আনন্দ বেদনার কাব্য PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের আনন্দ বেদনার কাব্য মূলত একটি গল্প সংকলন বই। এই বইটিতে অনেকগুলো গল্প রয়েছে যা যেকোনো বয়সের পাঠককে মুগ্ধ করতে সক্ষম। যারা এখনো স্যারের এই গল্প-সংকলনের বইটি পড়েননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন এবং পড়ে নিতে পারবেন।

তাই দেরি না করে আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের আনন্দ বেদনার কাব্য বইটি পড়ুন এবং হুমায়ূন আহমেদ স্যারের লেখা জগতে হারিয়ে যান। আপনাদের সুবিধার জন্য বইটির পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে সংযোজন করা হলো।

আনন্দ বেদনার কাব্য প্রকাশনী সংস্থা হল অন্যপ্রকাশ। এই বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা মোট 64 টি এবং বইটির বর্তমান বাজার মূল্য 230 টাকা। যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই বইটিতে চমৎকার নয়টি গল্প অপেক্ষা করছে।

আনন্দ বেদনার কাব্য বইটির কাহিনী সংক্ষেপ

যেহেতু আনন্দ বেদনার কাব্য বইটিতে ছোট ছোট গল্প স্থান পেয়েছে সেহেতু ছোট ছোট গল্প আমি সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের বলার চেষ্টা করব। আনন্দ বেদনার কাব্য বইটিতে প্রথম গল্প স্থান পেয়েছে যার নাম রিক্তশ্রী। এটি মূলত একটি বইয়ের নাম এবং এই বইটিতে অনেকগুলো কবিতা স্থান পেয়েছে। লেখক এই বইটি সম্পর্কে তার আবেগ অনুভূতির কথা খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।

বইটির প্রচ্ছদ যে মেয়ের একটি ছবি দেওয়া আছে সেই ছবিটা এঁকেছে একটি স্কুলের শিক্ষার্থী। যখন লেখক সেই স্কুলের শিক্ষার্থী সম্পর্কে কথা বলতে চাই তখন আমরা বুঝতে পারি সেই মেয়েটি বইটি প্রকাশের পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছে। তাই গল্পটি পড়ে আপনাকে দুঃখ পাইয়ে দিবে।

বইটির এ তৃতীয় গল্প হলো উনিশশো একাত্তর। এই গল্পে একদিন গ্রামে চলে আসে মিলিটারি দল। গ্রাম ছেড়ে সকলে পালালেও পালায় নিয়ে গ্রামের একটি বদ্ধ পাগল। পরে মিলিটারি দলেরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে সেই গাছের নিচে বিশ্রাম করতে শুরু করে। পাগলের এই অবস্থা দেখে সেই ভদ্রলোক মিলিতারি দলের কাছে যায় এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।

কিন্তু মিলিটারি দল তাকে ছেড়ে না দিয়ে হতদরিদ্র স্কুল মাস্টারকে চরম অপমান করে। স্কুল মাস্টার অপরাধবোধ আর সহ্য করতে না পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিলিটারির মুখে থুথু ছুড়ে মারে। মুক্তিযুদ্ধকালীন মিলিটারিদের প্রতি বাঙালির যে মনোভাব এবং তীব্র ঘৃণা কাজ করছিল তা ফুটে উঠেছে স্কুলমাস্টারের চরিত্রে।

বইটির চতুর্থ গল্প হলো জলছবি। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো জলিল সাহেব নামক এক কর্মচারী। তিনি প্রতিদিন নিয়মিত অফিসে আসলেও আজকে হঠাৎ করে তার রাস্তায় জুতা ছিড়ে যায় এবং জুতো ঠিক করার জন্য তার অফিসে আসতে দেরি হয়। অফিসে এসে জানতে পারেন বা অফিসের বস তাকে ডাকছে এবং তিনি অফিসের বসের ডাকে ভয়ে তটস্থ হয়ে যায়। কিন্তু যখন তিনি অফিসের বসের সঙ্গে দেখা করেন তখন বস তাকে একটি শুভসংবাদ দেয়। জলিল সাহেব কে জানানো হয় যে তার কাজে খুশি হয়ে তাকে প্রমোশন’ দেওয়া হয়েছে। তিনি আসলে এটিকে কিভাবে গ্রহণ করবেন তা লেখক তার মুখের অভিব্যক্তি লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।

এরকম আরো ছোট ছোট গল্প এবং মজার ও গুরুগম্ভীর গল্প স্থান পেয়েছে আনন্দ বেদনার কাব্য। পাখির পালক গল্পে একজন যুবক সারাদিনে বেকার থাকা অবস্থায় কি কি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন তাহলে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই যেকোনো বয়সের কাছে বইটি একটি সুপাঠ্য বই হবে।

আনন্দ বেদনার কাব্য PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top