রক্তপিপাসা মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সমসাময়িক যুগের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি অনেক দিক দিয়ে বাংলার সাহিত্য ভান্ডার কে অনেকাংশেই সমৃদ্ধ করেছেন। তার নাম বাংলা সাহিত্য জগতের চিরকাল অমর হয়ে থাকবে। মানুষ তার কিডনির মাধ্যমে সবাইকে মনে রাখবেন তেমনি ভাবে পাঠকরা মোশতাক আহমেদ কে মনে রাখবে তার সুন্দর উপস্থাপনার কারণে। মানুষ বই পড়ার জন্য যেমন আনন্দ উপভোগ করে তেমনি বাস্তবতার অনেক ধারণাও লাভ করে। তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে “রক্তপিপাসা” অন্যতম।

সৃষ্টিকর্তা যখন মানুষকে পৃথিবীতে পাঠায় তার মধ্যে অনেকগুলো গুণাবলী দিয়েই পাঠায়, যেটার কারনে মানুষ চির স্মরনীয় হয়ে থাকে সারা জীবন। তেমনি আমাদের লেখক পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তিনি লেখালেখি দ্বারা মানুষের মনে এক অন্যরকম জায়গার সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে ভ্রমণকাহিনী, থ্রিলার, রহস্য, ভৌতিক উপন্যাস, প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস ও সাইন্স ফিকশন লিখে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন।

“রক্ত পিপাসা” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 176 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 257 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

 

বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মোশতাক আহমেদ সাহিত্য জগতে এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তিনি কিশোর উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েন্স ফিকশন অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস গুলো খুব জনপ্রিয়তার সহিত রচনা করেছেন। তার রচিত ভৌতিক উপন্যাস গুলো যেমন উত্তেজনাপূর্ণ হয় তেমনি রোমান্টিক হয়।

একরাতে নাজমা বেগম ঘুমিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। মাঝরাতে তীব্র একটা ব্যথায় তিনি চোখ খুলে তাকালেন। তার ঘুম ভেঙে যাওয়ায় তিনি এমন কিছু দেখলেন যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। তিনি দেখলেন তার সামনে বসে আছে রুপা আর জরিনা। দুজনের চেহারাই অস্বাভাবিক ও ভয়ঙ্কর। তিনি রুপা আর জরিনাকে প্রতিদিনই দেখেন কিন্তু আজকের মত ভয়ঙ্কর তাদেরকে কখনোই লাগেনি।

আজ তাদেরকে অনেকটাই অচেনা লাগছে নাজমা বেগমের। তোদের উদ্দেশ্যটা কি তিনি ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। কেন তাদের দেখতে এরকম লাগছিল সেটার উত্তর ও নাজমা বেগমের কাছে অজানা। তিনি আর কিছু ভাবতে না পেরে তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাইলেন কি ব্যাপার? কিন্তু কিছু বলার আগেই সে বুঝতে পারলো তার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না।

কারণ তার হাত দুটো শক্ত হয়ে মাথার পেছনে খাটের সাথে বাধা। তাকে যে ব্যাপার জুড়ি নেই বেঁধে রেখেছে সেটা বুঝতে আর তার বাকি রইল না। তিনি আরো বুঝতে পারলেন তিনি এসময় মহাবিপদের মধ্যে আছেন। তাই নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে ছটফট করে উঠলেন। সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করতে লাগছিল। আর এই ছটফটানি দেখে রুপা আর জরিনা অট্টহাসি হাসতে লাগলো। তারপর যা ঘটলো তা আরো ভয়ঙ্কর ও আরো পৈশাচিক।

রুপার বাম হাতে পেঁচে থাকা স্বচ্ছ একটা নল। যার অগ্রভাগে কিনা একটা ফাঁপা সূচ যা তার শরীরের উপর দিয়ে সাপের মতো বেয়ে বেয়ে এগিয়ে আসতে শুরু করলো। তারপর হঠাৎ দ্রুত প্রবেশ করলো হাতের রক্ত নালীর মধ্যে। আর তাতে তাজা তাজা রক্ত মুহূর্তের মধ্যে স্বচ্ছ নলের মধ্যে দিয়ে ছুটে গেল রুপার মুখে। সে রক্ত মহাতৃপ্তির সাথে পান করতে শুরু করল রুপা। দুজন জলজ্যান্ত মানুষ কিভাবে নিজের শরীর থেকে রক্ত পান করার মত বীভৎস দৃশ্য দেখে সহ্য করতে পারছিলেন না নাজমা বেগম।

এসব দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। এদিকে রুপা আর জরিনা রক্তপাণের ফাঁকে একটু পরপর বলতে থাকলো জয় হোক রক্তের, জয় হোক জয় হোক রক্তের, জয় হোক আমাদের রক্তপাণের। শেষ পর্যন্ত নাজমা বেগমের সাথে কী হয় জানতে হলে পুরো গল্পটা পড়তে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top