ফাঁদ PDF Download আনিসুল হক

বাংলাদেশের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনিসুল হকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো “ফাঁদ”। এই উপন্যাসটি তার রচিত সবগুলো উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। আনিসুল হক বরাবরই সৃজনশীল লেখক। নতুন চরিত্র, সৃজনশীল প্লট এবং অসাধারণ চরিত্র অংকন করেছেন এই বইয়ে। এই বইটি ভালো লাগার মত অনেকগুলো কারণ আছে যেটা জানতে হলে আপনাকে পুরো বইটা পড়তে হবে। এই বইটির হার্ডকপি যদি আপনাদের কাছে না থাকে তাহলে তারা এখনই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিনামূল্যে বইটি ডাউনলোড করে ফেলুন।
“ফাঁদ”একটি সমকালীন উপন্যাস। লেখক আনিসুল হকের সবচাইতে শক্তিশালী দিক হচ্ছে তার ব্যতিক্রমী জিনিস উদ্ভাবনের ক্ষমতা। বইটি 1997 সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছেন সময় প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 104 টি। বর্তমান বাজারে বইটির প্রকৃত মূল্য 141 টাকা। এই বইটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অনেক অজানা তথ্যের সমাধান পেয়ে যাবেন। তাই একবার হলেও বইটি পড়ে দেখুন, ভালো লাগবে।
কাহিনী সংক্ষেপ
বইটি মূলত যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তার নাম এখানে ম ব্যবহার করা হয়েছে। তার বয়স 40 বছর। গল্পটি শুরু হয়েছে ম লোকটি দশ তালা বাড়ির ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে যেতে থাকেন নিচে যার একমাত্র পরিণতি মৃত্যু, পড়ে যাওয়ার সময় একেকটি তালার একটি পরিবার ও ব্যক্তিকে ঘিরে যে চিন্তা হয় সেটা নিয়েই বইটি মূলত রচিত।
দশম তলাতে আমরা দেখতে পাই সুবিধাবাদি ব্যবসায়ী হাফিজ তালুকদারকে। সে নিজের আসল রূপ পাল্টে সমাজের অধিপতি হয়ে আছেন। লেখক এখানে মূলত হাফিজ তালুকদারের মাধ্যমে সমাজের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। হাফিজ সাদা পাঞ্জাবি পড়ে থাকেন। লেখক বলেছেন সে সাদা পাঞ্জাবি পড়ে থাকলেও তার মনটা অনেক কালো। লেখক এখানে হাফিজকে রূপক অর্থে ব্যবহার করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এরপর ম নবম তলায় দেখতে পান চিত্রনায়িকা সুভদ্রা কে। কর্কটরোগ তার দেহের সুন্দর অংশ ছিনিয়ে নিয়েছে। লেখক এখানে বোঝাতে চেয়েছেন সাধারণ লোকেরা সেলিব্রেটিদের নিয়ে যে নোংরা কথা বলে তারই প্রতিবাদ করেছেন। সাধারণ মানুষেরা সেলিব্রেটিদের তাদের প্রোপার্টি ভেবে অনেক খারাপ কথা বলে। সেই হিপোক্রেসির গোড়ায় কুঠারাঘাত করেছেন তাঁর লেখার দ্বারা।
অষ্টম তলাতে যাকে নিয়ে বলা হয়েছে তার নাম সুবোধ। সে হিন্দু ধর্মালম্বী। যে কিনা নিজের দেশেই পরবাসী হয়ে বাস করেন। এই অবস্থা দেশভাগের 20 বছর পরেও পাল্টায়নি। এরই বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করেছেন লেখক। সপ্তম তলাতে সাহিত্য সম্পাদক কবীর আসামির প্রতিবাদী জীবনের কথা বলেছেন। আমাদের সমাজে বিভিন্ন নিয়মের যাঁতাকলে তার জীবনের টানাপোড়েন ও জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার কথা বলেছেন এখানে লেখক।
ষষ্ঠ তলায় একটি পেইন্টিং কে কেন্দ্র করে এক ভদ্রলোকের জীবনের সাংসারিক ব্যর্থতা, বিকৃত যৌন চিন্তা এবং সন্দেহপ্রবণতার গল্প আমরা এখানে দেখতে পাই। জীবনের বিভিন্ন ক্রাইসিসের কথা তুলে ধরেছেন লেখক। পঞ্চম তলার গল্প সদ্য তরুণী শান্তা কে নিয়ে। ভদ্রলোক ম মেয়েটির প্রতি এক তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেন। কিন্তু সংসারের বেড়াজালে আকৃষ্ট হয় ম এর ভালোবাসা অসমাপ্তই থেকে যায়।
চতুর্থ তলার গল্প টি একজন ডাক্তার ও তার স্ত্রীকে নিয়ে। তাদের এই গল্পটি সাসপেন্সে পরিপূর্ণ। তৃতীয় তলার গল্পটি এক শিক্ষিতা তরুণী খুকুকে নিয়ে। সে একজন প্রতিবাদী মেয়ে। কিন্তু সমাজের বিষাক্ত আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার জীবন।
ম যখন দ্বিতীয় তলায় উপস্থিত হয় তখন তার ষষ্ঠ তলার সেই পেইন্টিং চোখে পড়ে। দ্বিতীয় তলার কাহিনীটা মূলত এই পেইন্টিং নিয়ে। সন্দেহের উপর ভিত্তি করে কিভাবে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় সেটারই এক দৃষ্টান্ত এটি। নিচতলায় ম এর বাসা। যেখানে পিতা-কন্যার সম্পর্ককে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক, যা পাঠকদের এই বই পড়তে আকর্ষণ যোগাবে।
লেখক এখানে বিভিন্ন মানুষের গল্প,ও ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন সমস্যার গল্প তুলে ধরেছেন। এই বইটা না পড়লে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে। তাই এখনই বইটা পড়ে ফেলুন,কথা দিতে পারি আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না।