একজোড়া চোখ খোঁজে আরেক জোড়া চোখকে PDF Download জাহিদ হোসেন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন লেখক হলেন জাহিদ হোসেন। তিনি সবার কাছে বেশি পরিচিত হয়েছেন তার থ্রিলার রচনার মাধ্যমে। তার তার থ্রিলার এতটাই আকর্ষণীয় যে পাঠকরা খুব সহজেই নিজেদের আয়ত্ত করে ফেলে। তার লেখনি গুলি বেশিরভাগ বাস্তবধর্মী হয়। তার লেখাগুলো পড়লে জীবনের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। আবার খুব কঠিন সময়েও তার উপন্যাস পড়ে মনটা ভালো রাখা যায়।

“একজোড়া চোখ খোঁজে আরেক জোড়া চোখকে” এটি জাহিদ হোসেনের বিখ্যাত অতিপ্রাকৃত ভৌতিক উপন্যাস। এটি জাহিদ হোসেনের এক অনন্য সৃষ্টি। বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় 2018 সালের ১ ফেব্রুয়ারি। বইটি প্রকাশ করে বাতিঘর প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 96 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 98 টাকা। বইটি মূলত হার্ডকভারে ছাপা হয়েছে।

কাহিনী সংক্ষেপ

এই উপন্যাসের নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে গল্পটা কতটা সাসপেন্সিব হবে। এই গল্পটা টুইস্টে একদম ভরপুর। এটি জাহিদ হোসেনের একটি নভেলা। তিনি মূলত লভক্রাফটিয়ান হরর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে গল্পটি লিখেছেন। জাহিদ হোসেনের গল্পে বরাবরই তিনি হিউমার, ওল্ড ডায়লগ এবং অনেক টুইস্ট বিদ্যমান থাকে। এই গল্পে সবকিছুই বিদ্যমান। তাই এটি খুব সহজেই পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে।

গল্পটি মূলত মফস্বলের বস্তিতে গা-ঢাকা দিয়ে লেখক আসগর আলী কে কেন্দ্র করে। একদিন আসগর আলী একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে সাচ্চুর কাছে একটি গল্প শুনেন। গল্পটি আজগর সাহেবের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগে।

আসগর সাহেব নিজের কুকীর্তির জালে নিজেই ফেঁসে যান। তারপর সে একটা মফস্বল এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন নতুন গল্পের প্লট খুঁজতে থাকেন। সেখানেই এক চায়ের দোকানে সাচ্চুর কাছ থেকে যে গল্পটা শুনতে পায় সেটারই সন্ধানে নেমে পড়েন লেখক আসগর সাহেব। এই গল্পটা আসগর সাহেবের কাছে বেশ অদ্ভুত ও রহস্যময় লেগেছিল।

এই রহস্যময় সমস্যার সমাধান করতে আসগর সাহেব ল্যাংড়া সাচ্চুকে নিয়ে সমাধানের লেগে পড়েন। তার এই অভিযানে সঙ্গী হোন ইউনিভার্সিটির লেকচারার রেহমান সিদ্দীক এবং তার ছোটবোন ফারহানা। আসগর রেহমানের কাছ থেকে আরো অনেক রহস্যময় ঘটনা শুনতে পায়।

রেহমানের কাছ থেকে আসগর জানতে পারে অনেক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় ব্রিগুদা গ্রাম লন্ডভন্ড করে দেয় এক অদ্ভুত প্রাণী। সেই প্রাণীটি ওই গ্রামটিকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে দিয়েছিল। অনেক তদন্ত করার পরেও আসল রহস্য বের করা যায়নি। অনেক মানুষ খুন হয় সেই সময়। সেই খুনের রহস্য বের করতে গেলে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মানব দেহ ও অদ্ভুত রকমের আঠালো পদার্থ আর মাছের আঁশ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। সেসব ঘটনা জানতে গিয়ে আহগর সাহেব আরও জানতে পারে মক্ষীরানী আ্যলিসের ভয়ংকর ও রহস্য ঘেরা মৃত্যুর কাহিনী।

এইসব ঘটনাগুলো কি একসূত্রে বাঁধা? আসগর সাহেব কী রহস্য ভেদ করতে পারবে? এত বছর পরে আসগর সাহেব কি নতুন করে এই সব রহস্যের সমাধান করতে পারবে? এসব কিছুর উত্তর জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। আপনাদের মধ্যে এই এই অসাধারণ বইটির হার্ডকপি যারা এখনো সংগ্রহ করে উঠতে পারেননি, তারা আর দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে পড়ে নিতে পারেন। আশা করি নিরাশ হবেন না। অনেক ভালো লাগবে বইটা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top