হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড একজন বিখ্যাত উপন্যাসিক ইংরেজি সাহিত্যে। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিকতর প্রিয়। এক সময় তিনি তাঁর ভাইয়ের কথায় বাজি ধরে উপন্যাস লেখা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে তিনি রোমাঞ্চকর ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস এর এক অন্যতম জনপ্রিয় লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি তার লেখাতে বরাবরই এমন কিছু জিনিস তুলে ধরেন যেটা পাঠকদের আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। তিনি তাঁর উপন্যাসে একসাথে থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, রোমান্স, মিথ সবগুলোই তুলে ধরেন। তেমনই এক উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো “বেনিটা”।
হেনরি রাইডার ইতিহাসে বিখ্যাত রোমাঞ্চকর ও দুঃসাহসীক গল্পের শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তিনি অনেক কয়েক বছর আফ্রিকাতে ছিলেন এবং সেখান থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করে সেটা তার লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করেছে পাঠকদের সামনে। ছোট থেকে বড় সব বয়সের পাঠক পছন্দ করে এই লেখকের এর বই গুলো।
“বেনিটা” হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড-এর একটি থ্রিলার উপন্যাস। উপন্যাসটির বাংলায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখক সায়েম সোলায়মান। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2016 সালে। বইটি প্রকাশ করে সেবা প্রকাশনী। বইটি হার্ডকভারে ছাপা হয়েছে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 269 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 81 টাকা। আপনারা যারা বই পড়তে পছন্দ করেন, তাদের সুবিধার্থে আমরা এই বইয়ের লিংক আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিব, আপনারা চাইলে সেখান থেকে বইটি পড়ে নিতে পারবেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
প্রায় 300 বছর আগে যুদ্ধের কারণে একটি দুর্গে না খেতে পেয়ে মারা যায় প্রায় 200 পর্তুগিজ। সেই সময় পর্তুগিজের দলপতির কন্যা বেনিটা ডি ফেরেইরা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। সে যাওয়ার সময় অভিশাপ দিয়ে যায়, যে তাদের লুকিয়ে রাখা সোনাদানার ভান্ডার কোন একজন বিশেষ নারী ছাড়া কেউ যদি কোনদিনও উদ্ধারের চেষ্টা করে তাহলে সেই গুহার পাশের উপজাতি গোষ্ঠী মাকালাঙ্গারা মারা পড়বে।
বেনিটা তাদের সমস্ত গুপ্তধনের দায়িত্ব সেই গোষ্ঠীর উপর দিয়ে আসে। সেই থেকে সেই মাকালাঙ্গা গোষ্ঠী গুহার গুপ্তধনের পাহারায় থাকে। তারা তাদের নিজেদের রক্ষার ক্ষেত্রে তাদের এই দায়িত্ব কে গুরু দায়িত্ব হিসেবে পালন করে। এই কারণে তাদের অনেক শত্রু তৈরি হয়। সবাই এসে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুপ্তধন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তাদের সৈন্য মারা যাওয়ার জন্য বেনিটা হৃদয় ভেঙে যায়। বেনিটা তার বাবার কাছে ফিরে আসে। তার বাবার ব্যবসার পার্টনার ছিল জার্মান ইহুদি মেয়ার। মেয়ার ছিল একজন অর্থপিশাচ ও ধূর্ত। বেনিটা তার বাবার সাথে এবং বাবার পার্টনারের সাথে যায় সোনা উদ্ধারের জন্য।
এদিকে মাকালাঙ্গারাদের বিরোধী গোত্র বা গোষ্ঠী তাদের ওপর হামলা করার জন্য আসে। অস্ত্রের জন্য বেনিটা কে মাকালাঙ্গার রাজপুত্র দুর্গের ভেতরে নিয়ে যায়। শুরু থেকেই তার বাবার পার্টনার মেয়ার কেমন যেন অদ্ভুত দৃষ্টিতে বেনিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকানোর ভঙ্গিটা বেনিটার মোটেও সুবিধার লাগেনা।
উপন্যাসে লেখক একটি সংগ্রামী মেয়ের কথা তুলে ধরেছেন। এখানে লেখক অনেক কুসংস্কার ও অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিশেষভাবে দৃষ্টি আরোপ করেছেন। শেষপর্যন্ত বেনিটা কি পারবে সেই অস্ত্রের সাথে তাদের গুপ্তধন উদ্ধার করে নিয়ে আসতে? সেই দুর্গ থেকে কি সোনাদানা উদ্ধার করতে পারবে? মিস্টার মেয়ার কেন অদ্ভুত দৃষ্টিতে বেনিটার দিকে তাকায়? বইটিতে অনেক টুইস্ট লুকিয়ে আছে। তাই যারা এখনো পড়েন নি, তাড়াতাড়ি বইটি পড়ে ফেলুন।