জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের চক্ষে আমার তৃষ্ণা বইটি একটি চমৎকার বই। যেকোনো ধরনের পাঠক এবং যেকোনো বয়সে পাঠক এই বইটি পড়ে মন ভালো করতে পারবেন। যারা অন্যান্য বই পড়ার পাশাপাশি হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বইটি এখনো পড়েননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বইটির পিডিএফ ফাইল খুব সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে চক্ষে আমার তৃষ্ণা বইটির পিডিএফ ফাইল সংযোজন করা হয়েছে। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে যান এবং একজন একাকী কেন্দ্রীয় চরিত্র এর মাঝে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা গুলো পড়ে মজা উপভোগ করুন।
চক্ষে আমার তৃষ্ণা বইটি অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হওয়া একটি সমকালীন উপন্যাস। এই বইয়ের মত পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 95 টি এবং বর্তমান বাজারে আপনি যদি বইটির হার্ড কপি সংগ্রহ করতে চান তাহলে বইটির মুদ্রিত মূল্য ধরা হবে 180 টাকা। সমকালীন এই বইটি যদি আপনারা সফট কপি বা পিডিএফ ফাইল পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে গেলে ডাউনলোড করুন অপশনে ক্লিক করে বইটি আপনাদের সংগ্রহে নিতে পারবেন।
চক্ষে আমার তৃষ্ণা বইটির কাহিনী
চক্ষে আমার তৃষ্ণা বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র তরু নামক একটি মেয়ে। সে একদিন হঠাৎ করেই বাড়িতে বিচারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার কোন এক বান্ধবীর মামা তাকে এক প্যাকেট সিগারেট পাঠাই এবং এই সিগারেটে নিকোটিন বিহীন। এই সিগারেটের প্যাকেটে বিভিন্ন রংয়ের সিগারেট রয়েছে এবং এই রঙ তরুকে খুবই কাছে টানে।
সিগারেটের বিষয়টি তার বাবার দ্বারা জানাজানি হয়ে যাওয়ার কারণে তার বাবা তার জন্য বাড়িতে বিচার বসায়। তবে তরু এক্ষেত্রে একটু চালাকি করে। তার বাবা তাকে সিগারেটের কথা জানতে চাইলে তার বাবাকে জানাই যে এই সিগারেটের প্যাকেটে ওসমান চাচা তাকে দিয়েছে। তাদের বাসার ছাদে বসবাস করে ওসমান নামক একজন মধ্যবয়স্ক লোক।
ওসমান সাহেব একজন পঙ্গু মানুষ এবং হুইল চেয়ারে চলাফেরা করেন। মাঝেমধ্যে তার স্ত্রী এবং সন্তান তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। ওসমান তাদের নিজস্ব বাড়ি ঘর আছে তারপরও তিনি তরুদের বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকেন। ওসমান সাহেবকে তার বাবা খালেক চৌধুরীর সব সময় সমীহ করে চলে। কোন কিছুর পরামর্শের দরকার হলে খালেক সাহেব ছুটে যান ওসমান সাহেবের কাছে। তাইতো র সিগারেটের কাহিনী ঢাকতে ওসমান সাহেবের নাম গ্রহণ করে।
তরুর জন্মের কিছুদিন পরেই তার মা মারা যায়। তরুর বড় খেলা ছিল তোর বাপ খালেক সাহেবের প্রথম স্ত্রী। বড় খালা মারা যাওয়ার পরে তরুর মাকে বিয়ে করে এবং তরুর জন্ম দেওয়ার পরেই তার মা মারা যায়। তরুর মাঝেমধ্যে চিন্তা হয় যে, তার যদি অন্য একটি খালা থাকতো তাহলে তার বাবা তার অন্যখানে কেউ বিয়ে করত।
তার বাবা খালেক সাহেব একজন কর্মব্যস্ত মানুষ এবং সব সময় ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে তার খালা এবং মায়ের মৃত্যুর রহস্য সে মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া ওসমান সাহেব কেন পরিবার ছেড়ে তাদের বাড়িতে এসে ভাড়া থাকছে তাও তার জানতে ইচ্ছা। সে এক ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনাগুলো মেলানোর চেষ্টা করে এবং এর রহস্যের সমাধান খুঁজে বের করতে থাকে।
তরুদের ভাড়া থাকে সঞ্জু, তার বোন এবং বোন জামাই। সঞ্জুর দুলাভাই মাঝেমধ্যেই তার বোন এবং তাকে মারধোর করার পরেও তারা এ বাড়ি ছেড়ে কখনোই যায়না। এত কষ্টের পরেও এবং অপমানের পরেও তারা এই বাড়িতে কেন থেকে গিয়েছে তা যদি জানতে চান তাহলে আপনারা বইটি পড়ে দেখবেন। তাহলে সকল রহস্যের সমাধান আপনারা নিজেরাই করতে পারবেন। বইটি দ্রুত ডাউনলোড করে নিন আপনার অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বইটি পড়ে ফেলুন।