কনফেশন PDF Download মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আর একটি অনন্য সৃষ্টি হল “কনফেশন”। তিনি মূলত মৌলিক থ্রিলারের জন্যই সবার কাছে বেশ পরিচিত। তার এই থ্রিলার গুলো পাঠকদের খুব প্রিয়। তার বেগ ও বাস্টার্ড সিরিজ এর 4 নাম্বার সিরিজ হলো “কনফেশন”। এখনো যারা নাজিমউদ্দিনের থ্রিলার বই গুলো পড়েন নি তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পড়ে ফেলুন।

“কনফেশন” মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস। এই বইটি হার্ডকভার এ ছাপা হয়েছে। বইটি প্রথমবার প্রকাশিত হয়েছে 2013 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। পঞ্চম বারের মত বইটি আবার প্রকাশ হয় 2016 সালের অক্টোবর মাসে। বইটির প্রচ্ছদ লিখেছেন সিরাজুল ইসলাম নিউটন। বইটি প্রকাশ করে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 320 টি। বর্তমানে বইটির মুদ্রিত মূল্য 252 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই থ্রিলারে লেখক মূলত বাবলুর চরিত্রকে অনেকটা ফুটিয়ে তুলেছেন। অন্যান্য থ্রিলারে লেখক বাস্টার্ড ওরফে বাবলুর সম্পর্কে তেমন কিছু বলেনন। এই উপন্যাসে খুনের তদন্তের পাশাপাশি তার সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য এখানে তুলে ধরেছেন।

এখানে আমরা দেখতে পাই বাস্টার্ড খুনখারাপি বাদ দিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। তার এই মহৎ সিদ্ধান্তের জন্য যে তাকে অনুপ্রাণিত করেছে তার নাম হলো উমা। উমা বাবলুকে এইসব খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলে‌। শেষ পর্যন্ত উমার সাথে ও বাবলুর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সেই থেকে বাবলু প্রতিজ্ঞা করে সে এইসব আর কাজ করবে না।

কিন্তু মানুষ যেটা চায় সব সময় তো সেগুলো নিয়মমাফিক চলে না। বাস্টার্ড চাইলেই কি অতীত তাকে ছেড়ে দিবে? একদিন রিসোর্টে একটা ফুটফুটে মেয়ের সাথে দেখা হয়। ছোট্ট মেয়েটির মাকে দেখে বাস্টার্ড চমকে যায়। কারণ সেই ছোট মেয়েটির মা বাস্টার্ড এর কলেজ জীবনের প্রেমিকা ছিল। সেই প্রেমিকার নাম ছিল মেঘলা।

হঠাৎ একদিন মেঘলা বাস্টার্ড কে ফোন দেয়। বাস্টার্ড কে মেঘলা বলে যে করেই হোক তার মেয়েকে যেন সে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মেঘলার মেয়েকে কারা যেন কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে। কিন্তু এক সময় এইসব কাজের জন্যই মেঘলা বাস্টার্ড কে ছেড়ে চলে গিয়েছিল, এখন আবার সেইসব কাজের জন্য তার সাহায্য চাচ্ছে।

বাস্টার্ড উমাকে কথা দিয়েছিল সে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে এইসব কাজে সে আর কখনো যাবেনা। কিন্তু নিয়তি তাকে বাধ্য করল আবার সেই পুরনো পরিচয়ে ফিরে যেতে। মেঘলার কথা শুনে তার মেয়েকে অর্থাৎ দিহান কে খোঁজার জন্য সে আবার মিশনে নেমে পড়ল।

দিহান কে উদ্ধার করতে গিয়ে আবারও মুখোমুখি হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের সাথে। তারা যেন কোনো এক যোগসূত্রে বাঁধা পড়ে আছে। সেই প্রথম থেকে প্রত্যেকটা গেছে জেফের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় বাস্টার্ড কে।

শেষ পর্যন্ত বাস্টার্ড তার নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অপহরণকারীদের ধরে ফেলে। তারপর সে জেফরি বেগের হাতে ধরা পড়ে যায়। তারপর শুরু হয় বাস্টার্ড ও বেগের কনফেশন। বন্দি হয়ে বাস্টার্ড তার জীবনের সব গল্প শোনায় জেফরি বেগকে।

নাজিম উদ্দিন অন্যান্য থ্রিলার এর মতো শুধু এ্যাকশনকেই প্রাধান্য দেন নি। এই উপন্যাসে এ্যাকশন এর পাশাপাশি কিছু ইমোশনাল ঘটনা এবং রোমান্স তুলে ধরেছেন। লেখক এখানে সেই সাধারন ছেলে বাবলুর বাস্টার্ড হওয়ার পেছনের কারণগুলো এখানে তুলে ধরেছেন। তাই যারা নাজিমুদ্দিনের থ্রিলার গল্প পড়তে পড়তে বাস্টার্ড এর চরিত্র কে অনেক ভালোবেসে ফেলেছেন, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই খুব ভালো লাগবে।

Link :-1 | Link :-2 | Link :-3Link :-4

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top