ক্রাই উলফ PDF Download উইলবার স্মিথ/মখদুম আহমেদ

ক্রাই উলফ’ উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন ‘উইলবার স্মিথ’। উইলবার স্মিথ সাহিত্যিক হিসেবে কতটা উঁচু মানের তা সকল পাঠকের কাছেই জানা। অ্যাকাউন্ট থেকে পুরোদস্তুর ঔপন্যাসিক হয়ে ওঠার পর উইলবার স্মিথকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি, তার প্রত্যেকটি উপন্যাসই ব্যবসা সফল।

পৃথিবীর সকল নামীদামী প্রকাশনী এখন তার বই ছাপাতে আগ্রহী। আর কেনই বা স্মিথের বইগুলো এতো ভালো হবে না, যেভাবে স্মিথ তার গল্প বোনেন তা অসাধারণ। ঐতিহাসিক, পৌরাণিক সত্যের সাথে নিজের কাল্পনিকতা মিশিয়ে যেই গল্পের মায়াজাল এই লেখক গড়ে তুলতে পারেন তা সত্যিই অনবদ্য।

অনেক লেখকই অনেক ভালো ভাল সাহিত্য রচনা করেছেন কিন্তু উইলবারের সৃষ্টি একদম অন্য ধাঁচের। উইলবারের বইগুলো শুধু পশ্চিমা বিশ্বেই নয় সম্পূর্ণ পৃথিবীতেই বেশ জনপ্রিয়, তাই বইগুলো বেশ অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমাদের দেশে ‘ক্রাই উলফ’ উপন্যাসটি অনুবাদ করেছেন ‘মখদুম আহমেদ’ এবং এর প্রকাশনী সংস্থা হলো ‘রোদেলা প্রকাশনী’।

এই উপন্যাসটির মূল পটভূমি গড়ে উঠেছে ১৯৩০ সালের সময়কে কেন্দ্র করে। যখন ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের কলোনিয়াল থাবায় আফ্রিকাকে মুষ্টিবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর ছিলো। এরই মাঝে ফ্যাসিবাদের পিতা মুসোলিনি যখন ইটালীয় বাহিনীকে ইথিওপিয়ায় অনুধিকার প্রবেশের জন্য আদেশ দিয়েছিলো সেই ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে এই উপন্যাস।

ইটালীয় সুসজ্জিত বাহিনীর বিপরীতে ইথিওপিয়ার জনগণ ছিলো নিরুপায় তাদের কাছে অস্ত্র বলতে ছিলো শুধু বর্ষা আর পাথর। এরই মাঝে গ্যারেথ সোয়েলস একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোক ইথিওপিয়ার যুবরাজের সাথে একটি চুক্তি করেন। এই চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটিশ ভদ্রলোক ইথিওপিয়ানদের কিছু পুরাতন কিন্তু পুরোপুরি কাজ করে এমন কিছু গাড়ি দিবে যেগুলোর সামনে আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত থাকবে।

চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে গেলে জেইক বারটনকে গাড়িগুলো প্রস্তুত করার জন্য গ্যারেথ অনুরোধ করেন। এরই মাঝে গাড়িগুলো প্রস্তুত হয়ে গেলে গ্যারেথ জেইক রওনা দেন ইথিওপিয়ার উদ্দেশে এবং তাদের সাথে যোগ দেন ভিকি চেম্বার যিনি কি না একজন সুন্দরী সাংবাদিক।

কিন্তু ইথিওপিয়ায় যাওয়ার পর তাদের তিনজনকে যুবরাজ এক প্রকার বন্দী করে ফেলেন এবং ইথিওপিয়ান লোকজনকে তারা যেন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন এই প্রস্তাব দেন। তাদের তিনজনের দিনকাল ভালই যাচ্ছিলো ইথিওপিয়ায় কিন্তু হঠাৎ করেই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে অবস্থা ক্রমশ বৈরী হতে শুরু করে, এবং এই তিনজন ভিনদেশি ইথিওপিয়া ছেড়ে পালাবার উদ্দেশে একটি প্লেন জোগাড় করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পালাতে পেরেছিলো কী!

না আটকা পড়েছিলো যুদ্ধের মাঝে অপরিচিত একটি দেশে। জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। উপন্যাসটির গল্প মনোমুগ্ধকর। পড়লে বেশ কিছুদিন মনে গেঁথে থেকে যাবার মতো। যে কোন পাঠককে বিমোহিত করার ক্ষমতা বইটির আছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top