গডফাদার PDF Download আমিনুল ইসলাম

‘গডফাদার’ আমিনুল ইসলামের নতুন বই। আমিনুল ইসলামও নতুন লেখক তবে এই ‘গডফাদার’ তার চতুর্থ উপন্যাস। এর আগে আরও তিনটি বই তার আছে। এবং সেগুলোতে তিনি সফলও হয়েছেন। এই গডফাদার মূলত তার ‘গডফাদার’ সিরিজের একটি বই। অবশ্যই থ্রিলার, সেটা অবশ্য বইটির নাম শুনেই বুঝার কথা। বইটি প্রকাশিত হয়েছে খুব বেশি দেরি হয়নি এর মধ্যেই বেশ ভালো জনপ্রিয় হয়েছে। যারা প্রায় ২৮০ পৃষ্ঠার এই অসাধারণ থ্রিলার বইটি পড়েন নি তারা দেরি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দ্রুত বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করে পড়ে ফেলতে পারেন।
কাহিনী সংক্ষেপ
খুব সাধারণ একটা ছেলে মাসুদ কবির। তার একমাত্র বন্ধু রুদ্র। রুদ্রের বাবা বেঁচে নেই। মা অনেক অসুস্থ। মায়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। মাসুদ ঠিক করে সে মাসুদের মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবে। সে পরিকল্পনা করে কিডন্যাপিং করে বিশাল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান এর ছেলে রাব্বিকে। এদিকে মাসুদের ইউনিভার্সিটির বড় ভাই তারেকের বোনের বান্ধবী অনন্যার প্রেমে পড়ে যায় মাসুদ।
কোলকাতার রেললাইনের পাশে ছালায় ঘেরা একটা ঝুপড়ি ঘরে জন্ম নেয় দাউদ। দাউদের বয়স যখন ১১ বছর তখন মাদ্রাসা থেকে এসে একদিন দেখে তার মায়ের ঘরে জগলু। সে মাদ্রাসায় ফিরে যায়। একদিন মাদ্রাসার এক হুজুর তাকে রুমে ডেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। যখন দাউদের বয়স ১৪ তখন সে মায়ের ঘরে যায়। পরদিন পুলিশ দাউদের মাকে ধরে নিয়ে যায় কারণ দাউদের মায়ের ঘরে জগলুর পুরুষাঙ্গ কাটা লাশ। তারপর সেদিনই দাউদ মাদ্রাসায় ফিরে হুজুরের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসলে দেখা যায় হুজুরের পুরুষাঙ্গ কাটা লাশ। এরপর দাউদকে কেউ কোলকাতায় দেখেনি।
দু বছর পর দাউদকে দেখা যায় ঢাকায়। সে নজরে পরে যায় গডফাদার দেলোয়ার এর নজরে। সে কাজ করা শুরু করে দেলোয়ার এর হয়ে। তারপর ঘটনাচক্রে সে বিয়ে করে দেলোয়ার এর প্রতিদ্বন্দ্বী সিদ্দিক হোসেন এর মেয়ে মৌ কে। সব ছেড়ে দিয়ে দাউদ মৌ কে নিয়ে অন্য শহরে গিয়ে সংসার শুরু করে। একদিন বাসায় এসে দেখে তার বাড়িতে আগুন লেগেছে। সে আগুনে মৌ মারা যায়। দাউদ ছুটে যায় খুনের প্রতিশোধ নিতে।
অর্ক জেল থেকে বের হয়ে বাসায় বসে সময় পার করছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে বসে আব্রাহাম রাতুল কোনো এক পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে একে একে জড়িয়ে যায় আরো অনেকে। কী হবে পরবর্তী ঘটনা? জানতে হলে পড়তে হবে গডফাদার সিরিজের দ্বিতীয় এবং বাটারফ্লাই ইফেক্ট এর পরবর্তী বই গডফাদার।
বইটি গডফাদার সিরিজের দ্বিতীয় বই। প্রথম পর্বে এয়ারপোর্ট নভেলা আকারে সকল চরিত্রদের সাথে পরিচয় করিয়ে প্লটে পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন লেখক। তারপর দ্বিতীয় পর্বে খুব সুন্দর ভাবে সাধারণ জীবন থেকে অন্ধকার জগতে প্রবেশের প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে লেখক। কিছু মানুষ জীবনে আলোর দেখা পেলেও সবসময় সেই আলো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পারেনা। একসময় অন্ধকার জগতই হয়ে ওঠে তার বাঁচার উপায়!
লেখক প্রতিটা চরিত্র নিখুঁত এবং দৃঢ়ভাবে তৈরি করতে পেরেছেন। বইটা পড়ার সময় আপনি প্রতিটা চরিত্র আলাদাভাবে অনুভব করতে পারবেন। সর্বোপরি বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সময়টা উপভোগ করেছি।
আসলেই উপভোগ করার মতোই একটা বই এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সবশেষে একটা কথাই বলবো তা হলো বইটি পড়ে আশাহত হবেন না।