আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর চাঁদের অমাবস্যা বইটি ডাউনলোড করতে পারবেন। সাহিত্য অনুরাগী পাঠকদের জন্য আমরা সকল ধরনের বই পিডিএফ ডাউনলোড করার ব্যবস্থা করেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্র গেলেই সকল ধরনের বইয়ের তালিকা পেয়ে যাবেন।
সেখান থেকে আপনারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের বই এর পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনারা যারা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা চাঁদের অমাবস্যা বইটি ডাউনলোড করতে আগ্রহী আছেন এবং পড়তে আগ্রহী আছেন তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে গিয়ে এই বইটি ডাউনলোড করে নিন।
চাঁদের অমাবস্যা বইটি লিখেছেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 95। এই বইটির মূল্য মূল্য 150 টাকা। এই বইটি মাটিগন্ধা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রত্যেকটি সাহিত্যপ্রেমীর কাছে একটি সুপাঠ্য বই বলে মনে হবে।
চাঁদের অমাবস্যা কাহিনী সংক্ষেপ
গ্রামের একজন দরিদ্র শিক্ষককে নিয়ে এই গল্পটি রচিত হয়েছে। দরিদ্র শিক্ষক সম্ভ্রান্ত একটি বাড়িতে জায়গা হিসেবে থাকেন এবং সেই পরিবারের দেওয়া একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। রাতের বেলার জোছনা দেখতে এই যুবক শিক্ষক খুব পছন্দ করেন। গল্পের সময়কাল একটি জোসনা শোভিত রাতে। যুবক শিক্ষক রাতের বেলায় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বাইরে বের হলে প্রকৃতির রূপ জোছনায় মুগ্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে সে জোছনা দেখে।
জোছনা দেখতে দেখতে এক সময় তার নজরে পড়ে সেই সমৃদ্ধ পরিবারের বড়কর্তার ছোট ভাই কাদেরকে। এমনিতেই কাদের সম্পর্কে যুবক শিক্ষক এবং সেই বাড়ির কর্তা একটি ধারণা রয়েছে। উৎসুক যুবক শিক্ষক আরেফ আলি কাদেরকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া দেখে তার পিছু নেয়। যুবক শিক্ষকের উৎসাহে কাদের পিছে পিছে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে আসে।
হঠাৎ যুবক শিক্ষক কাদেরকে হারিয়ে ফেলে। যুবক শিক্ষক যেখানে পৌঁছায় সেখানে একটি বাশ ঝাড় দেখতে পাই। সেখান থেকে একটি নারী কন্ঠের আওয়াজ আসে। সামনে এগিয়ে গিয়ে সে একটি অর্ধ উলঙ্গ নারীর মৃতদেহ আবিষ্কার করে।
বাজার থেকে বেরিয়ে আসে সে কাদেরকে আবিস্কার করে। সেই স্থানে তাদেরকে দেখে যুবক শিক্ষক ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে আসে। যুবক শিক্ষক ঘরে এসে জিরিয়ে নেই। তারপরে কাদের এসে তাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন পালিয়ে ছিল। পরের দিন কাদের এসে যুবক শিক্ষককে ডেকে নিয়ে সেই লাশটিকে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
চাঁদের অমাবস্যা বইটি একটি মনস্তাত্ত্বিক বই। এই মনস্তাত্ত্বিক বইটির কথোপকথন খুব একটা বেশি নয়। যুবক শিক্ষকের মনের আত্মকথন বইটির মূল বিষয়বস্তু। এই নারীকে কে হত্যা করল এবং কাদের নারীটিকে কেন নদীর জলে ভাসিয়ে দিল তা উদ্ধার করতেই যুবকের মনে হাজারো প্রশ্নের ঝড় উঠে। সে কাদেরের শরণাপন্ন হয় এবং কাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।
কাদের তাকে সেই নারী হত্যা করার কারণ খুলে বলে। সেই নারী গ্রামের একটি মাঝির বউ। ঘটনা ক্রমে সেই নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে দরবেশ সুলভ আচরণ এর কাদের। কোন এক ঘটনা ক্রমে সেই মাঝির বউকে হত্যা করে কাদের। সেটি যুবক শিক্ষক সরাসরি না দেখলেও কাদের যে হত্যা করেছে এবং তাদের মুখে স্বীকারোক্তি শুনে বুঝতে পারে।
যুবক শিক্ষকের মনে চিন্তার ঝড় ওঠে। সে কি করবে ভেবে পায়না। তার সৎ এবং ভীত মন নানান জটিলতায় ভেতর দিয়ে চলতে থাকে। একসময় সে সাহস জোগাড় করে বাড়ির প্রধান কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং কাদেরের হত্যা সম্পর্কে বলে। বড়কর্তাকে এই হত্যা সম্পর্কে বলে সে এই বাড়ি ত্যাগ করে। বাড়িতে এক করার পরে সে পুলিশের দ্বারা অ্যারেস্ট হয়। কাদের আগে থেকেই পুলিশকে হাত করে রাখে। ঘটনাক্রমে কাদেরের হত্যার গিয়ে পড়ে গরিব যুবক শিক্ষকের উপরে।
মূলত কাদের তার দোষ ঢাকতে এবং পরিবারের সম্মান বাঁচাতে যুবক শিক্ষকের ওপর দায় প্রদান করে। যুবক শিক্ষকের পেছনে কোন শক্তি না থাকায় সে এই করুণ অপরাধের শিকার হয়। যুগে যুগে উচ্চ শ্রেণীর লোকের দ্বারা নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা যেভাবে শোষিত হয়েছে তা এই বইয়ে উঠে এসেছে। আশা করি বইটি পাঠ করলে কোন পাঠক নিরাশ হবেন না।