ক্রিকি মোশতাক আহমেদ pdf download

বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে এক পরিচিত নাম হল মোশতাক আহমেদ। বাংলাদেশের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার পেছনে তার অবদান অনস্বীকার্য। সে তার প্রতিভা দিয়ে খুব সহজে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু বরাবরই লেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক আগে থেকেই। তিনি সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন বই গুলো লিখেছেন। বাংলা সাইন্স ফিকশন জগতের তার নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তার বিভিন্ন সাইন্স ফিকশনের মধ্যে “ক্রিকি”এটি একটি অন্যতম বই।

মোশতাক আহমেদকে সাহিত্যাঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়। তিনি সাইন্স ফিকশন এর পাশাপাশি অন্যান্য অনেক বই লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে ভৌতিক, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্লাসিক ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি একটি বিষয়ের উপর সীমাবদ্ধ না থেকে অনেক বিষয়ের উপর লেখালেখি করেছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ও অভিজ্ঞ লেখক।

“ক্রিকি” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন। বইটি প্রকাশ করেছে কথাপ্রকাশ প্রকাশনী। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2020 সালে। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 208 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 215 টাকা।

লেখক মোশতাক আহমেদ বিভিন্ন ধরনের বই লিখলেও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সাইন্স ফিকশন উপন্যাস গুলো রচনার মাধ্যমে। তিনি খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে খুব সহজে সমাদৃত হয়েছেন। সব বয়সের অনায়াসে পড়তে পারে।

একদিন রনি একটি অদ্ভুত জিনিস দেখতে পায়। সময়টা ছিল আলো অন্ধকারের মত। সেই সময় রনি দেখতে পায় তার থেকে 3, 4 হাত দূরে মোটা একটা আম গাছের গোড়ায় অদ্ভুত একটা প্রাণী বসে আছে। সে প্রাণীটিকে দেখে তার মনে হয়েছিল আকারে অনেকটাই ছোট ফুট তিনেক লম্বা হবে হয়তো। সে প্রথমে জিনিসটি দেখে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ সে কিছুতেই বুঝতে পারছিল না জিনিসটা আসলে কি।

সে প্রাণিটিকে দেখতে মানুষের মতোই। মানুষের মতোই হাত পা আছে প্রাণীটার হাত পা গুলো অনেক ছোট ছোট। চেহারায় কেমন যেন বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব। গলা থেকে পা পর্যন্ত বিশেষ একটা পোশাক পরা থাকায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে চোখ দেখে মনে হচ্ছে প্রাণীটা তাকে দেখেও ভয় পাচ্ছে। কেমন বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। প্রাণীটা ডান হাতে মোবাইল ফোনের মত একটা ছোট্ট ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র আছে।

প্রাণীটা খুব সতর্কতার সাথে জনপ্রিকে তার দিকে তাক করে রেখেছে। আর বাঁ হাতটা শূন্যে ঝুলছে। হাতের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। সেই প্রাণীটির মুখেও রক্তের ছোপ ছোপ দাগ বোঝা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে যে মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে মুখের জমাট বাধা রক্ত যেন তারই প্রমাণ। রনি কিছু বলার আগেই প্রাণীটা বলল আমার নাম নিকি দুর্ঘটনা বসত আমি হিমিচুল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে পড়েছি।

গিগোরা আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। একমাত্র তুমিই পারবে আমাকে বাঁচাতে, সেই প্রাণীটি আকুল ভাবে রনিকে বলল। শেষ পর্যন্ত ওই প্রাণীটি প্রাণীকে জিজ্ঞেস করল রনি কি তাকে সাহায্য করবে? কিন্তু রনি তেমন কিছুই উত্তর দিতে পারল না শুধু উপর-নিচে সম্মতি সূচক মাথায় দোলালো। রনি আর তার বন্ধুরা কী পেরেছিল ভয়ংকর প্রাণী গিগোদের হাত থেকে নিকোকে রক্ষা করতে? এ প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এই সুন্দর উপন্যাসটির মধ্যে। তাই জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের একবার হলেও পড়ে দেখতে হবে অনেক অনেক ভালো লাগবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top