ভয় PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

ভয় বইটি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের একটি বই। মূলত ভাই বইটি হুমায়ূন আহমেদের মিসির আলি সিরিজের একটি গল্প সমগ্র। এই বইটিতে তিনটি গল্প রয়েছে। গল্পটি নাম হল চোখ, জ্বীন কফিল, সঙ্গিনী। যদিও এটা গল্প সমগ্র তারপরেও প্রত্যেকটি গল্প সঙ্গে মিসির আলি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত এবং সমস্যার সমাধান করে থাকেন। তাই যারা মিসির আলি সিরিজ পছন্দ করেন তারা অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদের উভয় বইটি পড়বেন। আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে হুমায়ূন আহমেদের ভয় বইটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গিয়ে এই বইটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভয় বইটি আপনারা মিসির আলি সিরিজ বইটির ভেতরে পাবেন অথবা আফসার ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে আলাদা ভাবে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে এই বইটির মূল্য 150 টাকা। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা মোট 80 টি। মিসির আলি সিরিজের পড়ুয়ারা অবশ্যই এই বইটিকে পছন্দ করবেন। তাই আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে এখনই এই বইটি ডাউনলোড করে নিন এবং পড়া শুরু করুন।

ভয় হুমায়ূন আহমেদ কাহিনী সংক্ষেপ

এই বইটির প্রথম দিকে যে গল্পটি রয়েছে সেটি হল চোখ। এক ভদ্রলোক খুব ভোরে মিসির আলীর বাড়িতে আসে এবং মিসির আলীকে তার সমস্যার কথা খুলে বলে। যদিও এত পরে কেউ আসেনা মিসির আলীর বাড়িতে তারপরও মিসির আলি তাকে সাদরে গ্রহণ করে এবং তার সমস্যার কথা শোনার চেষ্টা করে। যে লোকটি তাকে সমস্যার কথা খুলে বলে সেই লোকটির নাম হল রাশেদুল করিম।

রাশেদুল করিম একজন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সেখানেই তিনি জুডি বার্নার নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। প্রথমবার রাশেদুল করিম তার স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে গেলে রাতের বেলায় লক্ষ্য করেন তার স্ত্রী বাথরুমে ঢুকে একা একা কান্না করছে। কারণ জানতে চাইলে জুডি বার্নার জানাই যে রাশেদুল করিম ঘুমিয়ে গেলে তার শরীরে হাত দিয়ে বুঝতে পারে সে মারা গেছে। অর্থাৎ রাশেদুল করিম এর শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং তার শরীর অনেক ঠান্ডা হয়ে আছে। এই ঘটনা বারবার লক্ষ্য করে তার স্ত্রী এবং একসময় রাশেদুল করিম তাকে ডিভোর্স নিতে বলে।

মিসির আলিকে একটি ডায়েরি নিয়ে যায় এবং সোনালী ডায়েরি পড়ে বুঝতে পারে যে রাশেদুল করিম এর স্ত্রী তাকে খুব ভালোবাসতো। অন্যদিকে রাশেদুল করিম মিসির আলিকে জানিয়ে গিয়েছে যে তার স্ত্রী তার চোখ পেন্সিলের পিন দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। পরিশেষে রাশেদুল করিম তার কাছে যখন সমাধান দিতে আসে তখন মিসির আলি তাকে জানায় যে, তার স্ত্রী তার চোখ নষ্ট করেনি।

রাশেদুল করিম নিজেই তার স্ত্রীকে এধরনের ভয়ের হাত থেকে নিস্তার করতে চোখ নষ্ট করে। মিসির আলি রাশেদুল করিম এর ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারার জন্য রাশেদুল করিম আবেগে আপ্লুত হয়ে যায় এবং এই সন্তুষ্টজনক সমাধান নিয়ে মিসির আলীর কাছ থেকে বিদায় নেয়।

জ্বীন কফিল গল্পে গল্পকথক এবং তার বন্ধু শফিক একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় এক হিন্দু সাধু সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে। তার সঙ্গে তার অলৌকিক কাহিনী সম্পর্কে আলোচনা করতে না পেরে আশ্রয় গ্রহণ করে এক মাওলানার বাসায়। মাওলানা যথা সাধ্য অনুযায়ী তাদের আদর আপ্যায়ন করে এবং মসজিদে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। গল্পকথক এবং শফিক বুঝতে পারে যে মাওলানার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তবে তার স্ত্রীর মস্তিষ্ক বিকৃতি আছে বলে তার ধারণা করে।

মাওলানা মসজিদে এসে তার জীবনের গল্প বলতে শুরু করে। সে মাদ্রাসা থেকে পাশ করার পরে তার স্ত্রীর বাবার বাড়িতে কাজ নাই এবং তার স্ত্রীকে কোন এক পরিস্থিতিতে বিবাহ করে। তারপর তার স্ত্রী একটি সন্তান হলে সাত দিনের মাথায় মারা যায়। তার স্ত্রী লতিফা স্বীকার করে যে জ্বীন কফিল তার সন্তানকে মেরে ফেলে। এভাবে লতিফার দ্বিতীয় সন্তান মারা যায়।

যেহেতু সন্তানসম্ভবা লতিফা এখন এই অবস্থায় রয়েছে সেহেতু গল্পকথক ঢাকায় ফিরে গিয়ে মিসির আলীকে এই ঘটনা খুলে বলে। মিসির আলি ঘটনা শুনে বুঝতে পারে লতিফা মেয়েটি তার পরিবারের চাপ এবং মাওলানার প্রতি ভালোবাসায় পর্যবসিত হয়েছে সন্তানদেরকে হত্যা করে। তাই পরবর্তী সন্তানকে বাচাঁনোর উদ্দেশ্যে তারা সেই রাতেই মাওলানা বাড়িতে অর্থাৎ ময়মনসিংহে চলে আসেন।

তারা এসে মাওলানার স্ত্রী লতিকাকে বোঝায় এবং সন্তানটিকে অন্য কাউকে দত্তক নিতে বলে। লতিফা মিসির আলির যুক্তিসংগত কথা বলে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সন্তানটিকে দত্তক দিতে স্বীকৃতি জানায়।

ভয় বইটির শেষের গল্প হচ্ছে সঙ্গিনী। স্বপ্নের ব্যাপারে বিভিন্ন কথায় বলে উঠে আসে। মিসির আলির কাছে এক লোক আসে যিনি পা খোঁড়াতে খোঁড়াতে তার ঘরে প্রবেশ করে। এর কারণ জানতে চাইলে লোকটি মিসির আলীর কাছে স্বীকার করে যে সে এক মাস পর পর একটি স্বপ্ন দেখে এবং সেই স্বপ্নে তার পা কাটা হয়। স্বপ্নের ঘটনা বাস্তবে এসে মিলে যায় বলে মিসির আলী তাকে জুতা পড়ে ঘুমাতে বলেন। এতে লোকটি জুতা পরে ঘুমালে আর সেই স্বপ্ন দেখেনা। প্রকৃতপক্ষে লোকটি স্বপ্নতে মজা পায় এবং তার প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে।

মূলত প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে স্বপ্নই তার কাছে বাস্তবের কথা মনে হয়। তাই সে স্বপ্নের কষ্টকে মেনে নেয় এবং একসময় জুতা পরা বাদ দেয়। সে যাই তার স্বপ্ন আবার ফিরে আসুক এবং সে তার প্রিয় মানুষের সঙ্গে স্বপ্নে একসঙ্গে হাত ধরে হাঁটাহাঁটি করুক।

ভয় PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top