বাজিকর PDF Download নাবিল মুহতাসিম

বাংলাদেশের থ্রিলার জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হলো নাবিল মুহতাসিম। তার লেখা সবগুলো থ্রিলার উপন্যাসই সবার কাছে বিখ্যাত। সেইরকম একটি থ্রিলার উপন্যাস হলো “বাজিকর”। তার সুন্দর লেখনি পাঠকদেরকে মুগ্ধ করে দেয়। উপন্যাসের ভাষা, প্লট সবকিছুই তার লেখাকে উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দেয়। তার বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাসের মধ্যে “বাজিকর” অন্যতম।

“বাজিকর” নাবিল মুতাসিমের একটি বিখ্যাত থ্রিলার উপন্যাস। বইটি প্রথম প্রকাশ হয় 2017 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। বইটি প্রথম প্রকাশ করেছে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নিউটন। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 253 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 196 টাকা। বইটি হার্ডকভারে ছাপা হয়েছে। অসাধারণ এই বইটি যারা এখন পর্যন্ত পড়ে উঠতে পারেননি তারা সময় নষ্ট না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে ফেলুন।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসটি এসপিওনাজ এর প্রথম মৌলিক থ্রিলার। এই উপন্যাসের কাহিনী টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেটা পাঠকদের অনেক বেশি পছন্দের। “বাজিকর” উপন্যাসের চরিত্রগুলো বেশ আকর্ষণীয়। এই উপন্যাসকে স্পাই উপন্যাস ও বলা যেতে পারে।

কার্ল হাসান সেভার্স নামের একজন তরুণ আমেরিকাতে থাকে 28 বছর ধরে। ছেলেটির পূর্বপুরুষরা বাংলাদেশের ছিল। সে হঠাৎ করে বাংলাদেশে এসেছে তার এক বন্ধুর কাছে। তার বন্ধুটির নাম হল সাব্বির কায়সার। সাব্বিরের সাথে তার মাত্র তিন মাসের আলাপ। হঠাৎ করে সে সাব্বিরকে বলে তার সাথে দেখা করার জন্য বাংলাদেশে আসতে চায়।

সেভার্স যে বাংলাদেশে আসতে চায় তার পিছনে একটা বড় কাহিনী রয়েছে। সেই সময়ে ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার তান্ডব। আমেরিকা ও রাশিয়ার যুদ্ধে মনে হচ্ছিল আবার হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া আলাদা হয়ে রাশিয়ার সাথে জুড়েছে। এরপর একে একে রাশিয়ায় মিলিশিয়া গঠন, গণহত্যা, এছাড়াও ইউক্রেনের আকাশেএ মালোশিয়া এয়ারলাইন্স এর প্লেন ধ্বংস হওয়া এই সবকিছু তখন ইউক্রেনে চলছিল। এইসব জন্য কার্ল সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে।

তার মতে তিনি একজন সিআইএ এজেন্ট হিসেবে অনেক বেশি জেনে ফেলেছেন। একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে সে মনে করে এসব কিছু মিডিয়ার কাছে তুলে ধরা উচিত। কিন্তু এই সব কিছু মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কারণ যে সত্যগুলো কার্ল জেনে গেছে সেগুলো জানলে পুরো পৃথিবীর চিত্র পাল্টে যাবে।

এক সময় যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের দোনেৎস্ক আকাশ থেকে কিডন্যাপ করা হয় এক যাত্রীবাহী বিমানকে। সেখানে যাত্রী হিসেবে ছিল বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টার এর মেয়ে এছাড়াও ছিল উপমহাদেশের সেরা এসপিওনাজ এর এজেন্ট বাজিকর জনি।

সরকার ওই জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্য 6 জনের সাহায্যে একটা এসপিওনাজ এজেন্ট দল গঠন করে এবং সেখানে পাঠায়। এই দলটা আসার সাথে সাথে বুঝে যায় এখানে টিকে থাকাটা খুব একটা সহজ হবে না। দলটা আসার সাথে সাথেই তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। তারপর পুরো মিশনের দায়িত্ব যা হয় সব থেকে বয়সে ছোট আহাদের উপরে।

আহাদ বাজিকর জনির সন্নিকটে থেকে কাজ শেখার সুযোগ পেয়েছে আজ তার সময় এসেছে তার গুরু কে বাঁচানোর। পরদিন সকালে আহাদের দেখা হয় কর্নেল সেবাস্টিয়ান এর সাথে। আমি এখানে গল্পের সামান্যটুকু তুলে ধরলাম। শেষ পর্যন্ত আহাদ কি পারবে গুরু কে বাঁচাতে? এত বড় একটা শত্রুপক্ষ তাকে কি পরাজিত করতে পারবে আহাদ? আহাদ কি সবার চোখ এড়িয়ে মিশন টা কমপ্লিট করতে পারবে? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। বইটিতে এতটাই সাসপেন্স রয়েছে যেটা আপনাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top