ইলু পিশাচ মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন লেখক হলেন মোশতাক আহমেদ। তার লেখা সবগুলো উপন্যাস সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি বরাবর পাঠকদের বোধগম্য উপন্যাস রচনা করেন। তার রচিত সবগুলো উপন্যাস, গল্প সবাই খুব সাদরে গ্রহণ করেছে। তিনি তার লেখায় বরাবর সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেন। তাঁর উপন্যাসের মধ্যে কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তিনি ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকদের জন্য বই রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস এর মধ্যে “ইলু পিশাচ” উল্লেখযোগ্য।

মোশতাক আহমেদ পেশায় একজন ডিআইজি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তাঁর বই পড়ার প্রতি অনেক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। মূলত সেখান থেকেই তার লেখালেখির শুরু হয়। সবদিক দিয়ে মোশতাক আহমেদ কে একজন সফল কবি হিসেবে ধরা যায়। কারণ তাঁর রচিত ভ্রমনকাহিনী,উপন্যাস,প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস, গল্প, ভৌতিক কাহিনী, সাইন্স ফিকশন সবগুলো সবার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেক পাঠকরাই আছে যারা হুমায়ূন আহমেদের পরের স্থানটি তাকে দিয়েছে।

“ইলু পিশাচ” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় ও নামকরা অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2016 সালে। বইটি প্রকাশ করে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 112 টি। বর্তমান বাজারে বইটির মুদ্রিত মূল্য হল 171 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

এই উপন্যাসটিতে লেখক দেখিয়েছেন একজন মেয়ে তার জীবনের জ্বালাতন কিছু সময় ব্যয় করেছে একজন পিশাচের সাথে। কিভাবে সে বুঝতে সক্ষম হবে যে সে একটা পিশাচের কবলে আটকা পড়ে আছে। তার ভিতরে অবস্থান করছে। যেখানে তার মা একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। কীভাবে সেখান থেকে রক্ষা পাবে এই সংগ্রাম নিয়েই এই উপন্যাসটি রচিত।

শান্ত, সুন্দর মেয়ে দিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। হঠাৎ করেই অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে দিয়ার জীবনে। মাঝেমাঝেই কালো ধোঁয়ার মধ্যে হারিয়ে যেতে থাকে দিয়া। চেহারা বিহীন ভয়ঙ্কর একটা মুখ এসে গিলে ফেলতে চায় তাকে। সে কিছুতেই বুঝতে পারছিলনা যে তার জীবনের সাথে কি সব হচ্ছে।

সে বাধা দিতে গিয়েও বাঁধা দিতে পারেনা। কারণ সে বড় অসহায়। কাউকে কিছু বলার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে। এই বিষয়ে যদি কাউকে কিছু বলা হয় তাহলে তার আরো বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকদিন পরে সে অনুভব করতে থাকে সে ছাড়াও তার মধ্যে অন্য কেউ আছে। পরে জানতে পারে ইলু পিশাচ তার ওপর ভর করেছে।

এই ইলু পিশাচ যে মানুষের ওপর ভর করে তার মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। সেই ব্যক্তির একমাত্র পরিণত হল মৃত্যু। এরকম ভয় আর আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে সে সকলের সহায়তা চায়। কিন্তু কারো কাছে থেকে কোন সাহায্য পায় না। তাকে সবাই মিলে উল্টো করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। মুক্তির জন্য তখন সে পাগল হয়ে ওঠে।

শেষ পর্যন্ত কে দেবে তাকে মুক্তি? ইলু পিশাচের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত কে তাকে রক্ষা করবে? দিয়া কী রক্ষা পেয়েছিল ইলু পিশাচের হাত থেকে? উপন্যাসটি ভৌতিক হলেও পুরোটা জুড়ে রয়েছে ভরপুর উত্তেজনা। এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে অবশ্যই আপনাদের পুরো বইটা পড়তে হবে। আশা করি অবশ্যই অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি পড়ে‌ ফেলুন উপন্যাসটি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top