বায়োবোট নিওক্স মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি বরাবর পাঠকদের বোধগম্য উপন্যাস রচনা করেন। তার রচিত সবগুলো উপন্যাস, গল্প সবাই খুব সাদরে গ্রহণ করেছে। তিনি তার লেখায় বরাবর সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্যে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিনি ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকদের জন্য বই রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “বায়োবোট নিওক্স” উল্লেখযোগ্য।

মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তাঁর বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। মূলত সেখান থেকেই তার লেখালেখির শুরু হয়। সবদিক দিয়ে মোশতাক আহমেদ কে একজন সফল কবি হিসেবে ধরা যায়। কারণ তাঁর রচিত ভ্রমনকাহিনী,উপন্যাস,প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস, গল্প, ভৌতিক কাহিনী, সাইন্স ফিকশন সবগুলো সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেক পাঠকরাই আছে যারা হুমায়ূন আহমেদের পরের স্থানটি তাকে দিয়েছে।

“বায়োবোট নিওক্স” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ও নামকরা সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রকাশ করে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 112টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 175 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

“বায়োবোট নিওক্স” মোশতাক আহমেদের একটি অন্যতম সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। একে সায়েন্স ফিকশনের সাথে একটা ভালোবাসার উপন্যাস ও বলা যেতে পারে। এই উপন্যাসটি মাধ্যমে লেখক তার কল্পনার মাধ্যমে বাস্তবতার অনেক কথাই দেখিয়েছেন পাঠকদের।

ইক্স ন্যাশনাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি রোবট সাইন্স ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক। 19 বছর ধরে পড়াশোনা শেষ করে 27 বছর বয়সে রোবট তৈরির বিষয়ে অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে সবার কাছে অধিক পরিচিত। সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একদিন ক্লাস নেয়। কেননা ইক্স এর মত কুৎসিত পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় ব্যক্তি নেই। তাই কর্তৃপক্ষ তেমন চায়না যে সে কলেজে বেশি সময় থাকুক।

আবার কর্তৃপক্ষ তাকে বাদ দিতে ও পারে না কারণ তার কুৎসিত হওয়ার পিছনে একটা গল্প রয়েছে এবং তার মত মেধাবী আর দ্বিতীয় জন নেই। অনেকের ধারণা ইক্স প্রথম বায়ো রোবট তৈরি করবে। এমনকি এর মধ্যে সেই ফর্মুলার অনেক কাজ সম্পাদন করে ফেলেছে। ইক্স একটি সুন্দরী মেয়েকে ভালবাসে। যার নাম হল পিহিনা। একসময় তারা দুইজন ক্লাসমেট ছিল। এখন দুজনেই সহকর্মী। একদিন ভার্সিটি তে আসার কারণটা হলো এক নজর পিহিনাকে দেখতে পাওয়া।

কিন্তু ইক্স ভালভাবেই বুঝতে পারে তার চেহারা নিয়ে সে কারো কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তবুও সে পিহিনাকে আশা করে। এমনকি তার জন্য সেই বায়ো রোবট এর মত অর্জনটাকেও পিহিনার হাতে তুলে দিতে রাজি হয়। কলেজে পড়াকালীন সময়ে পিহিনা ইক্স কে সময় দিত কিন্তু সে এখন অনেক বদলে গেছে।

বায়ো রোবট নামটা মূলত এসেছে বায়োলজি প্রথম অংশ বায়ো থেকে যার অর্থ জীবন আর রোবটের অংশ বোট থেকে এসেছে। এই দুটো মিলে তৈরি হয়েছে বায়ো রোবট। যার বুদ্ধির মাত্রা থাকবে সাড়ে নয় যা কিনা মানুষের প্রায় সমান। এক্স তার রোবটের নাম দিয়েছে নিওক্স।

একসময় নিয়োগ বন্দি করে পিহিনাকে। রোবট তাকে বলে সে কিভাবে মৃত্যু চায়। পিহিনা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে তার মৃত্যু অনিবার্য কারণ তাকে উদ্ধার করার মত আর কেউ নেই। শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল পিহিনার জীবনে? সত্যিই কী তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল? শেষ পর্যন্ত সব কিছুর উত্তর জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের পুরো বইটা পড়তে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top