আমিই মিসির আলি PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

“আমিই মিসির আলি” হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সমগ্রের একটি উপন্যাস। বরাবরের মতই মিসির আলি সিরিজের অন্যান্য চমকপ্রদক উপন্যাসের মতই এই উপন্যাসটি প্যারানরমাল বা অতিপ্রাকৃত কিছু বিষয়বস্তু রয়েছেন। তবে আমাদের বিখ্যাত মিসির আলি শেষ পর্যন্ত সমস্ত রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়।

“আমিই মিসির আলি” উপন্যাসটিতে মিসির আলির জীবনযাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে। যেমন সাদামাটা জীবন যাপন করেন তিনি। নিজে রান্না করে খান এবং প্রতিদিন একই খাবার রান্না করেন। তিনি চাল ডাল আর সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে না রোজ। এছাড়া তিনি গান শুনতে অনেক পছন্দ করেন।

মিসির আলি গল্পের শুরুতেই তার এক ছাত্রের আমন্ত্রণে টেকনাফ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ঠিক তখনই মিসেস মারহাবা খাতুন লিলি নামে একজন মহিলা মিসির আলীর বাড়িতে আসেন। সে তার স্বামী সুলতান সুলতান সাহেবের পক্ষ থেকে একটি চিঠি নিয়ে আসেন। চিঠিটা ছিল লিলির পঙ্গু স্বামীর তরফ থেকে একটি আমন্ত্রণপত্র।

প্রথমে রাজি না হলেও পরে মিসির আলি টেকনাফ ভ্রমণ বাতিল করে তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গল্পের আসল রহস্য এখান থেকেই শুরু হয়েছে। মিসির আলি রাত দশটার দিকে মিসেস মিলির সাথে সুলতান সাহেবের বাড়িতে যান।

পরদিন সকালে বাড়িটির পেছনে তিনি একটি পুরনো কালী মন্দির এবং একটি খুঁজে পায়। এই অদ্ভুত বাড়ি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে অনেক রহস্যময় ঘটনা জানতে পারেন মিসির আলি। পূর্বে বাড়িটি অশ্বিনী বাবু নামের একটি হিন্দু ব্যক্তির ছিল। সে স্বপ্ন আদেশ পেয়ে কালী মন্দিরটি নির্মাণ করেন এবং একদিন স্বপ্নে দেখেন যে মন্দিরে নরবলি দিতে হবে।

আসলে তিনি কোনমতেই এটি করতে চাইনি কিন্তু হঠাৎ একদিন মন্দিরের ভেতর তার বড় মেয়েকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অনেক বিভৎসভাবে খুন করা হয়েছিল মেয়েটিকে। অশ্বিনী বাবু সেখান থেকে গ্রামের বাড়ি পালিয়ে যায় এবং পর পর তার অন্য দুটি মেয়েও খুন হয়। অনেক পরে জানতে পারা যায় যে আসলে সে নিজেই একজন সিরিয়াল কিলার।

নিজের তিন মেয়েকে সে নিজেই খুন করেছেন সবকিছু। জানতে পারার পর মিসির আলি বেশ অবাক হয় কিন্তু হঠাৎ এই সে বাড়িতে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন যে সুলতান সাহেবও একজন সিরিয়াল কিলার। সে আসলে পঙ্গু নয়। সে মিছির আলীকে ফাঁদ পেতে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছে এবং খুন করতে চায়।

ওর বাড়িতে যাওয়ার দুই দিন পর মিসির আলি এসব জানতে পারেন। সুলতান সাহেবের পুরোনো ডায়েরি পড়ে তিনি জানতে পারেন যে সুলতান সাহেব নিজে তার ভাই এবং বোনদের ঘুমের মধ্যে খুন করেছে এবং ছোটবেলা যে শিক্ষক সুলতান সাহেবদের ভাইবোনদের পড়াতো সেই শিক্ষককে সুলতান সাহেব ধাক্কা মেরে কুপের মধ্যে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন। কেননা সে শিক্ষক সুলতান সাহেবকে বকাবকি করেছিল।

সবকিছু জানার পরে সুলতান সাহেব সালমা নামের একটি মেয়েকে এনে ওই বাড়ির পেছনের কুপে আটকে রাখে এবং খুন করতে চায়। অবশেষে মিসির আলি কৌশলে সেই মেয়েটিকে বাঁচায় এবং নিজে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পায় নিজ বুদ্ধিতে।
মিসির আলি সমগ্রের যত উপন্যাস আছে তার মধ্যে এই উপন্যাসটি অনেক বেশি রহস্যময় এবং সাসপেন্সে ভরপুর। তাই মিসির আলি প্রেমিকদের অবশ্যই এই উপন্যাসটি অবশ্যই পড়া উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top