গৌরীপুর জংশন PDF Download হুমায়ূন আহমেদ

আপনারা কি জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের গৌরীপুর জংশন’ বইটি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন? তাহলে এই বইটি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজভাবে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে কালি আপনারা হুমায়ূন আহমেদের গৌরীপুর জংশন’ বইটির পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন।

তো চলুন বইটি ডাউনলোড করার জন্য আমরা গৌরীপুর জংশন’ হুমায়ূন আহমেদ পিডিএফ ফাইল এর উপরে ক্লিক করুন। তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা গৌরীপুর জংশন’ বইটির রিভিউ পাবেন।

গৌরীপুর জংশন’ বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য:-গৌরীপুর জংশন’ বইটি লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এই বইটি কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি সমকালীন উপন্যাস। এই বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা 56। বইটি আপনারা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে খুব সহজ উপায়ে কিনতে পারবেন। বইটির মুদ্রিত মূল্য মাত্র 100 টাকা।

গৌরীপুর জংশন’ রিভিউ

গৌরীপুর জংশন’ বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে যে চরিত্রটি রয়েছে তা হলো জয়নাল। জয়নালের বয়স এখন জীবনের মাঝামাঝি। মাল ব‌ইতে গিয়ে হঠাৎ করে একদিন কোমরের ওপরে চাপ পড়ে। এতে তার পা নষ্ট হয়ে যায়। সে আর আগের মতো কাজ করতে পারে না। কাজ করতে না পারলেও সে আঁকড়ে ধরেছে রেলস্টেশনকে। একসময়ের বাবা বোনের সাথে এই স্টেশনে এসেছিল। সবাই তাকে ছেড়ে চলে গেল সে এই স্টেশনকে ছেড়ে চলে যায় নি।

বইটির প্রথম দিকে শীতকালের ঘটনা উঠে এসেছে। বজলু নামে একটি ছেলে তার সাথে সাথে সব সময় থাকে। সে চাই বিষ্ণু কে তার কাছ থেকে জোর করতে। কারন সে মনে করে তার নিজেরই আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, সেহেতু আরেকজনকে পোষা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তার প্রতি যাতে তার মায়া না পড়ে যায় তার জন্য সে বুঝল কে তাড়িয়ে দেয়। তারপরও মন খারাপ হলে সে বজলুকে কাছে টেনে নেই।

রেল স্টেশনের কুলিদের জীবন পালাক্রমে চলতে থাকে। বিভিন্ন কুলি সরদার এর সংস্পর্শে এসে জয়নাল বুঝেছে কে ভালো মানুষ এবং কে খারাপ মানুষ। তবে এই স্টেশনের একমাত্র ভালো মানুষ মাল বাবু। অবশ্য তার মুখ দিয়ে সব সময় খারাপ বাক্য বের হতেই থাকে। তারপরে একটু ভালোবাসার আশায় একটু সান্নিধ্যের আশায় শেষ বার বার ছুটে যাই মাল বাবুর কাছে। জীবন তাকে ফেলে চলে গেছে কিন্তু এই রেলস্টেশন তাকে ফেলে চলে যায় নি। তাই জয়নাল চাই জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই রেল স্টেশনে এর সময় কাটিয়ে দিতে।

একসময় বজলুর ঘর ছিল সংসার ছিল। কিন্তু তার পা এভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে সংসার নষ্ট হয়ে যায়। তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাই এবং বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বিয়ে হয়। স্বামীর সংসারে জয়নালের স্ত্রী সুখী হয়ে এক সময় খারাপ পল্লীতে তার আশ্রয় হয়। দীর্ঘদিনের অভুক্ত জয়নাল একদিন রেল স্টেশনের দিকে যাই।

এক ভদ্র মহিলা থাকে দুটো ফ্লাক্স দিয়ে গরম পানি আনতে বলে। কিন্তু জয়নাল সেই পানি না এনে দিয়ে সেই দুটো জিনিস বাজারে বিক্রি করে দিয়ে বেশ কিছু টাকা হাতে পায়। তা দিয়ে সে বেশ কয়েকদিন খুব স্বাচ্ছন্দে চলতে পারে।

স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলেও , সেই স্ত্রীর সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু সেখানে সে তার স্ত্রীকে খুঁজে পাইনা। স্টেশনে ফেরত এসে দেখে যে সেখানে অনেক ঝামেলা হয়েছে। কুলিদের ঝামেলার কারণে একটি খুন হয়েছে,যা জয়নাল জানে।সে ভয়ে ভীত হয়ে যায় এর পরিস্থিতি কি হবে এটা ভেবে।

অনেকে এই বইটিকে উপন্যাস বললেও, একে নোভেলা বলাই বাঞ্চনীয়। নিম্ন শ্রেণির মানুষদের মনোজগতে ধারণা আমরা বইটিতে পাই।বিভিন্ন দার্শনিক কথা উঠে এসেছে বইটিতে। আশা করি বইটি পাঠ করলে ভাল লাগবে।তাই দেরি না করে,এখনি ডাউনলোড করে নিন বইটি। আর সকলেই ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। যেকোন বইয়ের পিডিএফ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সূচিপত্র দেখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top