বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অসাধারণ একটি উপন্যাস হল ‘হিমু ও একটি রাশিয়ান পরী’। হিমু ধারাবাহিকের উপন্যাস গুলোর মধ্যে এই উপন্যাসটি ২৩ তম। বইটি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রকাশক অন্যপ্রকাশ প্রকাশনী। বইটি শক্ত মলাটে ছাপা হয়েছে এবং বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৫ টি। বইটির বাংলাদেশী মূল্যঃ ১৭০ টাকা। হিমু সিরিজের এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পূর্ববর্তী বই ‘ হিমুর আছে জল’ এবার পরবর্তী বই ‘ হিমু ও হার্ভার্ড Ph.D বল্টু ভাই।
হিমু ও একটি রাশিয়ান পরী উপন্যাসটির মূল কাহিনী
গল্পের সূচনা হয় মাজেদা খালাকে দিয়ে। মাজেদা খালা হিমুকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি ভাবেন বিয়ে করে হিমু সংসারী হলে হিমুর পাগলামি সব বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি রাশিয়ান একটি মেয়ের সাথে হিমুর বিয়ে ঠিক করেছেন। তার নাম হল এলিতা। এলিতার মা-বাবা রাশিয়ান কিন্তু এলিতা জন্মসূত্রে আমেরিকান। এলিতা বাংলাদেশে এসেছে ফটোগ্রাফি করতে। তার উদ্দেশ্য হল তৃতীয় বিশ্বের খুদা প্রদর্শনের ফটোগ্রাফি করা। তার ফটোগ্রাফির নাম ‘ The Food ‘। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সে ঢাকায় আসবে। মাজেদা খালার ইচ্ছা হল এই রাশিয়ান পরীর সাথে হিমুর বিয়ে দেওয়া।
মাজেদা খালা হিমুকে কোট টাই পরিয়েছেন। এখন থেকে অভ্যস্ত না হলে বিয়ের সময় পরলে গা কুট কুট করবে। হিমুর নিজেকে আয়নায় দেখে নকল হিমু মনে হচ্ছে। সব ঠিকঠাক কিন্তু কোন জুতাই হিমুর পায়ে লাগছেনা। ওইভাবেই হিমু রাস্তায় নেমেছে। খালি পায়ে কোট পরে হিমু রাস্তায় হেটে যাচ্ছে। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় তাজিনের সাথে।
এত মানুষের ভিড়ে শুধু সেই খেয়াল করে হিমুর পায়ে জুতা নেই। সে তার বাবার জুতা হিমুকে দিতে চায়। কিন্তু তার মা দিতে রাজি হয় না। এই জুতা নিয়েই একটি কাহিনী হয়। যার ফলে পুলিশ এসে হিমুকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। থানা থেকে ফেরার সময় হাজতি আলম আর কাদের কে নিয়ে ফিরে হিমু।
এরপর হিমু এলিতার সাথে থেকে থেকে ছবি তোলা দেখে। সেখান থেকে তাদের সাথে যোগ হয় থানার ওসি আবুল কালাম আর ধোঁয়া বাবা। সে সিগারেট খায় বলে তার নাম ধোঁয়া বাবা। কিন্তু এলিতা তাকে একজন ক্রিমিনালই ভাবে। কারণ সে বিভিন্ন খারাপ কাজ করে বেড়ায়। থানার ওসির এলিতা দেখার পর তার মৃত স্ত্রী আলতার কথা মনে পড়ে যায়। এলিতার চেহারার সে আলতার সাথে মিল পায়।
মাঝে মাঝে কোন এক বৃষ্টিস্নাত রাতে ঢাকা নগরীতে হিমু ছাড়াও একজন মানুষ ঘুরে বেড়ায়। অন্যদের চেয়ে সে উচ্চতায় লম্বা। তার হাতে থাকে সাদা গ্লাভস আর চোখে থাকে কালো চশমা। সে মানুষের সাথে তেমন মিশে না। দূরে দাড়িয়ে থেকে পাখির মত শব্দ করে যায়। তাই হিমু তার নাম দিয়েছে পাখি মানব।
হিমুর পাগলামি আর হেয়ালিপনা, কাদের, আলমের আবেগী মনোভাব, পেনসিল ওসির কাহিনী, এলিতার কাহিনী আর মাজেদা খালার পরিকল্পনা সব মিলে উপন্যাসে হাসি কান্নার উপস্থিতি রয়েছে। বইটি হুমায়ুন আহমেদের একটি অসাধারণ উপন্যাস। এই উপন্যাসটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। যারা বইটি এখনো পড়েননি তারা তাড়াতাড়ি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে বইটি পড়ে ফেলুন।