বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘হিমু ‘ একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এটি হিমু সিরিজের একটি উপন্যাস। হিমু সিরিজের প্রতিটি বই অত্যন্ত চমৎকার এবং জনপ্রিয় উপন্যাস। বইটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে free pdf download করে পড়তে পারবেন। যারা এখনো বইটি পড়েন নি তারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে পড়ে নিতে পারেন।
‘হিমু’ হুমায়ুন আহমেদ
হিমু উপন্যাসটি লিখেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। বইটি প্রতীক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে এবং বইটি শক্ত মলাটে ছাপা। হিমু সমগ্রের ‘হিমু ‘ উপন্যাসের পূর্ববর্তী বই দরজার ওপাশে ও পরবর্তী বই পারাপার। এই বইটির বাংলাদেশী মূল্য ১২০ টাকা। বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৭৪টি। বইটি পড়লে হিমু সম্পর্কে বিশেষভাবে সুন্দর করে জানা যাবে।
হিমু উপন্যাসের মূল কাহিনী
হিমু উপন্যাসের মূল কাহিনী শুরু হয় এষা ও তার স্বামী মোরশেদ এর মাধ্যমে। এষা তার স্বামী কে ডিভোর্স দিয়েছে তার স্বমীর অসুস্থতার জন্য। ডিভোর্স দেওয়ার ফলে মোরশেদের অসুস্থতা আরো বেড়ে গেছে। এষার সাথে হিমুর দেখা হয় হাসপাতালে। এষার দাদী অসুস্থ হওয়ার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে এষার সাথে হিমুর পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে আবার মোরশেদের সাথেও হিমুর পরিচয় হয়। হিমু এষার বাসায় গেলে চা দিতে চায় কিন্তু চা পাতা না থাকায় দিতে পারেনা। তারপর হিমু বলে বাড়িতে চা পাতা নেই। এই কথা শুনে এষা অবাক হয় আার তাকে মহাপুরুষ মনে করে।
ইয়াদ ভিক্ষুকদের নিয়ে কাজ করতে চায়। হিমু ইয়াদের ব্যাগ নিয়ে থাকার দায়িত্ব নেয়। নীতু মনে করে হিমুর প্রভাবে ইয়াদ এইসব করছে। হিমু ইয়াদ কে বলে যে ভিক্ষুকদের সাথে মিশলে তবেই তাদের নিয়ে কাজ করা যাবে আর তাদের সম্পর্কে জানা যাবে। শেষে ইয়াদ তাই করে। তাই নীতু হিমুর পেছনে কুকুর লেলিয়ে দেয়। এরপর দেখা যায় রুপা হিমুর কাছে চিঠি লেখে। চিঠিতে জানতে চায় হিমু কেমন আছে। কিন্তু হিমুর এইসব বিষয় নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ দেখা যায় না। হিমু সবসময়ই খামখেয়ালি। তাই সে কোন চিঠির উত্তর দেয়না।
মজনু মিয়ার ভাতের হোটেলে হিমু খাওয়া দাওয়া করে। আধ্যাত্মিক মানুষ হিসেবে মজনু মিয়া তাকে খুব কদর করে। তার ভবিষ্যৎ বলে দেওয়ার গুনের কারণে তাকে মহাপুরুষ মনে করে মজনু মিয়া। মোরশেদ ও ইয়াদ আলি কেও হিমু মজনু মিয়ার ভাতের হোটেলে নিয়ে যায়। কিন্তু মজনু তাদের পছন্দ করে না মোরশেদের মৃগী রোগ আা ইয়াদের পাগলামির কারণে।
কিন্তু মজনু বলে হিমুর জন্য সবসময় তর হোটেলের দরজা খোলা। বাদল হিমুর একনিষ্ঠ ভক্ত। সে হিমুর খালাতো ভাই। হিমুর পাগলামির কারণে তার খালু হিমুকে বাদলের সাথে মিশতে নিষেধ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় বাদল হিমুকে সাহায্য করে।
এষা ও মোরশেদ কে একত্রিত করার জন্য হিমু অনেক চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত তাদের একত্রিত করতে পারে। সাইকিয়াট্রিস্ট ইরতাজুল করিমের সাথে হিমুর পরিচয় হয়। হিমুর সাথে তার নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। ইরতাজুল করিম এক সময় বুঝতে পারে হিমু তেমন স্বাভাবিক নয়। এরপর তিনি হিমুকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে হিমু উপন্যাস শেষ হয়।