বাংলাদেশের অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হলো “দুই দুয়ারী”। এটি একটি সমকালীন উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের অসাধারণ সৃষ্টির মধ্যে এটিও একটি অসাধারণ সৃষ্টি। বইটির প্রথম প্রকাশিত হয়েছে 15 এপ্রিল 1991 এবং এটি দশমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে ফেব্রুয়ারী 2014 তে। বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী। বইটি হার্ডকাভার রে ছাপা হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ পরিকল্পনা ও অলংকরণ করেছে ধ্রুব এষ। বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা হল :79 । বাংলাদেশ বইটির মুদ্রিত মূল্য হল :114 টাকা।
হুমায়ূন আহমেদের সবগুলো উপন্যাসের মতই এই উপন্যাসটিতে আমরা আমাদের বাস্তব জীবন সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করতে পারব। তার বইগুলো পড়ে আমরা জীবন সম্পর্কে অন্যরকম একটা ধারণা লাভ করতে পারি। তেমনি তার একটি অসাধারণ সৃষ্টি হলো এই উপন্যাস “দুই দুয়ারী” । তিনি ছোটদের বড়দের সবার জন্যই অনেক সুন্দর সুন্দর বই লিখে গেছেন।
এই জন্যই আমরা হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে ভুলতে পারিনা তার কাজের মাধ্যমে আমরা তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখি। যাদের উপন্যাসটির হার্ডকপি নেই তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রী পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারেন । যারা এখনও পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র গুলো হল:
মিতু ,মতিন সাহেব , সাবের, এশা, জুবায়ের এবং মি: জুলাই।
উপন্যাসটির কাহিনী সংক্ষেপ
একদিন মিতু ও তার বাবা ঢাকায় ফিরছিলেন হঠাৎ করে তাদের গাড়ির সামনে একজন মানুষ এসে পড়ে। রাস্তাটি ফাঁকা থাকায় রাস্তার চারপাশের মানুষজনের দ্বারা অপমানিত হতে হয়নি তাদের। এক্সিডেন্ট এর পর তারা খুব ঘাবড়ে গিয়েছিল তারা ঘটনাটি দেখার জন্য রাস্তায় আসলো। তারা ভাবছিলেন লোকটি হয়তো মারা গেছে কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর মিতুর বাবা খেয়াল করলেন লোকটি এখনো বেঁচে আছে এবং লোকটির হাত পা নড়ছে। লোকটি বেশ ভালোভাবেই আহত হয়েছিল।
মতিন সাহেব কোন উপায় না পেয়ে লোকটিকে তাদের বাসায় নিয়ে আসলো এবং সেখানেই ডাক্তার দেখালো। ডাক্তার বলল লোকটির অ্যামনেশিয়া হয়েছে। সে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। মতিন সাহেব লোকটিকে তার বাড়িতে রেখে দিলেন। লোকটি কে জুলাই মাসে পাওয়া গেছে বলে মিতু তার নাম রাখে মিস্টার জুলাই।লোকটি তার অতীতে কি নাম ছিল ,কোথায় থাকতো ,কিছুই মনে করতে পারছেনা। বর্তমানে সে মিতু দের বাড়িতে আশ্রিত হিসেবে থাকে।
মিতুদের বাড়ির মানুষগুলো খুব অদ্ভুত রকমের ছিল। মিতুর বড় ভাই সাবের ডাক্তারি পড়া শেষ করেছে কিন্তু হঠাৎ করেই সে মনে করে কিছুই জানে না বা ডাক্তার হিসেবে সে অনভিজ্ঞ। তাই সে আবার নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেছে। মিতুর মা পেশায় একজন ব্যাংকার কিন্তু তার সাথে বাড়ির কোনো মানুষই তেমন কথা বার্তা বলেনা।
সে অফিস থেকে ফিরে ঘরে বসেই সময় কাটায়। মিতুর বড় বোন এশার বিয়ে ঠিক হয়েছে জুবায়ের এর সাথে কিন্তু হঠাৎ করে বুঝতে পারে তারা একে অপরের জন্য যোগ্য নয় এবং এখন তারা বিয়ে করার জন্য তৈরী নয়। মতিন সাহেবের বাড়ির সদস্য গুলোর মধ্যে খুব একটা সাদৃশ্যপূর্ণ ভাব লক্ষ্য করা যায় না। তাদের বাড়ির মানুষগুলো খুব এলোমেলো প্রকৃতির। এছাড়াও তাদের বাড়িতে হরিপ্রসন্ন নামের একজন ভদ্রলোক রয়েছেন ।তাদের মামাও তাদের সাথেই থাকেন।
এই বাড়িতে যেমনটা আনন্দঘন পরিবেশ থাকার কথা কিন্তু সেই পরিমাণে কোন মজাই হয়না। তাদের সম্পর্ক গুলোর মধ্যে কোন আত্মিক সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায় না। এই পরিবেশে নতুন অতিথি মিস্টার জুলাই কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিবে?কিভাবেই বা সেই এই পরিবেশটাকে পাল্টাবে সেটা জানতে হলে অবশ্যই আমাদের বইটা পড়তে হবে।
এই উপন্যাসটিতে কিছু কমেডি দৃশ্যও চোখে পড়বে। এই ভাঙ্গা সম্পর্কগুলোকে মিস্টার জুলাই সত্যিই কি জোড়া লাগাতে পারবে?? জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে “দুই দুয়ারী”।