বাংলাদেশের অতি পরিচিত ও স্বনামধন্য লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তিনি আমাদের সাহিত্য ভান্ডার কে অনেকাংশে সমৃদ্ধ করেছেন তার সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে। তাঁর রচিত সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে, যার কারণে লেখক খুব তাড়াতাড়ি পাঠকদের মনের মনিকোঠায় পৌঁছে গেছেন। লেখক মোশতাক আহমেদ অনেক তাড়াতাড়ি পাঠকদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন যেটার কারনে তাকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয় নি। তার রচিত সবগুলো উপন্যাসে সব সময় তিনি সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষা ব্যবহার করেছেন। “ইডিন” তার অন্যান্য সবগুলো উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম একটি।
মানুষ তার পরিচিতি লাভ করায় তার কাজের মাধ্যমে। যে যতটা সমাজ বা মানুষের কল্যাণ মূলক কাজ করে দিতে পারবে তাকে সবাই চিরকাল মনে রাখবে। যেরকম লেখকরা তাদের অসামান্য কীর্তি গুলো রেখে যায় বলে তাদেরকে সারাজীবন মানুষ মনে রাখে। তেমনভাবেই লেখক মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি হলেও তিনি অসামান্য একজন লেখক হিসেবে সুপরিচিত। তার রচনাগুলো বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পাঠকরা পড়ছে এবং আনন্দ লাভ করছে।
“ইডিন” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়েছে 2019 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 192 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 215 টাকা।
কাহিনী সংক্ষেপ:
লেখক মোশতাক আহমেদ একাধারে অনেক জনোরের বই লিখিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তার রচিত বই গুলো হচ্ছে ভ্রমণ কাহিনী, থ্রিলার, ভৌতিক, রহস্য মূলক উপন্যাস ও সাইন্স ফিকশন সমগ্র।
ইডিন ইলিন এরা দুজনে দুইটি প্রাণী। ইডিন নিজের জীবন ঝুঁকি রেখে কীভাবে ইলিন নামক আরেকটি প্রাণিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এই উপন্যাসে আমরা সেটাই দেখতে পাবো। ইলিন তাকিয়ে আছে ইডিনের দিকে। ইডিনদেখতে অপূর্ব সুন্দর। অথচ ইডিন কিলিলি নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। কিন্তু ইলিন ইডিনকে মারা যেতে দিবে না। ইলিন যেভাবেই হোক ইডিন কে বাঁচাবে।
কিন্তু তাকে বাচাঁনো অনেক কষ্টকর এবং তাকে বাঁচাতে গিয়ে ইলিন নিজেও আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর অসুখে। কিন্তু ইলিন যেভাবেই হোক তার জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে ইডিনকে বাঁচাবেই। একসময় ইলিন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়ে তোলে মানুষের মতো দেখতে নিউকিল গ্রহের অপূর্ব সুন্দর প্রাণী ইডিনকে।
তাকে বাঁচানোর পরে ইলিন নিজে আক্রান্ত হয়ে যায় সেই ভয়ঙ্কর রোগে। একসময় সে বুঝতে পারে তার আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তার মৃত্যু আসন্ন কারণ এই গ্রহে পৃথিবীর কোন মহাকাশযান আসবে না তাকে উদ্ধার করতে। একমাত্র রোবট ডিচিও দিশেহারা। ইলিনের জীবনের এই সময় এগিয়ে আসে ইডিন উঠে-পড়ে লাগে নিন ইলিনকে বাঁচানোর জন্য।
কিন্তু বাস্তবতার উপরে কারো হাত থাকে না। নিজ গোত্রের নেতা গিশিন বিশ্বাসঘাতকতা করে তার সাথে প্রহসনমূলক বিচারে মৃত্যু প্রদান করেন ইডিনকে ইলিনকে বাঁচানোর জন্য।
গিশিন চকচকে ছুরি হাতে এগিয়ে আসছে ইলিনকে হত্যা করতে। কিন্তু ইডিন কখনোই তাকে হত্যা করতে দিবেনা বন্ধু ইলিনকে। শেষ পর্যন্ত ইডিন কী বাঁচাতে পেরেছিল তার বন্ধু ইলিন কে? কী ঘটেছিল তার ভাগ্যে? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্যই পুরো উপন্যাসটা পড়তে হবে প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ উপন্যাসটি আর কেউ দেরি না করে এখনই পড়ে ফেলুন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।