আঙ্গারধানি PDF Download কিঙ্কর আহসান

‘আঙ্গারধানি’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘কিঙ্কর আহসান’। সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছেন কিঙ্কর আহসান। প্রত্যেক যুগেই অল্প সংখ্যক কিছু সাহিত্যিক থাকেন যাদের লেখা হৃদয়ে নাড়া দেয়, এই লেখক তাদের মধ্যে অন্যতম।

মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, বেদনা, ভালোবাসা ও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় এই লেখক যেভাবে তার লেখায় ফুটিয়ে তোলেন তার জুড়ি মেলা ভার। অন্যরকম এক সম্মোহনী ক্ষমতা আছে লেখকের লেখাগুলোতে। একবার পড়তে শুরু করলে যেন সেই গল্পের জগতে হারিয়ে যেতে হয়।

কিঙ্কর আহসানের লেখাগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দ্রুত দৃশ্যপটের পরিবর্তন, যেন মনে হয় কোন থ্রিলার পড়ছি যদিও তার বেশির ভাগ উপন্যাসই হলো সামাজিক উপন্যাস। ‘আঙ্গারধানি’ উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালে এবং প্রকাশনী সংস্থা হলো ‘জাগৃতি প্রকাশনী’। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা হলো ৯৫।

উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে আলগী নদীর তীরের একটি গ্রামের একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে। উপন্যাসটির নায়ক বা মূল চরিত্রের ছোট বোন পুতুল মারা যাওয়ার মধ্য দিয়ে উপন্যাসটির গল্পটি শুরু হয়। সেদিন আবার বিদেশ থেকে থেকে ফেরত আসে নায়কের বড় ভাই।

কিন্তু পুতুলের মৃত্যুতে যতটা শোকের ছায়া নেমে আসার কথা ছিলো পরিবারে তার চেয়ে বেশি সুখের সঞ্চারনা লক্ষ্য করা যায় বড় ভাইয়ের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে। বড় ভাই অনেকদিন ধরেই পলাতক ছিলেন, না কোন ধরণের মামলা মোকদ্দমার জন্যে নয়। হঠাৎ করেই কেন জানি কাউকে কিছু না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

আজ আবার ঠিক সেরকম হঠাৎ করেই ফেরত চলে আসলেন৷ নায়কের এরপর থেকেই তার শৈশবের স্মৃতি তাড়া করতে শুরু করে। মেজ খালার মৃত্যুর পরপরই নায়কের মেজ খালু তার মেয়ে নিশাকে ফেলে চলে যান নায়কের বাসায়। আর এরপর থেকেই দুই ভাই নিশার প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকে। যদিও নায়ককে কখনোই নিশা পাত্তা দেয় না।

হয়তো বয়সে নায়ক নিশার চেয়ে ছোট হবার জন্যই। কিন্তু বড় ভাইয়ের সাথে এক সময় নিশার প্রেম হয়। কিন্তু হঠাৎই এসব ছেড়ে চলে যান বড় ভাই। ভাই চলে যাবার পর পরিবারের সকলে জানতে পারেন নিশা সন্তানসম্ভবা। কিন্তু কে বা কারা যেন নিশার বাচ্চাকে হত্যা করে তার অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করে।

এসব ভেবে নায়কের মনে জানি এক অস্থিরতার সঞ্চার হয়। এতদিন পর বিদেশ থেকে আসার পর বড় ভাইকে পরিবারের সকলের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। ধীরে ধীরে পরিবারের প্রত্যেকটি সম্পর্ক পরিবর্তিত হতে শুরু করে। সকলের ভেতর একই সাথে প্রতিশোধ, ভালোবাসা, কষ্ট সবকিছু একসাথে জেগে ওঠে। আর এরপর থেকেই উপন্যাসটির পটভূমি দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে।

উপন্যাসটি এককথায় অসাধারণ। গল্প বলার ধরণ লেখকের এতটাই পরিপক্ক যে, রীতিমতো সম্মোহিত হয়ে যেতে হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top