ছায়াসঙ্গী PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘ ছায়াসঙ্গী’। এটি হুমায়ুন আহমেদ রচিত একটি চমৎকার উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে। পরে উপন্যাসটির ৫ম সংস্করণ হয় ২০১৬ সালে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে অন্বেষা প্রকাশন থেকে। বইটি হার্ডকাভারে ছাপা হয়েছে। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১২০ টি। বইটির বাংলাদেশী মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০ টাকা। বইটির অনলাইন পিডিএফ সাইজ ০৩ এমবি।

‘ছায়াসঙ্গী’ কয়েকটা বইয়ের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। এই বইটিতে মোট ৯ টি গল্প রয়েছ। এই বইটির মধ্যে গা ছমছমে একটা ব্যাপার রয়েছে তবে এটি ভৌতিক কোন বই নয়। এই বইটি পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।

ছায়াসঙ্গী উপন্যাসের মূল কাহিনী

উপন্যাসটি নয়টি আলাদা কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে। গল্পটি পড়ে গা ছমছমে মনো হলেও এটি ভৌতিক কোন উপন্যাস নয়। অতিপ্রাকৃত রসের গল্পকে বাংলা ছোট গল্প হিসেবে রূপ দেওয়া হয়েছে। ভৌতিক রসের মধ্যে বাস্তব রূপ দিয়ে জীবন্ত করে তুলতে শুধু হুমায়ুন আহমেদ ই পারেন। এক একটি গল্প একেক রকম হওয়ায় গল্পটি পড়ার সময় পাঠকের অন্যরকম অনুভূতি হবে।

যেমন- প্রথমটা ছায়াসঙ্গী’ – এই গল্পটি লেখকের বাড়ির দেশের কাহিনী নিয়ে লেখা হয়েছে। তিনি অনেক দিন পর বউ বাচ্চাদের নিয়ে দেশের বাড়ি বেড়াতে গেলেন। সেখানে মন্তাজ মিয়া নামের একটি ছোট ছেলের সাথে পরিচিত হলেন। এই ছোট ছেলে মন্তাজ মিয়া কে নিয়েই গল্পের কাহিনির সূচনা। মন্তাজ মিয়া একবার মারা গিয়েছিল। গ্রামের লোকজন সবাই মিলে কাফনে জড়িয়ে তাকে কবর দিয়ে আসলো। এদিকে মন্তাজ মিয়ার বোন খবর পেয়ে এসে বললো মন্তাজ মিয়া মরে নি। মওলানা ডেকে কবর খুঁড়ে দেখা গেলো কাফনের কাপড় জড়িয়ে মন্তাজ বসে আছে। আশ্চর্য হল, মন্তাজ মিয়ার বোন জানলো কি করে যে সে মরে নি।

শবযাত্রা- এই গল্পে পন্ঞ্চান্ন বছর বয়সি একটা লোকের কাহিনী বর্ননা করা হয়েছে। লোকটার পদার্থ বিজ্ঞান শিখার খুব শখ। তাই সে শিখার জন্য বাড়িতে একটা লোক রেখেছে। লোকটি ভীষণ সাধাসিধে যাকে লেখক মহামূর্খ বলেছেন।

ওইজা বোর্ড – এইটা গল্পটি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প। নাসরিন নামের একটি মেয়ে তার ভাইয়ের থেকে ওইজা বোর্ড উপহার পেয়েছিল। আর সেই বোর্ড নিয়েই গল্পের কাহিনি।

সে- হাসিনা বানু নামের একজন মহিলা এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তিনি একজন মহিলা ডাক্তার। লেখকের মেয়ের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয়।

দ্বিতীয় জন- একটা বিবাহিত দম্পতি দের নিয়ে এই গল্পের কাহিনি। যারা বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

বেয়ারিং চিঠি – জমির সাহেব ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাহিনী। তার পরিবার নানা রকম ঘটনার সম্মুখীন হতে থাকে।

বীণার অসুখ – বীণার বয়স সবে মাত্র একুশ হয়েছে। হঠাৎ করেই তার মামা তাকে কলেজে যেতে নিষেধ করেছেন। বীণা বুঝতে পারছে না তার কারণ কি।

কুকুর – এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আলিমুজ্জামান। তিনি পোস্টাল একাডেমিতে চাকরি করতেন বছর তিনেক হল রিটায়ার করছেন। তাকে নিয়ে এই গল্প।

ভয়- এই গল্পটি একটি অজপাড়া গাঁয়ের গল্প। যেখানে লেখক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।

ছায়াসঙ্গী PDF

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top