আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই PDF Download সাদাত হোসাইন

‘আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই’ উপন্যাসটির লেখক হলেন ‘সাদাত হোসাইন’। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক উজ্জল নক্ষত্র হলেন সাদাত হোসাইন। একের পর এক উপন্যাস প্রকাশ করে অতি অল্প সময়ের মাঝে হয়ে উঠেছেন পাঠক সমাজের কাছে অতি জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব।

সহজ-সরল, প্রাঞ্জল ভাষার ব্যবহার, জীবন্ত বর্ণনার ধরণ তার লেখাগুলোকে সকলের কাছে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। লেখকের লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সমাজকে নিয়ে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাদাত হোসাইন নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারেন। সাদাত হোসাইনের লেখায় নিজস্ব একটি ভাবগাম্ভীর্য আছে।

তার লেকগার ধরণ দেখলেই বোঝা যায় লেখাটি কার। আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে এবং প্রকাশনী সংস্থা হলো ‘ভাষাচিত্র’। উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে আমাদের সমাজের নারীদের কেন্দ্র করে। তাদের সামাজিক অবস্থান ও সমাজে তাদেরকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয় তার এক উজ্জল প্রতিমূর্তি হলো উপন্যাসটি।

ধনী বা দরিদ্র নির্বিশেষে সকল ধরণের নারীদের কাহিনী ফুটে উঠেছে এই গল্পে। উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন নিপুণ হাতে। উপন্যাসটিতে একদিকে বর্ণিত হয়েছে লাবণীর কাহিনী। বিত্তশালী এক পরিবারে মেয়ে সে। লাবণীর পিতা হলেন একজন বিত্তবান মানুষ। তার নাম আজহার উদ্দিন।

আজহার উদ্দিন সাহেব শুধু একজন বিত্তবান তাই না তিনি একজন প্রভাবশালী নেতাও বটে। জীবনের সকল হিসেবে আঝার সাহেবভখুব পাকা। কখনোই কারো সামনে তাকে পরাজয় স্বীকার করতে হয় নাই। অথচ লাবণীর সামনে তার নিজের মেয়ের সামনে আজ তাকে নতি স্বীকার করতে হচ্ছে।

লাবণী একের পর এক বিয়ে ভেঙে সকলের সামনে আজহার সাহেব কে হেয় প্রতিপন্ন করছে অথচ আজহার সাহেব কিছুই করতে পারছেন না। অনেক ভেবে আজহার বের করেছেন লাবণীর গৃহ শিক্ষক বাদলের এই সবের পিছনে হাত থাকতে পারে। আবার লাবণীর কোন লুকায়িত ক্ষোভও থাকতে পারে তার পিতার প্রতি যেহেতু আজহার সাহেব দুটি বিয়ে করেছেন এবং বাসায় লাবণীর সৎ মাকে নিয়ে এসেছিলেন।

গল্পের অপরদিকে আবার রয়েছে একটি গ্রামীণ হতদরিদ্র পরিবারের চিত্র৷ সেখানে দেখা মেলে বাদলের দিদি রাবেয়ার। রাবেয়া বহুকষ্টে জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তার সন্তান ও শ্বাশুড়ির সকল দায়িত্ব এখন তার কাঁধে। রাবেয়ার স্বামীর নাম হলো ফরিদ, সে আজ বহুদিন যাবত নিখোঁজ।

উপন্যাসটিতে লেখক দুই মরুর দুই ব্যক্তির কাহিনী দেখিয়েছেন। কিন্তু তারপরও দুইজনের মাঝে কিছু মিল রয়েছে আর সেই মিলটি হলো অবহেলার মিল। আমাদের বর্তমান সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপটের এক অবিকল প্রতিরূপ লেখক এই গল্পে তুলে ধরেছেন। আমাদের চারপাশের নারীরা তাদের আশেপাশের সকল মানুষকে আগলে রাখার জন্য কত কষ্ট করেন অথচ এর বিনিময়ে তারা পান অবহেলা। সমসাময়িক সময়ের অন্যতম ভালো একটি সামাজিক উপন্যাস এটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top