হিমালয়ে রিবিট মোশতাক আহমেদ PDF download

বাংলাদেশের সাহিত্যজগতে মোশতাক আহমেদ একটি নক্ষত্রের নাম। তিনি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় লেখক। তার লেখায় ছোট থেকে বড় সব বয়সী পাঠকেরা মোহিত হয়ে যায়। তিনি তার সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠকের হৃদয় তাড়াতাড়ি জয় করে নিয়েছেন। তার রচিত উপন্যাস গুলো কল্পনার পাশাপাশি বাস্তবতার কথা বলে। তিনি পাঠকদের মনে এতটাই জায়গা করে নিয়েছেন যে বাংলাদেশের বিখ্যাত সব কবিদের পরেই তার অবস্থান তৈরি করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস গুলোর মধ্যে “হিমালয়ে রিবিট” অন্যতম।

লেখক বরাবরই বই পড়তে অনেক পছন্দ করতেন। মূলত সেই থেকেই তাঁর লেখালেখির শুরু। তিনি ভৌতিক, থ্রিলার, ভ্রমণ কাহিনী,প্যারাসাইকোলজি উপন্যাস এছাড়াও সবচেয়ে বেশি সাইন্স ফিকশন উপন্যাসগুলো লিখেছেন। তিনি তার প্রতিভার দ্বারা বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে হুমায়ূন আহমেদের পড়ে স্থানটি দখল করে নিয়েছে। তিনি পেশায় একজন ডিআইজি হলেও পরিচিত বেশি লাভ করেছেন লেখালেখির দ্বারা।

“হিমালয়ে রিবিট” মোশতাক আহমেদের একটি জনপ্রিয় সাইন্স ফিকশন উপন্যাস। বইটি প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় 2015 সালে। বইটি প্রকাশ করেছে অনিন্দ্য প্রকাশনী। বইটিতে মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে 127 টি। বর্তমান বাজারে মুদ্রিত মূল্য ধরা হয়েছে 171 টাকা।

কাহিনী সংক্ষেপ:

লেখক মোশতাক আহমেদ সাইন্স ফিকশন উপন্যাসের ধারা পাঠকদের কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেছেন। কিশোরদের কাছে তার লেখা রিবিট সিরিজটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমি এই উপন্যাসটির সামান্য কিছু অংশ তুলে ধরবো। বাকিটুকু অবশ্যই আপনারাও পুরো বইটা পড়ে নেবেন।

পুরান ঢাকার আজিমপুরে একটি নয় তালা বিল্ডিং ধসে পড়েছে। সেই ফ্লাটের 64 টি পরিবার থাকে। সেই বিল্ডিংয়ের ষষ্ঠ ফ্লোরে থাকে শাহানা। সে এক ফোঁটা পানির জন্য হাহাকার করে মরছে। তার চিন্তাভাবনা এখন এরকম যে এক ফোঁটা পানির জন্য সে তার জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিতে পারে। তাও তার যে করেই হোক পানি দরকার। মৃত্যুর আগে যেভাবেই হোক পানিতার চাই ই চাই।

সে যে কারণে এতটা পানির জন্য হাহাকার করছে তার কারণ হলো সে আটকা পড়ে আছে হিমালয় নামে 10 তলা ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে। তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পৃথিবীর কেউ জানে না। সে সমস্ত পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। অন্ধকার আন্ডারগ্রাউন্ডে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে হচ্ছে। সে যখন এগুলো চিন্তা করছে তার শরীর শিউরে উঠছে।

তার সব থেকে একটা জিনিস নিয়ে বেশি মন খারাপ হচ্ছে সেটা হল, তার সাথে সাথে তার পেটের বাচ্চাটার ও মৃত্যু হবে ভয়ংকরভাবে। কোনভাবেই তার বাচ্চা কে বাঁচাতে পারবে না। কিন্তু সে তার বাচ্চাকে বাঁচাতে চায় যেভাবেই হোক। তাই শেষ পর্যন্ত সে ফোন করল রিবিটকে। কিন্তু রিপিট শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো আশার আলো দেখাতে পারলো না।

কারণ বিল্ডিংটি এমনভাবে ভেঙে পড়েছে যে কোন উদ্ধারকর্মী অংশ নিতে চাইছে না। শেষমেষ রিবিট একাই সিদ্ধান্ত নেয় সে নিজেই উদ্ধারকাজে অংশ নেবে। শাহানাকে উদ্ধার করতে হলে তাকে প্রবেশ করতে হবে অন্ধকার মৃত্যুকূপে। যেখানে এরই মাঝে শত শত মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। অনেক ঘাত প্রতিঘাত বাধা পেরিয়ে রিবিট উদ্ধারকাজে অংশ নেয়ার পরে জলিল ও তার গুন্ডা বাহিনী তাকে অনেক বাধা দেয়।

শেষ পর্যন্ত রিবিট কী পেরেছিল শাহানাকে উদ্ধার করতে? এই উত্তর জানতে হলে অবশ্যই বইটি পড়তে হবে। একটানা পড়ার মতো উপন্যাসটি যদি শেষ পর্যন্ত না পড়ে থাকেন তাহলে অনেক কিছুই মিস হয়ে যাবে। তাই বলবো আর দেরি না করে বইটি পড়ে ফেলুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top