আরেক ফাল্গুন PDF Download জহির রায়হান

জহির রায়হানের আরেক ফাল্গুন উপন্যাসটি ডাউনলোড করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। জহির রায়হানের সকল বইয়ের পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আরেক ফাল্গুন বইটি ডাউনলোড করতে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে দেখুন।

আরেক ফাল্গুন বইটি লিখেছেন জহির রায়হান। বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭২টি। বইটির বর্তমানে মুদ্রিত মূল্য ১২০ টাকা। বইটি অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। যারা বর্তমানের বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছেন, বাংলা ভাষা অর্জনের পেছনে যাদের অবদান অনস্বীকার্য তাদেরই গল্প উঠেছে এ বইটিতে। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে এবং ভাষা আন্দোলন পরবর্তী ঘটনাগুলো জানতে অবশ্যই বইটি পড়তে পারেন।

আরেক ফাল্গুন পিডিএফ ডাউনলোড

গল্পটি যে সময় শুরু হয়েছে সেসময়ের চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম। গল্পের শুরুতেই আসাদকে দেখা যায় খালি পায়ে সে পদচারণা শুরু করেছে। খালি পায়ে নির্দিষ্ট একটি কাজের উদ্দেশ্যে তার এই পদচারণা। এর কারণে সকলে তার দিকে ঘুরে ফিরে তাকিয়েছিল। হয়তো অনেকেই ভাবতে পারে যে তার ভিতরে দৈন্যতা আছে বলেই এমনটা হয়েছে।

কিন্তু তার পোশাক-আশাকে ঠিক তেমনটা বলে না। আসাদ মিলিত হয় মুনিম এর সঙ্গে। তাদের সকলের উদ্দেশ্যে এক। পরবর্তী দেখা যায় মেডিকেল গেট এ লিলি, রেনু,মিনু সকলে একত্রিত হয়েছে। সকলের উদ্দেশ্যে একুশে ফেব্রুয়ারিকে উদযাপন করা।

আর তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে যে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে সেটিকে রক্ষা করা। তাই সকলে কালো ব্যাজ, পোস্টার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে দেখা যায়। একটা চায়ের স্টলে চা খেতে ঢুকে দোকানী যখন কারণ হিসেবে জানতে পায় তখন দোকানী তাদের থেকে কোন ধরনের টাকা-পয়সা গ্রহণ করে না।

মুনিম দেখতে পেয়ে তার প্রিয়তমার ডলি ডেকে পাঠায়। কিন্তু মুনিম-এর ব্যস্ততার কারণে সে ডলিকে বেশি সময় দিতে পারে না। পরবর্তীতে মুনিম যখন ডলির কাছে আসে তখন জানতে পারে যে আজকে ডলির জন্মদিন। তারপরেও সে তার অনুষ্ঠানের জন্য দলের সঙ্গ ত্যাগ করে। ডলি মুনিমের স্থান পূরণ করার জন্য বজলে রহমানকে মনে স্থান করে দেয়।

সেলিনা সেই দিনটির স্মৃতি রক্ষার্থে ক্লাসে মনোনিবেশ করতে পারছিলো না। তার বিভিন্ন পুরনো স্মৃতি মনে পড়ছিল। তার স্বামী রওশনের কথা বারবার মনে পড়ছিল। তার স্বামী রওশন তাকে ছেড়ে কারাবাস করছে রাজশাহী জেলে। পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গে যখন দেখা করতে চাই তখন দেখে যে দুই হাত হারিয়েছে। তার পরেও সেলিনা দমে যায়নি। তার ভিতরে একটি দাবি সবসময়ই স্ফুলিঙ্গের মতো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সে চায় যে বাংলা ভাষা সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠুক।

মাহমুদ হাসান বজলুর রহমানের বন্ধু। দুই জনই কবিতা লেখে বলে একসময় তাদের খুব ভালো সখ্যতা ছিল। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে সখ্যতা রয়ে গেছিল। মাহমুদ রহমান গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করে। সে বজলেকে জানাই যে মুনিম-এর গতি প্রতিক্রিয়া যদি রহমান জানাতে পারে তাহলে তাকে ভালো পুরস্কার দেওয়া হবে।

বজলে পুরস্কার গ্রহণ করতে নারাজ। একটা সময় নির্দিষ্ট দিনক্ষণ চলে আসে। সকলেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ মিনারকে রক্ষা করার জন্য কাপড় দিয়ে প্রাঙ্গণ টুকু ঢেকে দেয়। কিন্তু পুলিশের লোকেরা এই শোভাযাত্রা বা মিছিলকে প্রোথিত করার জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে এরেস্ট করে তাদেরকে নিয়ে যায়।

থানায় যারা অ্যারেস্ট হয়ে ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে ছিল মুনিম, সেলিনা,আসাদ, রাহাত ও আরো অনেকে। যখন কিউ সাহেব দেখতে পেল যে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কে এরেস্ট করা হয়েছে তখন তিনি জানালেন এত অপরাধীকে জায়গা দেবে কোথায়? ঘটনাটি ছিল ফাল্গুন মাসের। তাই বন্ধুদের একজন বলে ওঠে আপনাদের জেলখানাকে আরো বড় করতে হবে। কারণ সামনে ফাল্গুনে এর থেকেও দ্বিগুণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অ্যারেস্ট করতে হবে।

আসলে বাঙালি জাতির কাছে ভাষার দাবি কি পরিমান জোরালো ছিল এ বইটিতে দেখানো হয়েছে। কোন কিছুই তাদেরকে দমিত করতে পারে না। বাংলা ভাষাকে, মাতৃভাষাকে, বাঙালি জাতি কখনোই কারো সাথে তুলনা করতে পারে না। বাংলা ভাষা বাঙালি জাতির কাছে একটি স্বকীয় সত্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top