চলে যায় বসন্তের দিন PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘চলে যায় বসন্তের দিন’। এটি হিমু সিরিজের ১১তম উপন্যাস। হিমু সিরিজের সবগুলো বই অনেক চমৎকার ও মজাদার। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়তে পারবেন। এই বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন।
‘চলে যায় বসন্তের দিন ‘ হুমায়ূন আহমেদ আহমেদ রচিত হিমু সিরিজের একটি অন্যতম উপন্যাস। বিটি প্রকাশিত হয়েছে ২০০২ সালের বই মেলায়। বইটির প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ এবং বইটি হার্ডকাভার এ ছাপা হয়েছে। বইটির বাংলাদেশী মূল্য ২০০ টাকা। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮০ টি। হিমু সিরিজের এই বইটির পূর্ববর্তী বই ‘তোমাদের এই নগরে’ এবং পরবর্তী বই ‘ সে আসে ধীরে ‘। বইটি পড়লে পাঠক মনে অনেক আনন্দের খোরাক যোগাবে।
চলে যায় বসন্তের দিন উপন্যাসের মূল কাহিনী
উপন্যাসের মূল কাহিনী শুরু হয় হিমুর কাছে মাজেদা খালার চিঠি লিখার মাধ্যমে। যেকোন বিপদে পড়লেই মাজেদা খালা হিমুর কাছে চিঠি লিখেন। প্রতি বারই চিঠির সাথে টাকা থাকে। এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চিঠি পড়ে হিমু জানতে পারে তার খালাতো ভাই জহির একটি মেয়েকে ভালোবাসে। জহির তাকে বিয়েও করতে চায়। কিন্তু হিমুর খালা খালু কেউ এই বিয়েতে রাজি নয়। তাই বিষয়টা তদন্ত করার দায়িত্ব হিমুকে দেয় মাজেদা খালা। বিষয় টা সঠিক ভাবে জানার জন্য হিমু মাজেদা খালার বাসায় যায়।
মাজেদা খালার বাসায় গিয়ে হিমু জানতে পারে জহির যে মেয়েকে ভালোবাসে তার নাম ফুলফুলিয়া। জহির একটি চিঠি লিখে হিমুকে দেয় ফুলফুলিয়াকে দেওয়ার জন্য। আবার বলে দেয় সে যেনো চিঠিটা না পড়ে। হিমু ফুলফুলিয়ার বাসায় গিয়ে জানতে পারে সে বিবাহিত। হিমু তাকে চিঠি দেওয়ার পর বলে হিমু না বলা পর্যন্ত ফুলফুলিয়া যেনো চিঠি না পড়ে। ফুলফুলিয়ার বাসায় যাওয়ার পর তার বাবার সাতে হিমুর ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। হিমু তাকে বলে তার জন্য সে সিডি বের করবে। ফুলফুলিয়া বিবাহিত জহিরকে জানানোর পর সে সিদ্ধান্ত নেয় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হেঁটে যাবে। এখন হাটাই হবে তার একমাত্র কাজ।
জহিরের অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা সে একটা কপিশপ খুলবে। তার নামও সে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে। সেই কফিশপের নাম হবে ‘কফিতা’। জহিরের সামনে ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষা বাদ দিয়ে সে হাটতে বের হয়। জহিরের এইসব উদ্ভট কাজের জন্য জহিরের বাবা রহমতুল্লাহ তালুকদার হিমুকে দায়ী করেন। তিনি হিমুর নামে পুলিশে কেস করেন। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
হিমু নাকি এক লোকের থেকে ছিনতাই করে এবং তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে মারার চেষ্টা করে। প্রমাণিত হয় যে এইসব কাজ হিমু করেছে। এমন ভাবে তার খালু হিমুর বিরুদ্ধে কেইস সাজায়। শেষ পর্যন্ত ফুলফুলিয়ার বাবার সিডি বের হয়। তারপর হিমু জানতে পারে ফুলফুলিয়া বিবাহিত নয়। তাকে মিথ্যা বলা হয়েছিল। ফুলফুলিয়াকে নিষেধ করার পরও সে চিঠি টা পড়ে ফেলে। মিথ্যা সেই কেইসের জন্য হিমুর ফাঁসির হুকুম হয়।
জহির, হিমু, তার খালা-খালু, ফুলফুলিয়া, তার বাবা সব গুলো চরিত্রই মূল ভূমিকা পালন করেছে। গল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের ভূমিকা অসাধারণ। আর এই উপন্যাসের গল্পটি এক কথায় অসাধারণ ও চমৎকার।