ডার্ক ম্যাটার [ব্লেইক ক্রাউচ] PDF Download সালমান হক

সায়েন্স ফিকশন পড়তে কার না ভালো লাগে? অবশ্য সেটা যদি সহজ কিছু হয় তা হলে তো কথাই নেই। ‘ব্লেইক ক্রাউচ’ তেমনই একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক। উনাকে হয়তো অনেকে চিনেন না, কিন্তু তার একটা বই ‘ডার্ক ম্যাটার’ এ পর্যন্ত তার সর্বাধিক বিক্রিত বই। এবং ৩০ এর বেশি ভাষায় অনুদিত। বাংলাতেও হয়েছে। যার ফলে সায়েন্স ফিকশন পাঠকরা নতুন একজন কে পেয়েছে।

বইটি অনুবাদ করেছেন ‘সালমান হক’। যারা তাকে চিনেন তাদের আর বলে দিতে হবে না যে তিনি কেমন অনুবাদ করেন? দেশের সেরা অনুবাদকদের মধ্যে তাকে অনায়াসে ফেলা যায়। যাই হোক এই অসাধারণ বইটা পড়ে ফেলতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ

জ্যাসন ডোসেন। একজন পদার্থবিজ্ঞানের লেকচারার। জ্যাসন যখন ছাত্র ছিল, তখন সে স্বপ্ন দেখতো এমন একটি ছোট্ট কিউব আবিষ্কার করবে যার দ্বারা সে অন্যান্য ইউনিভার্সে ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের টার্নিং পয়েন্টে হঠাৎই ‘ড্যানিয়েলার’ সাথে তার প্রেম হয় এবং তাদের একটি বাচ্চা হয়। ফলে সংসার সামলাতে গিয়ে তার ক্যারিয়ার এবং স্বপ্ন উভয়কেই বিসর্জন দিতে হয়। সেই ছোট্ট কিউবটি তার আর আবিষ্কার করা হয়ে ওঠে না। এখন সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করে।

জ্যাসন এখন পারিবারিক জীবনে সুখী হলেও তার প্রায়ই আফসোস হয় পূর্বে নেয়া সেই সিদ্ধান্তটির জন্য। জ্যাসন ভাবে, সে যদি তখন ড্যানিয়েলাকে বিয়ে না করতো তাহলে এতোদিনে বোধ হয় সে ছোট্ট কিউবটি আবিষ্কার করে ফেলতো, যা দিয়ে অন্যান্য বাস্তবতায় ভ্রমণ করা সম্ভব।

একদিন রাতে জ্যাসন তার বন্ধুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিলো। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হয় না৷ একজন অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জ্ঞান হারাবার পূর্বে সে শুনেছিলো, অপহরণকারী তাকে প্রশ্ন করছে – তুমি কি তোমার জীবন নিয়ে খুশি ?
জ্যাসন ধীরে ধীরে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়।

জ্ঞান ফেরার পর জ্যাসন হঠাৎ লক্ষ্য করে, সে যেখানে রয়েছে এটি তার জগৎ নয় ! জ্যাসন আবিষ্কার করে যে এই জগৎ তার চিরচেনা জগৎ হতে সম্পূর্ণ আলাদা। চারপাশের মানুষগুলো পরিচিত থাকলেও তাদের সাথে এই জ্যাসনের সম্পর্ক ভিন্ন।জ্যাসন বুঝতে পারে না, এসব কি ভ্রম? কোনো ড্রাগের প্রভাব হতে পারে কি? কিন্তু তা হলেও তো সব কিছু এত স্পষ্ট, এত বাস্তব হত কি? কোন জগত টা সত্যি?
আর যদি আগের জগতটাই সত্য হয়, তাহলে বাড়ির আপন মানুষগুলোর কাছে কিভাবে ফিরে যাবে সে? সব কিছু ঘোলা লাগছে তার কাছে। কি করবে কিছুই মাথায় ঢুকছে না। বাকি রহস্য জানতে পড়ে ফেলতে হবে বইটি।

সায়েন্স ফিকশন জনরা দেখে আবার অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন এসব আপনার মাথার উপর দিয়ে যাবে! কিন্তু মোটেও তা না। বইটা পুরোপুরি উপভোগ করতে সায়েন্সের কিছুই বোঝা লাগবে না!

এই বইটি পড়ার সময় আপনি বিভিন্ন টুইস্টের স্বাদতো পাবেনই, একইসাথে অন্যান্য বাস্তবতায় ভ্রমণেরও পরিপূর্ণ স্বাদ পাবেন। তবে এখানে গল্পের সাথে সাথে বিজ্ঞাননির্ভর যে টুইস্টগুলো রাখা হয়েছে, সেগুলো আপনাকে পাগলও বানিয়ে দিতে পারে! যেমন, আমার নিজেরই এই বইটি পড়ার মুহূর্তে বারবার মাথা ঘুরিয়ে যাচ্ছিলো, অনেক সময়তো এমনও মনে হয়েছিলো, আমি কে! আমার এই পৃথিবীতে কি আসলেই কোনো অস্তিত্ব আছে! নাকি আমি শুধুই একটা ভ্রম!

এজন্যই বোধ হয় বিজ্ঞরা বলেন যদি কখনও সম্ভব হয় তাহলে হয়তোবা তুমি একটি মেয়েকেও সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারবে, কিন্তু কোয়ান্টাম জগৎ সম্পর্কে কিছুতেই বুঝবে না! কিন্তু বইটা অনায়াসে বুঝতে পারবেন।

সবশেষে বলবো, যাস্ট অসাধারন একটা বই। না পড়লে অবশ্যই মিস!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top