আমার একাত্তর PDF Download আনিসুজ্জামান

আমার একাত্তর PDF Download আনিসুজ্জামান, ‘আমার একাত্তর’ বইটি রচনা করেছেন বাংলাদেশের বরেণ্য সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান। বইটি ১৯৯৭ সালে ‘সাহিত্যপ্রকাশ’ প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি একটি স্মৃতিকথা মূলক বই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকেই অনেক লেখালেখি করেছেন। তারমধ্যে এই বইটি একটু অন্যমাত্রার হওয়ার কারণ হলো, তৎকালীন সময়ের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে লেখকের ঘনিষ্ঠতা।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং প্রবাসী সরকারের প্ল্যানিং সেলের সদস্য হবার কারণে যুদ্ধকে দেখতে পেরেছিলেন খুব কাছ থেকে। তাই তার স্মৃতিকথা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দলিলপ্ত্র হিসেবে বিবেচিত। তাজউদ্দীন আহমদের সাথে লেখকের দীর্ঘ পরিচিতি ও ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং তাজউদ্দীন আহমদের অনেক ভাষণ লেখকেরই তৈরি করে দেওয়া ছিল।

আমার একাত্তর রিভিউ

যুদ্ধকালীন সময়ের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে লেখক দেখেছিলেন খুব কাছ থেকে যা লেখকের এই লেখায় উঠে এসেছে। বইটির ভূমিকায় লেখক বলেছেনঃ “১৯৭১ সালের স্মৃতি যাদের সঞ্চয়ে আছে, তা নিয়ে কিছু বলার মতো কথা আছে- আমি তাদের একজন।”

বইটির সূচনা ঘটেছে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন থেকে। বর্ণিত হয়েছে আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের আন্দোলনের কথা। এরকমই একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে একটি ফ্লাইটে করে ২৫ মার্চ সকালে উপস্থিত হন।

লেখকের চট্টগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডার পদের জন্য সাক্ষাৎকার দেওয়া। এসব বর্ণনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে বইটির কাহিনী এগিয়ে যেতে থাকে ব্যক্তিজীবনে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব ও এর প্রেক্ষাপট নিয়ে। বইটির লক্ষ্যনীয় বিষয় এই যে, লেখক স্মৃতিকথা লেখলেও নিজেকে উহ্য রেখেই বেশিরভাগ ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে সত্তরের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন লেখক। সত্তরের নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থা পরিবর্তিত হতে থাকে আর এর মধ্যেই লেখক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২৫শে মার্চ ১৯৭১ এর পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রতিরোধ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে।

সেনাবাহিনীর বাঙালি সেনা, ইপিয়ার এর সদস্যরা জড়ো হতে শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তৎকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড.এ.আর. মল্লিক, সৈয়দ আলী আহসান ও লেখক সেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।

একসময় পাকিস্তানি বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের ফলে এ প্রতিরোধ দূর্বল হয়ে আসলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন। তারপর সেখান থেকে লেখক প্রথমে যান রাউজানে তারপর রামগড় সীমান্ত পার হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায়। সীমান্ত পার হবার আগে ও পরে খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, জিয়াউর রহমানের মতো ব্যক্তিবর্গের সাথে লেখকের সাক্ষাৎ এর বিষয়টি বইয়ে স্থান পেয়েছে।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের বই

এরপর লেখক কলকাতায় চলে যান। এরই মধ্যে কলকাতায় স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিলো যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাজউদ্দীন আহমদ লেখককে সরকারে যোগ দিতে বললেও তিনি প্রথমেই তা করেননি। কলকাতায় আশ্রয় নেয়া শিক্ষকমন্ডলীদের নিয়ে ড.মল্লিকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি গড়ে তুলতে লেখক সচেষ্ট হয়ে ওঠেন।

স্বাধীনতার আন্দোলনের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের লেখক-সাহিত্যিক-শিক্ষকদের একটি দল উত্তর ভারত সফর করে লেখক তাদের সঙ্গী হন এবং তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। পরবর্তীতে লেখক বাংলাদেশ সরকার যেই পরিকল্পনা সেল গঠন করেন তার চারজনের একজন নিযুক্ত হন।

আমার একাত্তর PDF

সরকারের সাথে কাজ করার সময় লেখক অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন তাও এই বইয়ে স্থান পেয়েছে যেমন, মুজিব বাহিনীর সাথে তাজউদ্দীন প্রশাসনের মতবিরোধ, সামরিক প্রশাসনের সাথে মুজিবনগর সরকারের অন্তর্দ্বন্দ্ব। এভাবেই বইটির ঘটনাপ্রবাহ অগ্রসর হতে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের অনেক জানা-অজানা তথ্য সামনে আসতে থাকে। যুদ্ধপরবর্তী দেশের কিছু অনন্য চিত্র ও বইটিতে লক্ষ্যণীয়। কালের পরিক্রমায় বইটি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি দলিলপত্র হিসেবে রূপ লাভ করেছে।

আমার একাত্তর PDF

একাত্তরে পরাশক্তির যুদ্ধ pdf

মুক্তিযুদ্ধের বই pdf download

আমার বই pdf

যুদ্ধ বিষয়ক বই pdf

নিষিদ্ধ বই pdf download

আনিসুজ্জামান এর বই pdf

কাল নিরবধি pdf

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top