেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড। তার লেখাগুলো এতটাই সবার মন জয় করেছে যে পাঠকরা তাকে এক নামেই চেনে। তার রচনাগুলো বরাবরই বাস্তবধর্মী হয়। ইংরেজি সাহিত্যে রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস হিসেবে আমরা হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড এর নামই ধরে থাকি। তার লেখাগুলোতে সব সময় কঠিন জিনিস কে নিয়ে সহজ ভাবে আলোচনা করা হয়। হেনরি রাইডার বরাবরই চেষ্টা করেন তার লেখাগুলো জাতীয় ছোট থেকে বড় সব পাঠকরাই পড়তে পারে।

হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড হল দুঃসাহসিক রোমাঞ্চকর ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসের জনক। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অত্যাধিক জনপ্রিয়। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “অ্যালান কোয়াটারমেইন” অন্যতম। তিনি মূলত এই উপন্যাসে শিশু-কিশোরদের নিয়ে গল্প তুলে ধরেছেন।

“অ্যালান কোয়াটারমেইন” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি জনপ্রিয় শিশু কিশোর বিবিধ উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করেছে সেবা প্রকাশনী। বাংলায় বইটি অনুবাদ করেছেন খসরু চৌধুরী। উপন্যাসটিতে লেখক এমন অনেক কিছু করেছেন যেটা পাঠকের আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে। আপনাদের কাছে যদি এই বইটির মূল কপি না থাকে তাহলে তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 74 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

অ্যাডভেঞ্চার এর জনক হিসেবে হেনরি রাইডারের নাম সবার কাছে অধিক পরিচিত। এই উপন্যাসটি ও তার ব্যতিক্রম নয়। উপন্যাসটির পুরোটা জুড়েই অ্যাডভেঞ্চার এর বিভিন্ন খণ্ড খণ্ড চিত্র পাওয়া যাবে। অ্যালান কোয়াটারমেইন হেনরি রাইডারের সবগুলো উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। আমি এখানে এই উপন্যাসের সংক্ষিপ্ত গল্প তুলে ধরব। বাকিটা জানতে হলে অবশ্যই পুরো বইটা পড়ে দেখতে হবে।

উপন্যাসটির কাহিনী শুরু হয়েছে মৃত্যু দিয়ে। দীর্ঘদিন বসে থাকার পর অ্যালান কোয়াটারমেইন খুবই বোর ফিল করছিল। তাই সে রিফ্রেশমেন্টের জন্য কার্টিস আর গুডকে নিয়ে নতুন অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়েন। তারা এবার কিংবদন্তির ওপর নির্ভর করে দুর্গম স্থানে শ্বেতাঙ্গ জাতির সন্ধান করতে বের হয়। তারা যখন বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে, শেষ পর্যন্ত তারা পৌঁছায় আফ্রিকার প্রাচীনতম উপজাতি মাসাই গোষ্ঠী তে।

তারা একের পর এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। তাদের অভিযান পুর্ণ গতিতে এগিয়ে চলে। পথে এক জুলু সরদারের সাথে ভাগ্যক্রমে তাদের দেখা হয়ে যায় এবং তাদের অভিযানের সঙ্গী হয়ে যায়। একের পর এক তাদের তারা নতুন অভিজ্ঞতা ও মৃত্যুর হাতছানি এবং খণ্ডযুদ্ধে যুক্ত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমর্থ হয়। অনেক বাধা অতিক্রম করে তারা যখন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছায় সেখানেও তারা অনেক বাধার সম্মুখীন হয়।

এরপর যে কারণে যুদ্ধ হয় সেটা হলো ঈশ্বর প্রাসাদ ষড়যন্ত্র এবং নারীঘটিত কারণ। শেষ পর্যন্ত তারা কি তাদের লক্ষ্য পরিপূর্ণ করে ফিরে আসতে পারবে? এ প্রশ্নটা আমার আপনাদের কাছে থাকল। পুরো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে বইটা অবশ্যই পড়ে শেষ করতে হবে।

অসাধারণ এই বইটি যদি কেউ না পড়ে থাকেন তাহলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। তাই আর দেরি না করে একবার হলেও বইটি পড়ে দেখুন। এই উপন্যাস পড়লে হেনরি রাইডার এর উপন্যাস সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মে যাবে। তাই আর দেরি না করে বইটি পড়ে ফেলুন সবাই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top