বাংলাদেশের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ আমি এবং আমরা ‘। এটি মিসির আলি সিরিজের একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। বইটির প্রকাশক প্রতীক প্রকাশনী। বইটির ভাষা বাংলা এবং অনলাইন পিডিএফ সাইজ ৯ এমবি। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৬ টি। বইটির বাংলাদেশী মূল্যঃ ১৫০ টাকা।
‘আমি এবং আমরা ‘ হুমায়ুন আহমেদের বিখ্যাত চরিত্র মিসির আলি কে নিয়ে লিখা। মিসির আলি মানেই রহস্যে ভরা লিখা। তার মিসির আলি সিরিজের প্রতিটি বই অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখা আর রোমাঞ্চকর। এই বইটিও তার ব্যতিক্রঙ নয়। বইটি পড়তে হলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
‘আমি এবং আমরা’ উপন্যাসের মূল কাহিনীঃ বইটি অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক ধরনের উপন্যাস। এই বইয়ের শুরু টাই হয়েছে রহস্য দিয়ে। বইটিতে সবচেয়ে মজার হলো মিসির আলির রহস্যের খেলা। মিসির আলির এক ছাত্র আছে যার নাম তন্ময়। ভালো না মুশফিকুর রহমান। সে মিসির আলির সাথে রহস্যের খেলা খেলে। কিন্তু মিসির আলি তো একজন জিনিয়াস মানুষ সেটা সবাই জানে না। তিনি শেষ পর্যন্ত রহস্যের মাঝে ডুব দেন তার ছাত্র কে নিয়ে. মিসির আলির একটা কাজের ছেলে আছে। যার নাঙ বদু। মিসির আলি তাকে ৩ মাস ধরে অ আ শিখানোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু কোনো কাজই হয়নি। কিন্তু তন্ময় এসে একদিনেই তাকে অ আ শিখিয়ে দিয়েছিল। এটাও একটা রহস্য।
পাখি নিয়ে এই উপন্যাসে রহস্যের শেষ নেই। এবার মিসির আলির নতুন গবেষণা শুরু হয়েছে দুটো চড়ুই পাখি নিয়ে। মিসির আলি প্রতিদিন জানালার পাশে চাল ছড়িয়ে রাখেন। সেখানে দুটো চড়ুই পাখি চাল খেতে আসে। একটা চড়ুই পাখি চাল খায় আর আরেকটা মুখ গম্ভীর করে বসে। সে কিছুই খায়না তবুও প্রতিদিন আসে। প্রতিদিন দুটো পাখি আসে কিন্ত একটা খায়না এর কারণ কি।
তার কি খিদে নেই নাকি সে উপবাস থাকে। এইসব বিভিন্ন চিন্তা তার মাথায় ঘোরে। ইতোমধ্যে পাখি বিষয়ক অনেক বই তিনি পড়ে ফেলেছেন। কিন্তু কোন রকম তথ্যই তিনি পাচ্ছেন না। তিনি বিভিন্ন রকম পাখি বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলেছেন কিন্তু তেমন কোনো তথ্য পাননি। এই ব্যাপার নিয়ে মিসির আলি বেশ চিন্তিত আছেন।
মিসির আলির দিনদিন বয়স হচ্ছে। শরীর আর আগের মতো নেই। এখন তিনি ডাক্তারের পরামর্শ মতো নিয়মিত ঔষধ খান। সময় মত খাওয়া দাওয়া করেন আর নিয়ম মত ঘুমাতে যান। তিনি নিয়মিত পার্কে হাটাহাটি করেন। প্রতিদিন বিকালে তিনি হাটতে যান। পার্কে প্রতিদিন একটি লোক আসে।
সেই লোকটি মিসির আলি কে তার প্রেমের গল্প শোনাতে চায়। মিসির আলির প্রেমের গল্প শোনার কোনো ধৈর্য নেই, তাই তিনি শুনতে চান না। কিন্তু লোকটি হাল ছাড়ে না কোনদিন। সে প্রতিদিন এসে তাকে গল্প শোনাতে চায়। একদিন মিসির আলি সেই লোকটির জিহ্বা দেখে শিউরে ওঠেন। কারণ তার জিহ্বা ছিল কালো কুচকুচে।