আপনারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এপিটাফ বইটির পিডিএফ ফাইল আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং সহজ উপায় যদি পিডিএফ বই ডাউনলোড করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে চলে যান এবং সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিন। তাছাড়া হুমায়ূন আহমেদ স্যারের অন্যান্য বই এর পিডিএফ ফাইল পেতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের সূচিপত্র দেখুন।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এপিটাফে বইটি অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 119 এবং এই বইটির মুদ্রিত মূল্য 280 টাকা। যেকোনো নিকটস্থ লাইব্রেরীতে আপনারা এই বইটি খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারবেন। সমকালীন এই উপন্যাসটি পড়লে আপনাদের অন্তর ছুয়ে যাবে এবং অনেক ভালো লাগবে।
এপিটাফ কাহিনী সংক্ষেপ
এপিটাফ বইয়ে একজন মৃত্যুপথযাত্রী মেয়ের কাহিনী রয়েছে। এই মেয়েটির বাবা তার নাম টিয়া পাখি রাখলেও পরিবারের তার মা নাতাশা বলে ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। নাতাশার বয়স মাত্র 13। সে একটি মরণব্যাধি রোগে ভুগছে। তার ব্রেইন টিউমার হয়েছে এবং সে খুব ভাল করেই জানে কিছুদিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করবে।
আমাদের এই লেখকের বইটিতে একজন মায়ের যে ভূমিকা শিশুর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাতাশার মা দিলশাদ নাতাশার অসুখের ব্যাপারে খুবই চিন্তা গ্রস্ত এবং উদ্বিগ্ন। নাতাশার মা সব সময় ভাবতে থাকে যে কিভাবে টাকা সংগ্রহ করা যায় এবং মেয়েকে ভালো চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায়। মেয়ের অসুস্থতার জন্য তিনি দ্বারে দ্বারে হাত পাততে দ্বিধাবোধ করেন না। দিলশাদের একটি উদ্দেশ্য মেয়েকে একটি ভালো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে দেখানো এবং মেয়ের সুস্থতা কামনা করা।
নাতাশার মা দিলশাদ সব সময় বারান্দার একটি বিশেষ জায়গায় বসে থাকেন এবং সব সময় স্বপ্ন দেখেন যে নাতাশা সুস্থ হয়ে উঠছে। কখনো স্বপ্ন দেখতে দেখতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি মা হিসেবে যেমন কোমলমতি তেমনি স্ত্রী হিসেবে কঠোর। নাতাশার বাবা সাজ্জাদ একজন অলস মানুষ। সংসারের ধার না ধেরে তিনি বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান এবং বিভিন্ন উদ্ভ্রান্ত কাজ করে বেড়ান।
দিলশাদের প্রতি এবং নাতাশার প্রতি এই ধরনের মানসিকতার জন্য দিলশাদ নাতাশার বাবার প্রতি মন ক্ষুন্ন হয় এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই বললেই চলে। নাতাশার এত বড় যে অসুখ হয়েছে তা দিলশাদ কখনোই সাজ্জাদকে জানায়নি। কারণ তিনি ভাল করেই জানেন সাজ্জাদকে জানালে এর কোনো সমাধান হবে না।
দিলশাদের বাড়িতে একটি কাজের মেয়ে আছে যে মেয়েটি সব সময় হাসতে খেলতে থাকে। সব সময় হাস্য-রসিকতা তার চরিত্রে আমরা খুঁজে পাই। তবে কাজের মেয়ে ফরিদা হাসিঠাট্টায় মশগুল থাকলেও বাড়ির কাজ গুলো খুব সুন্দর ভাবে করে থাকে। তাছাড়া বইটিতে উঠে এসেছে নাতাশার খালা খালু এবং অন্যান্য চরিত্র ও গল্প।
নাতাশা খুব ভাল করেই জানে যে সে না ফেরার দেশে চলে যাবে এবং সে একসময় আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি লেখা শুরু করে। যারা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বই পড়তে ভালবাসেন তারা এই বইটি পড়লে নিশ্চিত কেঁদে ফেলবেন। বইটি আমার যেমন মন ছুঁয়ে গেছে তেমনি আপনাদের অবশ্যই ভালো লাগবে বলে মনে করি।