বিলাসী PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মৃত্যুকে কখনো জয় করা যায় না কিন্তু ভালোবাসাকে অবশ্যই জয় করা যায়। সমাজের আলাদা আলাদা জাত পাত ভুলে পিতৃ মাতৃহীন ছেলে মৃত্যুঞ্জয় কে যে সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে বিলাসী জয় করেছে তা সত্যিই মৃত্যুকে জয় করার চেয়ে অনেক বড় জয়। বলছি শরৎ বাবুর বিলাসী গল্পটির কথা। আমাদের ওয়েবসাইটে পিডিএফ লিঙ্ক পেতে ভিজিট করুন।
বিলাসী গল্পটি শরৎচন্দ্রের খুবই বিখ্যাত একটি ছোট গল্প এবং পাঠকসমাজে এ গল্পটি খুবই সমাদৃত। মূলত দুটি ভিন্ন ধরনের ধর্মের নারী পুরুষের মধ্যে ভালোবাসা ও বিবাহ বন্ধন, তৎকালীন হিন্দু সমাজের গোঁড়ামি মনোভাব এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন সমাজকে ছাপিয়ে ভালোবাসার এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত বিলাসী গল্পটি।
বিলাসী গল্পের বিষয়বস্তু
আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে বিলাসী গল্পটির পিডিএফ। পিডিএফ লিংক ডাউনলোড করে আপনি যখন তখন এই বিখ্যাত ব্যতিক্রমধর্মী সামাজিক ও ভালবাসার অপূর্ব এক গল্প যখন তখন পড়ে নিতে পারেন। এজন্য আমাদের পিডিএফ লিংক থেকে ডাউনলোড করুন এবং পড়ে ফেলুন গল্পটি।
এই গল্পের বিষয়বস্তু মূলত দুইজন নারী পুরুষের অমর প্রেম স্বর্গীয় প্রেমের ত্যাগ-তিতিক্ষা যা বর্তমান দুনিয়ায় বিরল। গল্পের যে বর্ণনাকারী তার ডাকনাম হচ্ছে ন্যাড়া। ন্যাড়ার পরিচিত অগ্রজ ছিল তার নাম মৃত্যুঞ্জয়। মৃত্যুঞ্জয়ের এক বুড়ো খুড়ো মশাই ছাড়া এ পৃথিবীতে আর কেউ ছিলনা। ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলে হিসাবে মৃত্যুঞ্জয় খুবই ভদ্র এবং নম্র স্বভাবের ছিল।
হঠাৎ মৃত্যুঞ্জয় একজন অসুস্থ হলে ন্যাড়া তার খোঁজখবর নিতে যায় একটি প্রকাণ্ড আম বাগানের ভেতর দিয়ে একটি পুরনো বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করা এবং মৃত্যুর আগে দেখতে পায় মুমূর্ষু রোগী অবস্থায়। বিলাসী নামের এক সাপুড়ে কন্যা মৃত্যুঞ্জয়ের দুর্দিনে যেন তার সাথে লড়াই করে মৃত্যুর আগে বাঁচিয়ে রেখেছেন। রোগীর চরম সেবা-শুশ্রূষার পরে বিলাসীকে অনেক দুর্বল দেখায় এবং এই নির্জন বাগানের মধ্যে একটি অর্ধ মৃত মানুষকে কিভাবে সেবা করেছে এটা ভেবে বেশ অবাক হয়ে যায় গল্প কথক।
মৃত্যুঞ্জয় ও বিলাসীর বিবাহের পরে মৃত্যুঞ্জয় তার ব্রাহ্মণ ধর্ম ত্যাগ করে বিলাসীর সাথে বসবাস করা শুরু করে এবং সাপুড়ে হয়ে যায়। সাপ ধরা কে এবং সাপের খেলা কে নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করে মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু হিন্দু সমাজের বাইরের কারও সেবা বা তার হাতে ভাত খাওয়া কে সেই সময়ের জন্য ধর্ম অবমাননার মত এবং অন্ন পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হঠাৎ একদিন সাপ ধরতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়। মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর পরে সাপের বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে বিলাসী। কেননা ভালবাসার মানুষের এরকম করুণ পরিণতি ও করুণ মৃত্যু বিলাসী কে সাত দিনের বেশি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে দেয়নি।