গিলগামেশ পৃথিবীর প্রথম গল্প PDF Download মুহাম্মদ আলমগীর তৈমুর

মুহাম্মদ আলমগীর তৈমুর স্যারকে বলা হয় দেশের অন্যতম আন্ডাররেটেড লেখক। সত্যই বটে। বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে তাঁকে কোথাও পাওয়া যায় না। তবে প্রকৃত পাঠকরে ঠিকই তাঁকে খুজে নেই। এবং লেখকের বইগুলো যথেষ্ট জনপ্রিয় তো হয়ই। প্রিন্ট আউটও হয়ে যায় দ্রুত। সেরকমই একটা বই হলো ‘গিলগামেশ- পৃথিবীর প্রথম গল্প’। দারুন একটা বই তো বটেই, সেরা বইও বলা যায়। বইটার পিডিএফ পড়তে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

কাহিনী সংক্ষেপ

পৃথিবীর এক প্রাচীনতম মহাকাব্য গিলগামেশ। সুমার জমিনে গড়ে ওঠা সাত নগরীর এক নগরী হচ্ছে আরাক নগরী। যার রাজা গিলাগামেশ। দুই তৃতীয়াংশ দেবতা এক তৃতীয়াংশ মানুষ। মা ছিল দেবী নিনসাল আর বাবা ধর্মযাজক লুগালাবান্দা। রাজ্যের সবাই গিলগামেশকে পছন্দ করে তার সাহসিকতার জন্য। অপ্রতিরোধ্য এই রাজা নগরকে বাঁচাবার প্রয়াসে নগরীর পাঁচিল শুধু উঁচু করে যাচ্ছিল। আর তাই আরাক নগরীর প্রজারা অন্য সব কাজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। নগরীর মানুষ শুধু পাঁচিল তৈরির কাজে লেগেছিল।

এই অবস্থায় আরাক রাজ্যের কিছু বয়স্ক প্রজা দেবতার সাথে দেখা করে রাজা গিলগামেশের ব্যাপারে কিছু করতে আর্জি জানায়। দেবতা আনু প্রথমে রাজি না হলেও কন্যা ইশথার (প্রেমের দেবী) এর কথায় রাজি হয়।

গিলগামেশকে শায়েস্তা করতে দেবী আরুরু সৃষ্টি করে এনকিদুকে। লোমশ শরীরী একজন মানুষ মাথায় দুটি শিং আছে। গিলগামেশকে শায়েস্তা করতে এসে বরং গিলগামেশের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। শুধু বন্ধুই না ভাই হয়ে যায়।

অসীম সাহসিকতার এ দুজন সব জায়গায় জয় ছিনিয়ে নিয়ে আসে এরা দুজন দানব হামাবাবাকেও ধ্বংস করে। হামবাবা দেবতাদের গোলাম। তার নাক মুখ দিয়ে বের হয় আগুনের হলকা। এমন এক দানবকে যখন ধ্বংস করে ফিরে আসে দুই বন্ধু তখন আরাক নগরী দুজনকে বরণ করে নেয় জাকজমকভাবে। তাদের মুখে শুনে কিভাবে পরাস্থ করল দানবটাকে।

প্রেমের দেবী ইশথার গিলগামেশকে প্রেম নিবেদন করলে গিলগামেশ প্রত্যাখান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় ইশথার। আরাক নগরীতে পাঠায় স্বর্গীয় ষাঁড়। এই ষাঁড়কেও মেরে ফেলে গিলগামেশ আর এনকিদু। এতে সব দেবতারা ক্ষিপ্ত হয়।

ইশথার প্রতিশোধ নেয় এনকিদুকে অসুস্থ করে। গিলগামেশ ভেঙে পড়ে এনকিদুর অসুস্থতায়। হাজার চেষ্টা করেও ভাই এনকিদুকে বাঁচাতে পারেনি গিলগামেশ। এনকিদুর মৃত্যু গিলগামেশকে ভবঘুরে বানিয়ে দেয়।

অমর হয়ে থাকার রহস্য জানতে গিলগামেশ পাড়ি জমায় তেতো নদীর জলে। যে নদীতে সাক্ষাৎ মৃত্যু অপেক্ষা করে! মৃত্যুকে ছাড়িয়ে সে কি এগোতে পারে?
গিলগামেশ কি পেরেছিলো, পরদাদা উতনাপিশতিমের কাছ থেকে অমরত্বের রহস্য জেনে আসতে?
কে জানে!

বইটা যে খুব বেশি বড় তা কিন্তু না। ১১২ পৃষ্ঠার একটা বই। কিন্তু বইয়ে বর্ণিত যে বিশাল মহাকাব্যিক উপাখ্যান তা তো এই ক’লাইনে বর্ণনা করা যায় না। তবুও আমি যে কাহিনীর সংক্ষেপ তুলে ধরেছি সেটা পুরোটা বুঝতে হলে বইটা না পড়ে উপায় নেই। বইটা পড়ার সময় এক ধরনের রোমাঞ্চ কাজ করবে আপনার মধ্যে। বিশ্বের প্রাচীনতম গল্প শুনছেন একটু তো হবেই! সে যাই হোক, আমাদের দেশে এমন বই কিন্তু খুব একটা লেখা হয় না। যা হয় তা হারিয়ে যায়। এই যেমন বইটা প্রিন্ট আউট। তবে পাঠকরা তো বসে থাকবে না!

বইয়ের শেষটা এমন ট্র্যাজেটিক আর আকর্ষণীয় যে কি বলবো! আসলে সব কিছু বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে। তাই সব কিছু জানতে বইটাই পড়ে ফেলুন।

সবশেষে বলবো, মাস্ট রিড একটা বই। অবশ্যই মাস্ট রিড!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top