দত্তা Novel PDF Download শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

“দত্তা” শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রোমান্টিক উপন্যাস গুলির অন্যতম।তার অন্যান্য উপন্যাস গুলোর মধ্যে আকারে বেশ ছোট এই উপন্যাসটি। তবে পাঠক এক অনবদ্য রোমান্টিক অনুভূতির সন্ধান পাবে উপন্যাসটিতে।
উপন্যাসের নায়ক নরেন তথা নরেদ্র মুখুয্যের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও গুন যেন একজন চিরাচরিত রোমান্টিক নায়ক হয়ে ধরা দেয়। অপরদিকে নায়িকা বিজয়া, সে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, আত্নবিশ্বাসী, সত্যবদী ও অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না।
গল্প পড়তে পড়তে পাঠক বিজয়ার নরেনের প্রতি প্রেমের যে অনুভূতি পাবে তা শান্ত অথচ বলিষ্ঠ। শরৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক উপন্যাস বলা যেতেই পারে এই উপন্যাসটিকে।
উপন্যাসের শুরুতে আমরা বনমালী বাবুর পরিচয় পাই যিনি জমিদার ও একটি কন্যার জনক যার নাম বিজয়া। বনমালী বাবুর দুই বাল্য বন্ধুু থাকে তাদের নাম হল জগদীশ ও রাসবিহারী। বনমালী বাবু চেয়েছিলেন তার একমাত্র কন্যা বিজয়াকে জগদীশের একমাত্র পুত্র নরেন সাথে দিতে।
এজন্য তিনি নরেন কে বিদেশের ডাক্তারি পড়ার সমস্যা খরচ বহন করতে থাকে। বনমালী বাবু ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রণ করেন সেই সাথে রাসবিহারীও। এজন্য গ্রামের লোকজন তাদের আলাদা করে দেয়। এই দুঃখে বনমালী বাবু কন্যাকে নিয়ে কলকাতায় যায় এবং সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
হটাৎ এই মৃত্যুতে শোকে বিহ্ববল হয় জগদীশ এবং অসুখে পড়ে। ওদিকে তার জমিদারি দেখার কেউ না থাকায় তার বন্ধু রাসবিহারী সমস্যা দায়িত্ব পালন করতে থাকে।
রাসবিহারী চায় তার নিজের পুত্র বিলাসের সাথে বিজয়ার বিয়ে দিতে ও সমস্ত সম্পত্তির মালিক হতে পারবে সে এবং তার পুত্র বিলাস। জগদীশ অসুস্থতার কারণে নিজের বাড়িটি বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেন।
সময় মত তা না দিতে পারায় রাসবিহারী তার সবকিছু দখল করে নেয়। অপমাণ আর শোকে জগদীশ ছাদ হতে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে বহুদিন পর পিতৃভিটায় ফিরে আসে বিজয়া এবং রাসবিহারীর প্রচুর অনিয়ম দেখতে পায়।
রাসবিহারী জানায় বিজয়ার পিতা মৃত্যুর আগে তার আর বিলাসের বিবাহ নির্ধারণ করে গেছেন। পিতার শেষ ইচ্ছে রাখতে রাজি হয় সে। এদিকে ডাক্তার হয়ে গ্রামে ফেরত আসে নরেন।
পরোপকারী ডাক্তারকে গ্রামের সবাই খুব ভালবাসে তবে সেখানকার কেউ জানে না যে এ সেই নরেন। হটাৎ একদিন দুর্গা পূজা নিষিদ্ধ করে রাসবিহারী, নরেন সয়ং এসে বিজয়ার কাছে অনুরোধ করে এবং সে বাহ্ম ধর্মের বিপক্ষে গিয়ে অনুমতি দেয়।
প্রথম দেখায় নরেক কে ভাল লাগে বিজয়ার। রাসবিহারী এতে খুব বিরক্ত হয় এবং বুঝতে পারে বিজয়াকে বাগে আনা অতটা সহজ হবে না।
এরপর হটাৎ সন্ধা ভ্রমণে গিয়ে বিজয়া নরেনকে মাছ ধরতে দেখে এবং নরেন দের খবর জানতে চায়। সে নিজেকে নরেনের বন্ধু পরিচয় দিয়ে তাদের বাড়িটি এবং দুরবস্থার কথা জানায়।
নরেন গ্রামে একটি পাঠশালা খোলে বাচ্চাদের জন্য।এরমধ্যে, রাসবিহারী নরেনের বাড়িটি দখল করে সেখানে মন্দির বানাতে চাইলে খুব বিরক্ত হয়।
একদিন নরেনের টাকার বিশেষ প্রয়োজন হলে তার সখের টেলিস্কোপ টি বিজয়ার কাছে বিক্রি করতে যায় আর সেইদিনই পাকাপোক্ত ভাবে নরেনর প্রতি অনুরক্ত হয় বিজয়া। হটাৎ গ্রামে জ্বরের প্রকোপ শুরু হলে নরেন সকলের চিকিৎসা করতে থাকে।
বিজয়াও আক্রান্ত হয় তবে সুস্থ করে তোলে নরেন। একদিন বিজয়া নরেনকে মধ্যান্ন ভোজনে আমন্ত্রণ জানায় এবং নরেন তাকে তার পিতার চিঠির কথা বলে তাকে। ফিরে গিয়ে জডাক যোগে সেগুলো বিজয়াকে দিতেই জানতে পারে তার পিতা নরেন্দ্রর সাথে তার বিবাহ দিতে চেয়েছিল এবং নরেন হল জগদীশের পুত্র।
বিজয়া গ্রামের পুরহিত দয়ালবাবুর মেয়েকে নরের প্রতি ভালবাসার কথা জানায় এবং নলিনি তার পিতাকে জানায়। এদিকে কৌশলে রাসবিহারী একটা দলিলে সই করিয়ে নেয় বিজয়ার যে সে কেবলই বিলাসকে বিবাহ করবে।
বিবাহের দিন যেদিন ধার্য হয় সেদিন দয়ালবাবু কৌশলে দাওয়াত করে নিয়ে যায় বিজয়াকে এবং সে জানতে পারে নরেন ও তার বিবাহ হবে সেখানে।
রাসবিহারী সেখানে এসে উপস্থিত হয়ে দলিল দেখালে বিজয়া বলে কেন সে আগে জানায়নি যে তার পিতা বিলাস নয় বরং নরেনের সাথে তার বিবাহ ঠিক করেছিল। নিজের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বুঝে প্রস্থান করে রাসবিহারী।
অতপর, বিবাহ হয়ে যায় বিজয়া ও নরেনে।
সুতরাং, কাহিনি সুরচনায় ও উপন্যাসের পাত্র পাত্রীর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও লেখকের শক্তিশালী লেখনী কৌশলে দত্তা উপন্যাসটি একটি অসাধারণ উপন্যাসে পরিনত হয়েছে এবংপাঠকের জন্য একটি অবশ্য পঠনীয় উপন্যাস।
How can I download outlairs book in bangla from your site plz let me download link or drive link or phone number so that I can contact with you. From bookpdfdown.com